সাফিয়া (রা.) ছিলেন হুয়াই ইবনে আখতাব ও বারাহ বিনত শামওয়ালের কন্যা, এক সম্ভ্রান্ত ইহুদি বংশের সন্তান। খায়বারের যুদ্ধে তিনি বিধবা ও যুদ্ধবন্দী হন। মহানবী (সা.)-এর বিবাহের প্রস্তাব গ্রহণ করে মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং নবীজির সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করেন। (ফরিদা মাসউদ দেবাস, দ্য ওয়াইভস অব দ্য প্রফেট মুহাম্মদ, ২০০৬, পৃ.
তাঁর জীবন ছিল জ্ঞান, দৃঢ়তা, আধ্যাত্মিকতা এবং সমাজসেবার এক অনুপম সমন্বয়।
কোরআন পড়ার আগে তাঁর এত তীব্র ছিল যে পড়তে গিয়ে তাঁর চোখ অশ্রুতে ভরে যেত এবং তিনি কাঁদতেন।কোরআনের প্রতি নিবেদনসাফিয়া (রা.) কোরআন পড়তে এবং এর অনেক অধ্যায় মুখস্থ করতে সময় ব্যয় করতেন। কোরআন পড়ার আগে তাঁর এত তীব্র ছিল যে পড়তে গিয়ে তাঁর চোখ অশ্রুতে ভরে যেত এবং তিনি কাঁদতেন। (মাহমুদ আহমদ গজনফার, গ্রেট উইমেন অব ইসলাম, ২০০০, পৃ. ১২০)
নিজের বিষয়ে তিনি সাক্ষ্য দিয়ে বলতেন, ‘তিনি পুরোপুরি ইসলাম গ্রহণ করেছেন এবং একজন উত্তম মুসলিম হয়েছেন।’ (ফরিদা মাসউদ দেবাস, দ্য ওয়াইভস অব দ্য প্রফেট মুহাম্মদ, ২০০৬, পৃ. ১৩২)
তিনি কোরআনের আয়াত কেবল আবৃত্তি করতেন না, বরং এর শিক্ষাকে দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োগ করতেন। এই জ্ঞানই তাঁকে ন্যায় দাবি, ইসলামের প্রতি তাঁর অঙ্গীকার রক্ষা, সম্পত্তির অধিকার এবং পরবর্তী সময়ে যুদ্ধ ও রাজনীতিতে অংশগ্রহণে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল। (সুহাইব ওয়েব, দ্য মাদার্স অব দ্য বিলিভার্স: হজরত সাফিয়া বিনতে হুয়াই, ২০০৬)
আরও পড়ুনজান্নাতে আল্লাহর প্রতিবেশী হতে চেয়েছেন যে নারী১১ আগস্ট ২০২৩তারা কীভাবে আমার চেয়ে উত্তম হবে, যখন আমার পিতা নবী হারুন, আমার চাচা নবী মুসা এবং আমার স্বামী নবী মুহাম্মদ?সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৩,৮৯২ন্যায়সংগত দাবিতে দৃঢ়তাএকবার খলিফা উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) নবীজির স্ত্রীদের জন্য সাম্প্রতিক বিজয়ের লভ্যাংশ হিসেবে প্রত্যেককে ১২ হাজার দিরহাম (রৌপ্যমুদ্রা) বরাদ্দ করেন। কিন্তু সাফিয়া ও জুওয়াইরিয়া (রা.)-কে মাত্র ৬ হাজার দিরহাম দেওয়া হয়। উমরের যুক্তি ছিল, অন্য স্ত্রীরা মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেছেন, তাই তাঁরা বেশি পাবেন। সাফিয়া ও জুওয়াইরিয়া এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেন এবং অর্থ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। তাঁরা যুক্তি দেন, তাঁরা নবীজির স্ত্রী সকলে হিসেবে সমান মর্যাদার অধিকারী, তাই সমান অংশ পাওয়ার হকদার। তাঁদের এই দৃঢ় অবস্থানের কারণে উমর (রা.) সিদ্ধান্ত বদলান এবং তাঁদের ন্যায্য অংশ দেন। (আল-হিন্দি, কানযুল উম্মাল, ৫/৫৯৪)
পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগইহুদি বংশোদ্ভূত হওয়ার কারণে সাফিয়া প্রায়ই অভিযোগের সম্মুখীন হতেন। একবার তাঁর দাসী খলিফা উমরের কাছে অভিযোগ করে যে সাফিয়া ইসলাম গ্রহণ করলেও শনিবারের ‘সাবাথ’ পালন করেন এবং ইহুদিদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন। উমর (রা.) তাঁকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে সাফিয়া উত্তর দেন, আল্লাহ শুক্রবারের পবিত্রতা ও বরকত ঘোষণা করার পর তিনি শনিবারের গুরুত্ব ত্যাগ করেছেন। তবে তিনি তাঁর ইহুদি আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখেছেন, কারণ এটি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশ—পরিবারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখা। (ইবনে হাজার আসকালানি, আল-ইসাবা ফি তামইয আস-সাহাবা, ৭/৭৪১)
স্ত্রী হিসেবে ভূমিকাসাফিয়া (রা.) নবীজির সঙ্গে উন্মুক্তভাবে আলোচনা করতেন এবং প্রয়োজনে তাঁর পরামর্শ নিতেন। তিনি ইহুদি পরিবারের মেয়ে হওয়ায় প্রায়ই তাঁকে কথা শুনতে হতো। তিনি নবীজির কাছে এই সমস্যা তুলে ধরেন। নবীজি তাঁর অশ্রু মুছে দিয়ে বলেন: ‘তুমি কেন বলো না, “তারা কীভাবে আমার চেয়ে উত্তম হবে, যখন আমার পিতা নবী হারুন, আমার চাচা নবী মুসা এবং আমার স্বামী নবী মুহাম্মদ”?’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৩,৮৯২)
আরও পড়ুনযে নারী সাহাবির বিয়ের পরামর্শদাতা ছিলেন রাসুল (সা.)২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩নবীজি (সা.) সব সময় তাঁর পাশে থেকেছেন, এমনকি তাঁর পক্ষ থেকে অনুরোধ ছাড়াই তাঁর প্রতি আনুগত্যের সাক্ষ্য দিয়েছেন। নবীজির মৃত্যুশয্যায় সাফিয়া বিলাপ করে বলেছিলেন: ‘হে আল্লাহর নবী, আমি চাই, আপনার কষ্ট আমার মধ্যে চলে আসুক।’ অন্যরা তাঁর কথার প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করলেও নবীজি বলেন: ‘আল্লাহর কসম, আমি জানি সাফিয়া আনুগত্যশীল ও সত্যবাদী। সে যা বলেছে, সত্যিই তা মনে করেছে।’ (ইবনে সাদ, কিতাব আত-তাবাকাত আল-কাবির, ৮/১২৮)
তিনি তাঁর ইহুদি আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখেছেন, কারণ এটি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশ—পরিবারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখা। সামাজিক কাজে সক্রিয় অংশগ্রহণসাফিয়া (রা.) তাঁর সময়ের নাগরিক সমাজে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতেন। খলিফা উসমান ইবনে আফফান (রা.)-এর সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিদ্রোহের সময় তিনি উসমানের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি কেবল মৌখিক সমর্থনই দেননি, বরং সক্রিয়ভাবে বিদ্রোহ দমনে চেষ্টা করেছেন।
তিনি উসমানের সমর্থনে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য তাঁর খচ্চর প্রস্তুত করেছিলেন, যদিও বিরোধীরা তাঁর এই প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত করে। (সুহাইব ওয়েব, দ্য মাদার্স অব দ্য বিলিভার্স: হজরত সাফিয়া বিনতে হুয়াই, ২০০৬)
তিনি উসমানের অবরুদ্ধ পরিবারকে সাহায্য করার জন্য তাঁর বাড়ি থেকে উসমানের বাড়ি পর্যন্ত একটি সেতু তৈরি করেন, যাতে তাঁরা খাদ্য ও পানি পেতে পারেন। (ইবনে সাদ, কিতাব আত-তাবাকাত আল-কাবির, ৮/১২৮)
এ ছাড়া তিনি সমাজের দরিদ্রদের জন্য তাঁর নিজের মালিকানাধীন একটি বাড়ি দান করেন। (ফরিদা মাসউদ দেবাস, দ্য ওয়াইভস অব দ্য প্রফেট মুহাম্মদ, ২০০৬, ১৩৮)
সূত্র: ইসলাম রিলিজিয়ন ডটকম
আরও পড়ুনপ্রথম নারী হাওয়া (আ.)-র জন্ম যেভাবে০১ মে ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স অব দ য পর ব র র ম হ ম মদ উসম ন র আল ল হ কর ছ ন আম র চ র জন য ইসল ম করত ন ক রআন
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্গাপূজায় ২৯ জেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করল সম্প্রীতি যাত্রা
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের পাঁচটি জেলাকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এবং ২৪টি জেলাকে মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ‘সম্প্রীতি যাত্রা’ নামের একটি সামাজিক প্ল্যাটফর্ম।
আজ শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সাগর–রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানায় সম্প্রীতি যাত্রা।
উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলো হলো ঢাকা, রংপুর, যশোর, চাঁদপুর ও নোয়াখালী। মানচিত্র অনুযায়ী, মাঝারি ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলো হলো গাজীপুর, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা, কুষ্টিয়া, সুনামগঞ্জ, বরিশাল, পটুয়াখালী ও নেত্রকোনা। দেশের অন্য জেলাগুলোকে নিম্ন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করে সম্প্রীতি যাত্রা।
সম্প্রীতি যাত্রা জানায়, ২০১৪ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও মানবাধিকার প্রতিবেদনে প্রকাশিত পূজা ও অন্যান্য সময়ে পূজামণ্ডপ, শোভাযাত্রার রুট বা সংখ্যালঘু বাড়িঘরে হামলার ঘটনা বিশ্লেষণ করে তারা এই ঝুঁকির মানচিত্র তৈরি করেছে।
আয়োজকেরা জানান, বিভিন্ন লেখক, সাহিত্যিক, কবি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের উদ্যোগে সম্প্রীতি যাত্রা প্ল্যাটফর্ম গঠিত হয়েছে। শিগগিরই দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় এই প্ল্যাটফর্মের উদ্যোগে কমিটি গঠন করা হবে। যাঁরা বিভিন্ন মন্দির, মাজার, ধর্মীয় স্থাপনা ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করবেন।
