করোনা বিষয়ে চারটি পৃথক কমিটি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কমিটিতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের বাইরে আন্তর্জাতিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ও জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থার বিশেষজ্ঞদের রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে এই কমিটি সম্পর্কে জানা গেছে।
চারটি কমিটি হচ্ছে কোভিড–১৯ কারিগরি কমিটি, কোভিড–১৯ রোগনির্ণয় ও ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কমিটি, কোভিড–১৯ অত্যাবশ্যকীয় হাসপাতাল সেবা ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং কোভিড–১৯ বিষয়ক গণমাধ্যম এবং তথ্য ব্যবস্থাপনা কমিটি।
১৪ সদস্যের কোভিড–১৯ কারিগরি কমিটির সভাপতি করা হয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনাল মেডিসিনের অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ আরাফাতকে। এই কমিটি কোভিড–১৯ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক পরিকল্পনা, কৌশলপত্র তৈরির পাশাপাশি সার্বিক ব্যবস্থাপনা তত্ত্বাবধান করবে এবং টিকা দেওয়ার ব্যাপারে কৌশল ঠিক করবে। বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম এ ফয়েজকে এই কমিটির উপদেষ্টা করা হয়েছে।
কোভিড–১৯ রোগনির্ণয় ও ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কমিটির সদস্য ১২ জন এবং কোভিড–১৯ অত্যাবশ্যকীয় হাসপাতাল সেবা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ১১ জন।
কোভিড–১৯ বিষয়ক গণমাধ্যম এবং তথ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ৮ জন। এই কমিটির মুখপাত্র সিডিসির লাইন ডিরেক্টর। দৈনিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি তৈরি করা, প্রেস ব্রিফ করা, করোনার তথ্য সংরক্ষণ করা এই কমিটির দায়িত্ব।
কমিটিগুলো তৈরি করা হয়েছে ১৮ জুন। অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে কমিটিগুলো এখনো কাজ শুরু করেনি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ভ ড ১৯ কম ট র ব ষয়ক সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামী লীগ ও ভারতের জন্য বাংলাদেশে একটা দাঙ্গা প্রয়োজন: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
আওয়ামী লীগ ও ভারতের জন্য বাংলাদেশে একটা দাঙ্গা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, তাহলে রাজনৈতিক মোড়টা ঘুরতে পারে, নির্বাচন বানচাল হতে পারে। সে জন্যই জাতীয় স্বার্থে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র এ কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী মতাদর্শের সনাতনীদের নিয়ে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটি এ সমাবেশের আয়োজন করে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘শেখ মুজিব বিহারি-বাঙালি দাঙ্গা লাগিয়ে, বিহারি-বাঙালি আলাদা করে ১৯৭০–এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিলেন এই অঞ্চলের লোকদের বাঙালি বানিয়ে। এ ধরনের ঘটনা ঘটানোরও পেছনে আওয়ামী লীগ অত্যন্ত পটু। দরকার হলে নিজের ঘরে আগুন দিয়ে দেবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা আরও বলেন, সাম্প্রদায়িকতার মাঝে একটা রাজনীতি আছে। এ ভারতবর্ষে, এ উপমহাদেশে অনেক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে রাজনৈতিক কারণে। কিছু গুজবের কারণে। ভারতে এসব দাঙ্গা এখনো চলমান। রাজনৈতিক কুটিলতার মধ্যে এ সাম্প্রদায়িকতা এখন না, হাজার বছর আগে থেকে আছে।
কোনো মানুষ কিংবা ধর্ম সাম্প্রদায়িক নয় উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, কখনো কোনো কিছু মোকাবিলা করার জন্য দাঙ্গা-ফ্যাসাদ করাতে হয়। যাতে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি আরেক দিকে চলে যায়। এইচ এম এরশাদও ’৮৮ সালে এ কাজটা করেছিলেন। বাংলাদেশে মুসলমান নয়, হিন্দুরাই হিন্দুদের শত্রু, হিন্দুরাই হিন্দুদের ক্ষতি করে।
গয়েশ্বর আরও বলেন, ‘আমি হিন্দু–মুসলমানের ব্যবধান বুঝি না। আমি খারাপ আর ভালো লোকের ব্যবধান বুঝি। সৎ লোক–প্রতারকের ব্যবধান বুঝি। আমি সাম্প্রদায়িকতা পছন্দ করি না, অসাম্প্রদায়িক জীবন যাপন করতে পছন্দ করি।’
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘হিন্দু-মুসলমান আমরা একটা বৃহত্তর সংস্কৃতির অংশ। এখানে কোনো প্রভেদ ছিল না, কোনো বিভেদ ছিল না। এটাকে শেখ হাসিনা ভাঙতে চেয়েছেন।
দেখাতে চেয়েছেন এই দেশ বিভেদ–বিভাজনে ভরপুর। সুতরাং আমাকে সমর্থন করো। অন্য বিরোধী দল কাউকে সমর্থন করবে না। এ কারণে তিনি জোর করে জনসমর্থন ব্যতিরেকে দিনের ভোট রাতে করে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের যেতে না দিয়ে নির্বাচন কমিশন দিয়ে ভোট করেছেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করেছেন।’
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পূজা উদ্যাপন ফ্রন্টের সভাপতি অপর্ণা রায় দাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, যুগ্ম মহাসচিব মীর সরাফত আলী, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী এবং জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক।