কুনমিংয়ে চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে ত্রিদেশীয় বৈঠকে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
Published: 22nd, June 2025 GMT
বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তান একটি অনানুষ্ঠানিক ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করেছে। ১৯ জুন চীনের কুনমিংয়ে নবম চীন-দক্ষিণ এশিয়া প্রদর্শনী এবং ষষ্ঠ চীন-দক্ষিণ এশিয়া সহযোগিতা বৈঠকের ফাঁকে এই ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পোস্ট করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২১ জুন তারিখের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব মো.
বৈঠকে তিন পক্ষ এই অঞ্চলে শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে পারস্পরিক আস্থা, বোঝাপড়া ও অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে সম্ভাব্য ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে মতবিনিময় করে।
বৈঠকে গভীর সহযোগিতার জন্য কয়েকটি ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে অবকাঠামো, সংযুক্ততা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, সামুদ্রিক বিষয়াবলি, আইসিটি, দুর্যোগ প্রস্তুতি ও জলবায়ু পরিবর্তন।
তিন পক্ষ উন্মুক্ততা, অন্তর্ভুক্তি, সদ্ভাবপূর্ণ প্রতিবেশিতা ও পারস্পরিক কল্যাণের নীতির ভিত্তিতে সহযোগিতা গড়ে তোলার বিষয়ে সম্মত হয়।
বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব উল্লেখ করেন, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অংশীদার হিসেবে তিন দেশ নিজ নিজ জাতীয় দৃষ্টিভঙ্গিকে ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রেখে একযোগে কাজ করতে পারে। তিনি এই তিন বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারত্ব গড়ে তোলার গুরুত্বের ওপর জোর দেন, যাতে দেশগুলোর জনগণের সত্যিকারের উপকার নিশ্চিত করা যায়, তাঁদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সহয গ ত
এছাড়াও পড়ুন:
ক্লাব বিশ্বকাপে গরম আর ঝড়–বৃষ্টিই শিরোনাম, ২০২৬ বিশ্বকাপে কী হবে
দরদর করে ঘামছিলেন বরুসিয়া ডর্টমুন্ড কোচ নিকো কোভাচ। ডাগআউটে দাঁড়িয়েই এই অবস্থা হয়েছিল তাঁর। হওয়ারই কথা, বাংলাদেশ সময় কাল রাতে যখন দক্ষিণ আফ্রিকার দল মামেলোদি সানডাউনসের মুখোমুখি হলো বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, সিনসিনাটির তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন গরমে খেলতে অনভ্যস্ত ডর্টমুন্ড কোচ ম্যাচ শেষে বললেন, ‘এমনভাবে ঘামছি, মনে হচ্ছে মাত্রই সনা (বাষ্পস্নান) থেকে বেরোলাম।’
নিজে ডাগআউটে দাঁড়িয়ে ঘেমেনেয়ে একাকার হলেও মাঠের বাইরে থাকা খেলোয়াড়দের বাঁচাতে অভিনব পদ্ধতিই অবলম্বন করেছিলেন কোভাচ। বদলি খেলোয়াড়দের ডাগআউটে না রেখে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ড্রেসিংরুমে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। সেখানে বসেই তাঁরা টেলিভিশনে প্রথমার্ধের খেলা দেখেন। ড্রেসিংরুমে বসে খেলোয়াড়েরা খেলা দেখছেন, এমন ছবি নিজেদের এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে ডর্টমুন্ড লিখেছে, ‘টিকিউএল স্টেডিয়ামের গনগনে তাপ থেকে বাঁচাতে আমাদের বদলিরা লকার রুমে বসে প্রথমার্ধের খেলা দেখেছে। এমন কিছু আগে দেখা যায়নি, কিন্তু কী করা! এই গরমে আসলে আর কীই–বা করার ছিল।’
এই গরমে খেলে সানডাউনসকে কোভাচের দল ৪-৩ গোলে হারালেও ম্যাচের শেষ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকানরা ভালোই চেপে ধরেছিল। স্থানীয় সময় দুপুরে শুরু হওয়া ম্যাচটি নিয়ে আগে থেকেই অবশ্য উদ্বিগ্ন ছিলেন কোভাচ। ম্যাচের আগেই তিনি উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন, ‘দুই দলের জন্যই কঠিন হবে। তবে প্রতিপক্ষ দলটি এই আবহাওয়ায় খেলে অভ্যস্ত।’
শুধু কি গরম, ঝড়-বৃষ্টিও কম ঝামেলায় ফেলছে না ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপকে। এ পর্যন্ত চারটি ম্যাচ শুরু করতে দেরি হয়েছে কিংবা মাঝপথে থেমেছিল বজ্রঝড়ে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসও ভালো কিছু বলছে না। বরং শঙ্কিত হওয়ার মতোই খবর পাওয়া গেছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস থেকে। যেখানে বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহে তীব্র তাপপ্রবাহে অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।
গরমের কারণে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বদলি খেলোয়াড়েরা কাল মামেলোদি সানডাউনস–ডর্টমুন্ড ম্যাচের প্রথমার্ধটা দেখেছে লকার রুমে বসে