সাংস্কৃতিক কর্মী বিথী ঘোষের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লেখক ও গবেষক মীর হুযাইফা। তিনি বলেন, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সেটি দেখার কথা। কিন্তু নানা অভিযোগে দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশে সম্প্রীতি বিনষ্টের অপতৎপরতা চলছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার পরিসর আরও বিস্তৃত হয়েছে। বৈষম্যহীনতার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ২০২৪ সালের গণ-আন্দোলনের পরও এ প্রবণতার কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটেনি।
ধর্মীয় স্বাধীনতা উপভোগ করা দেশের প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার উল্লেখ করে মীর হুযাইফা বলেন, ‘ধর্মীয়, জাতিগত, ভাষিক ও সংস্কৃতিগত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব। যদি আগাম প্রস্তুতি, কার্যকর আইন প্রয়োগ, জবাবদিহিমূলক প্রশাসনিক ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সমাজের অংশগ্রহণ একত্র করা যায়, তবে মন্দির, মাজার, আখড়া এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।’
সংবাদ সম্মেলন থেকে কয়েকটি পদক্ষেপের কথা জানায় সম্প্রীতি যাত্রা। এর মধ্যে রয়েছে স্থানীয় সম্প্রীতি কমিটি গঠন, মনিটরিং ও নথিভুক্তি, গুজব প্রতিরোধে তথ্যপ্রবাহ, দ্রুত সহায়তা কাঠামো এবং প্রতিবেদন ও নীতি-প্রস্তাব।
আয়োজকেরা জানান, সম্প্রীতি যাত্রা কেবল তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সংগঠিত কর্মসূচি নয়, বরং সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের জন্য কাঠামোগত সংস্কারের একটি দীর্ঘমেয়াদি আন্দোলন।
মন্দির, মাজার, আখড়া ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বাড়তি পুলিশ ও দ্রুত রেসপন্স টিম মোতায়েন, গুজব প্রতিরোধ কাঠামো তৈরি, অভিযোগ গ্রহণে স্বচ্ছতা, প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জরুরি সহায়তা প্রদানেরও আহ্বান জানায় সম্প্রীতি যাত্রা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক মাহা মির্জা বলেন, ‘যে ঘটনাগুলোর কথা আমরা বলছি, এই ঘটনাগুলো ইতিমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। কিন্তু আমরা সরকারের পক্ষ থেকে জোরালো পদক্ষেপ দেখতে পাইনি। আমরা মনে করি, সরকার যদি চায়, তাহলেই মব থামানো সম্ভব। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, অন্তর্বর্তী সরকার এই অপরাধগুলোর ব্যাপারে পুরোপুরি চোখ বন্ধ করে আছে।’
চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে দেশের সংখ্যালঘুরা ভয়ের মধ্যে আছে উল্লেখ করে মাহা মির্জা আরও বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মূল স্পিরিটের একটা জায়গা ছিল সহমর্মিতার বাংলাদেশ। মূল স্পিরিটের একটা জায়গা ছিল সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষ মিলেমিশে থাকবে। খুব সিম্পল একটা ব্যাপার। কিন্তু আমরা এই মুহূর্তে যে বাংলাদেশকে দেখছি, সেটা খুবই ভীতিকর এবং সরকারের আচরণে আমরা আসলে ক্ষুব্ধ।’
উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাংগঠনিক সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমলে হওয়া কোনো সাম্প্রদায়িক নিপীড়নের তদন্ত বা বিচার এখনো হয়নি। বর্তমান সরকারও সেই নীতি থেকে বের হয়নি। ফ্যাসিস্ট সরকারের নীতিতে চলছে। ফলে মাজারে হামলা বেড়েছে। সামাজিক প্রতিরোধ ছাড়া এ থেকে মুক্তি নেই।’
সংবাদ সম্মেলন থেকে সম্প্রীতি যাত্রা নামে দেশজুড়ে একটি কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। আয়োজকেরা জানান, সাম্প্রদায়িক উসকানি ও বিভ্রান্তি রোধে তারা একটি ফ্যাক্টচেকিং দল গঠন করবেন। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোর স্থানীয় নাগরিক ও সামাজিক সংগঠন, মাইনরিটি সংগঠন, সুফি ও মাজারভিত্তিক সংগঠন, বাউল ও ফকির সম্প্রদায়, আদিবাসী সংগঠন, নারী সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন, পেশাজীবী সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রগতিশীল ব্যক্তিদের নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চিন্তক ও শিল্পী অরূপ রাহী, লেখক ফেরদৌস আরা রুমী প্রমুখ।