আয়াক্সের সাবেক উইঙ্গার কুইন্সি প্রোমেসকে আরব আমিরাত থেকে নেদারল্যান্ডসে প্রত্যর্পণ করা হয়েছে। মাদক চোরাচালান ও মারাত্মকভাবে আক্রমণের অভিযোগে নেদারল্যান্ডসে সাড়ে সাত বছর জেল খাটতে হবে দেশটির জাতীয় দলের হয়ে ৫০ ম্যাচ খেলা সাবেক এই ফুটবলারকে।

আরও পড়ুনসবকিছু জিততেই রেকর্ডভাঙা দামে লিভারপুলে যোগ দিলেন জার্মান তরুণ ভির্টৎস১ ঘণ্টা আগে

বিবিসি জানিয়েছে, নেদারল্যান্ডস পুলিশের অনুরোধে দুবাইয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে দুবাই পুলিশ। ২০২০ সালে বেলজিয়াম থেকে নেদারল্যান্ডসে এক টনের বেশি কোকেন চোরাচালানে কুইন্সির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়ার পর গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ডাচ আদালত তাঁকে ছয় বছর কারাবাসের সাজা দেন। ডাচ সংবাদমাধ্যম ‘টেলিগ্রাফ’ জানিয়েছে, দুবাই পুলিশ চলতি মাসের শুরুতে কুইন্সিকে গ্রেপ্তার করে। ডাচ বিচার বিভাগের অধীনে ভাড়া করা বিমানে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

তবে ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘ও গ্লোবো’ জানিয়েছে, ২০২০ সালে ব্রাজিল থেকে ১ হাজার ৩৬৩ কেজি কোকেন চোরাচালানে সংশ্লিষ্টতার জন্য কুইন্সি দোষী প্রমাণিত হয়েছেন। একই দেশের সংবাদমাধ্যম ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্প বন্দর ব্যবহার করে নেদারল্যান্ডসে কোকেন নিয়ে যান কুইন্সি।

নেদারল্যান্ডসে কৌঁসুলিদের এক মুখপাত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন, ৩৩ বছর বয়সী কুইন্সিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তিনি দুটি অভিযোগই অস্বীকার করে আপিল করেছেন।

আরও পড়ুনএবার চেলসিকে ধরাশায়ী করে ইতিহাস গড়ল আরেক ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ২ ঘণ্টা আগে

২০২৩ সালের জুনে আরেকটি মামলায় কুইন্সিকে ১৮ মাসের কারাদণ্ড দেন নেদারল্যান্ডসের আদালত। এই মামলার ঘটনা ২০২০ সালের জুলাইয়ে পারিবারিক পার্টিতে। চুরি যাওয়া গয়না নিয়ে বিবাদের সময় নিজের এক আত্মীয়র হাঁটুতে ছুরি মারেন কুইন্সি। কারাবাসের পাশাপাশি তাঁকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে জরিমানা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

২০১১ সালে ডাচ ক্লাব টুয়েন্টে দিয়ে সিনিয়র ফুটবলে অভিষেক কুইন্সির। এরপর ২০১৪ সালে তিনি পাড়ি জমান রাশিয়ান ক্লাব স্পাতার্ক মস্কোয়। চার বছর সেখানে থেকে ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে সেভিয়া ও আয়াক্স ঘুরে আবারও স্পাতার্ক মস্কোয় ফিরে যান কুইন্সি। সেখানে তিন বছর থেকে গত বছর দুবাই ইউনাইটেডে যোগ দেন।
নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলে কুইন্সির অভিষেক ২০১৪ সালে। ২০২১ সালে ইউরোর শেষ ষোলোয় চেক প্রজাতন্ত্রের কাছে ডাচদের হারের পর জাতীয় দলে আর ফিরতে পারেননি কুইন্সি।

নেদার‌ল্যান্ডসে কোন কারাগারে কুইন্সি সাজা খাটবেন, তা এখনো নিশ্চিত হয়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ২০২০ স ল ক ইন স

এছাড়াও পড়ুন:

মাউশির সামনে দ্বিতীয়দিনের মত অবস্থান নিয়োগপ্রত্যাশীদের

সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন চার-পাঁচ বছর আগে। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষাও শেষ বহু আগেই। কিন্তু এখনও চূড়ান্ত ফল না পেয়ে দিশেহারা নিয়োগপ্রত্যাশীরা। তাই দাবি আদায়ে দ্বিতীয় দিনের মতো আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

গতকাল মঙ্গলবার থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ভবনের সামনে অনশন শুরু করেন প্রদর্শক, গবেষণা সহকারী (কলেজ), ল্যাবরেটরি সহকারী এবং সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার পদের নিয়োগপ্রত্যাশীরা। আজ বুধবার সকালেও মাউশির প্রধান ফটকের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান করতে দেখা গেছে তাদের।

অনশনকারীদের একজন সাদ্দাম হোসেন সমকালকে বলেন, ২০২১ সালে পরীক্ষা দিয়েছি, এখন ২০২৫—এই চার বছরে কত কিছু পাল্টে গেছে, শুধু আমাদের অবস্থানই বদলায়নি। শুধু একটা ফলাফলের অপেক্ষায় জীবনটা আটকে গেছে।

প্রদর্শক পদে আবেদন করা সুমাইয়া আফরিন বলেন, আমার বাবা নেই। সংসার আমার ওপর নির্ভরশীল। ভাইভা শেষ হয়েছে প্রায় এক বছর, অথচ আজও কোনো ফল নেই। মানসিকভাবে আমরা ভেঙে পড়ছি।

অবশ্য, দ্রুত ফল প্রকাশের দাবি জানিয়ে এরইমধ্যে আন্দোলনকারীরা লিখিতভাবেও মাউশিতে আবেদন জানিয়েছেন। তবে কোন সাড়া মেলেনি। তাই প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তারা।

চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, ২০২০ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ২০২১ সালে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। এরপর দীর্ঘ বিলম্বে ২০২৪ সালের এপ্রিলে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয় এবং মে-জুনে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এখন ২০২৫ সালের জুন—কিন্তু এখনও কোনো চূড়ান্ত ফল নেই। এতে চাকরির বয়সসীমা পার হওয়ার শঙ্কায়ও পড়েছেন অনেকেই।

এর আগে, আজ সকাল থেকে চাকরিপ্রত্যাশীরা মাউশি ভবনের সামনে অবস্থান শুরু করেন। তারা প্ল্যাকার্ড হাতে শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানান চূড়ান্ত ফল প্রকাশের। কিন্তু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো আশ্বাস বা পদক্ষেপ না পেয়ে দুপুর থেকে তারা আমরণ অনশনে বসেন। পরে, সন্ধ্যা ৭টার দিকে অনশনরত এক ফলপ্রত্যাশী মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে প্রতিবাদ জানান।

এসময় তারা অভিযোগ করেন, গত চার বছরে বিভিন্ন সময় মাউশির তৎকালীন মহাপরিচালক, কলেজ প্রশাসন ও উইংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো সুনির্দিষ্ট উত্তর বা সমাধান পাওয়া যায়নি। চূড়ান্ত ফল প্রকাশ নিয়ে বছরের পর বছর ঝুলে থাকার কারণে অনেকের বয়স এখন চাকরির বয়সসীমা অতিক্রম করে যাচ্ছে। তাই প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাতীয় পার্টিতে নেতাদের বিরোধ, ডিগবাজি
  • দেশ ছাড়লেন মাহিয়া মাহি!
  • বিশ্বে বাংলাদেশি শরণার্থী পাঁচ বছর ধরে বাড়ছে
  • টাঙ্গাইলে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা নিয়ে শঙ্কা 
  • চরাঞ্চলের মানুষের দুঃখ ভাঙা সেতু
  • কুমিল্লায় শ্বশুরকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
  • পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় শ্বশুরকে হত্যা: গৃহবধূর যাবজ্জীবন
  • মাউশির সামনে দ্বিতীয়দিনের মত অবস্থান নিয়োগপ্রত্যাশীদের
  • ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবি