মোটরসাইকেলে ঘুরতে যাচ্ছিল বন্ধুদের সঙ্গে, পথেই লরিচাপায় প্রাণ গেল কিশোরের
Published: 20th, June 2025 GMT
মোটরসাইকেলে দুই বন্ধুকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিল কিশোর জুনায়েদ হোসেন (১৬)।
তাদের গন্তব্য ছিল চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত। তবে সীতাকুণ্ড থানাধীন বায়েজিদ সংযোগ সড়কের জিরো পয়েন্টে এলাকায় লরির চাপায় মৃত্যু হয়েছে জুনায়েদের। আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত জুনায়েদ ফটিকছড়ির নাজিরহাট পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ফকিরহাট রফিক সওদাগর বাড়ির মরহুম মো.
ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সোহেল রানা জুনায়েদের মৃত্যুর খবরটি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জুনায়েদ মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল। তারা বায়েজিদ সংযোগ সড়ক থেকে ফৌজদারহাট হয়ে পতেঙ্গার আউটার রিং রোডে আসছিল। তবে সংযোগ সড়কের জিরো পয়েন্ট পৌঁছালে একটি ব্যক্তিগত কার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। জুনায়েদ ছিটকে গিয়ে পড়ে পাশ দিয়ে যাওয়া একটি লরির নিচে। সেই লরির চাপায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। বাকি দুজন আহত হন।
সোহেল রানা জানান, জুনায়েদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি দুজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আজ বেলা তিনটার দিকে জুনায়েদ গ্রামের বাড়ি থেকে শহরে উদ্দেশে রওনা দেয়। একটি মোটরসাইকেলে তিনজন আর দুটিতে ছিল তিনজন।
জুনায়েদের মামা মো. রাশেদ বলেন, জুনায়েদরা তিন ভাইবোন। জুনায়েদ ছিল সবার ছোট। কয়েক বছর আগে তার বাবা প্রবাসে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। এর পর থেকে জুনায়েদের মা দুঃখকষ্টে তাদের মানুষ করছেন। এখন মায়ের কান্না থামছে না।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা
কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’
সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।
সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে