বুমরাহর রেকর্ড ভাঙা দিনে পন্তকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত ম্যাঞ্জেরেকার
Published: 22nd, June 2025 GMT
হেডিংলিতে লিডস টেস্টের দ্বিতীয় দিন বল হাতে বাজিমাত করেছেন জাসপ্রিত বুমরাহ। ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের আগ্রাসী 'বাজবল' থিওরি কার্যত নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছেন এই ভারতীয় পেসার। ভারতের ৪৭১ রানের জবাবে দিন শেষে ইংলিশরা থেমেছে ৩ উইকেটে ২০৯ রানে। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন অলিভার পোপ (১০০)।
তবে আলোচনার কেন্দ্রে বুমরাহ। ৪৮ রান খরচায় নিয়েছেন ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। দিনের শেষ ওভারে টানা ৩টি ‘নো বল’ করলেও, তার আগ্রাসী লাইন-লেন্থের কাছে নাস্তানাবুদ ছিলেন ইংলিশ ব্যাটাররা। একটি নো বলেই জীবন পান হ্যারি ব্রুক। এদিনই এক বিশাল মাইলফলক স্পর্শ করেন বুমরাহ। দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া এই চার দেশগুলোতে এশিয়ান বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেট এখন ভারতীয় এই পেসারের।
এই চার দেশে ৬০ ইনিংসে বুমরাহর উইকেট এখন ১৪৮টি। এতদিন এই রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরামের দখলে, যিনি ৫৫ ইনিংসে নিয়েছিলেন ১৪৬ উইকেট। এছাড়া তালিকায় আছেন অনিল কুম্বলে (১৪১), ইশান্ত শর্মা (১৩০) ও মোহাম্মদ শামি (১২৩)।
অন্যদিকে, ব্যাট হাতে নজর কাড়ছেন ঋষভ পন্ত। উইকেটরক্ষক ব্যাটার হিসেবে তার টেস্ট ক্যারিয়ার নিয়ে এবার বিশেষ মন্তব্য করলেন সাবেক ক্রিকেটার ও বিশ্লেষক সঞ্জয় ম্যাঞ্জেরেকার। ‘জিয়োহটস্টার’-এ তিনি বলেন, ‘আমি যখন কোনো ব্যাটারকে দেখি, দেখি তার সেঞ্চুরিগুলো কোথায় হয়েছে। পন্তের কথা বললে, ও ইংল্যান্ডে সেঞ্চুরি করেছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় করেছে, আর অস্ট্রেলিয়ায় তো দুটি সেঞ্চুরি আছে।’
পন্তের টেস্ট পরিসংখ্যানও ম্যাঞ্জেরেকারের বক্তব্যকে জোরালো করছে। বিদেশের মাটিতে ধোনির ৪৮ টেস্টে ২৪৯৬ রান থাকলেও রয়েছে কেবল একটি সেঞ্চুরি। ফিফটি আছে ১৮টি। অপরদিকে, পন্ত মাত্র ৩০ টেস্টে বিদেশে করেছেন ১৯৭৬ রান। গড়েও এগিয়ে রয়েছেন ধোনির চেয়ে।
ধোনির প্রতি সম্মান রেখেই ম্যাঞ্জেরেকার বলেন, ‘আমি ধোনির ভক্তদের সম্মান করেই বলছি, টেস্ট ক্রিকেটে পন্ত তাকে ছাপিয়ে গেছে। ধোনির বিদেশের মাটিতে সেঞ্চুরি খুব কম, যেখানে পিচ কঠিন ছিল সেখানে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। পন্ত সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের মানুষ অসাধারণ, খাবার অসাধারণ: বিদায়বেলায় হানিয়া আমির
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসেই আলোচনার ঝড় তুলেছেন জনপ্রিয় পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমির। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে উন্মাদনার শেষ নেই।
পাকিস্তানে ফেরার আগে বাংলাদেশের মানুষের পাশাপাশি খাবারেরও প্রশংসা করেছেন হানিয়া। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টা ৫৭ মিনিটে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আসসালামু আলাইকুম, পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার সময় এসেছে। বাংলাদেশের ভক্ত ও জনগণকে বিদায় জানানো খুব কঠিন, যারা আমাকে সত্যিই ভালোবাসে এবং সমর্থন করে।’
হানিয়া লিখেছেন, ‘তোমাদের সবাইকে অনেক ভালোবাসি। খাবার অসাধারণ ছিল, মানুষগুলো অসাধারণ। অনেক ধন্যবাদ।’
আরও পড়ুনহানিয়া আমির কি পুরোনো প্রেমে ফিরছেন০১ জুলাই ২০২৫একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে ঢাকায় এসেছিলেন হানিয়া। ইতিমধ্যে তাঁর পাকিস্তানে ফেরার কথা রয়েছে।
পাকিস্তানের গণ্ডি পেরিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতেও তুমুল জনপ্রিয় হানিয়া। অভিনয় থেকে স্টাইল—সবখানেই তাঁকে নিয়ে অনুরাগীদের উন্মাদনা দেখা যায়।
২০১৬ সালে ‘জনান’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে হানিয়ার। এক দশকের ক্যারিয়ারে ‘মেরে হামসাফার’, ‘ফেইরি টেল’, ‘দিলরুবা’, ‘আনা’, ‘কাভি মে কাভি তুম’-এর মতো ধারাবাহিকে অভিনয় করে খ্যাতি পেয়েছেন তিনি।
হানিয়া আমির