ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাথমিক পর্যায়ে তাঁর রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বীদের এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করে জয়ী হন। এর পেছনে একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল এই– তিনি নাইন-ইলেভেন পরবর্তী যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধগুলোকে ‘দুর্যোগ’ আখ্যা দিয়েছিলেন। এর পর ২০২০ সালে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনিও মধ্যপ্রাচ্যের অবিরাম যুদ্ধের বিরোধিতাকেই গুরুত্ব দিয়েছিলেন। গত নির্বাচনী প্রচারণায় ডোনাল্ড ট্রাম্প এসব বিষয়েই জোর দেন এবং তাঁর দল রিপাবলিকান পার্টি ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রতিরোধ’ করার প্রতিশ্রুতি দেয়। অথচ এখন সেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের বেপরোয়া যুদ্ধে যোগ দিলেন। এর মাধ্যমে ট্রাম্প তাঁরই কূটনৈতিক কৌশলকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছেন, যদিও তা সফলতার মুখ দেখছিল। এই যুদ্ধ লাখ লাখ মার্কিন শ্রমজীবীর সঙ্গে বেইমানির শামিল, যারা বিদেশিদের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য নয় বরং তাদের দেশকে পুনর্জীবন দেওয়ার জন্য তাঁকে ভোট দিয়েছিল।

আমরা দু’জন লেখক ক্যারিয়ারের দিক থেকে দুই মেরুর। একজন ডেমোক্রেটিক বিদেশনীতি নিয়ে কাজ করছেন এবং প্রগতিশীল এক আইনপ্রণেতার উপদেষ্টা। আরেকজন কনজারভেটিভ লেখক ও সম্পাদক। যুদ্ধের বিরুদ্ধে কেবল আমরাই নই; সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স ও রিপ্রেজেন্টেটিভ আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিয়া কর্টেজের মতো নেতাও সেন জোশ, মারজোরি টেলর গ্রিন, টাকার কার্লসন, স্টিফেন কে বেনন ও চার্লি কির্কের মতো মাগা (মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেন) ঘরানার রক্ষণশীলদের সঙ্গে যুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। রিপাবলিকান যুদ্ধপন্থিদের চাপের মধ্যেও এদের কণ্ঠ উচ্চকিত।

সম্প্রতি আমেরিকায় ইউগভ জরিপে দেখা গেছে, মার্কিন নাগরিকদের মাত্র ১৬ শতাংশ ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিকভাবে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে সমর্থন জানিয়েছে। অন্যদিকে ৬০ শতাংশ এর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। ডেমোক্র্যাট (৬৫ শতাংশ), স্বতন্ত্র (৬১ শতাংশ) ও রিপাবলিকানদের (৫৩) অধিকাংশই যুদ্ধ চায় না। তারা ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার বিরোধিতা করেছে। মে মাসে করা ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের এক জরিপ দেখিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ মানুষ ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে যুদ্ধের পরিবর্তে কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে সমর্থন দিয়েছে।
ট্রাম্পের মতে, ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে একটি হামলাই নাকি যথেষ্ট। এমন দাবি ২২ বছর আগে প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশও করেছিলেন। ইরাক যুদ্ধকে তিনি বলেছিলেন ‘কেকওয়াক’ তথা খুব সহজে জয়লাভ করা যাবে। বাস্তবে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান যুদ্ধ এতটা সহজ হবে না। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দা মেশিন সংঘাতের প্রথম কয়েক দিন কিছু সফলতা অর্জন করেছিল বটে, ইরাকে মার্কিন হামলার প্রথমদিকেও এমনটা দেখা গিয়েছিল। 

কিন্তু প্রথম দফার এই ধোঁয়াশা কাটার পর যা হবে, সমস্যা সেখানেই। সামরিক কৌশলবিদরা অনেক দিন ধরেই সতর্ক করে আসছিলেন, কেবল বিমান হামলায় লক্ষ্য অর্জন কল্পনামাত্র। যুক্তরাষ্ট্র ফর্দো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান– তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে বোমা মেরেছে। ইরান যেহেতু পাহাড়ের গভীরে এসব কেন্দ্র স্থাপন করেছে, সে জন্য বোমা হামলা নিচের দিকে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, বলা মুশকিল।
এমনকি ট্রাম্প প্রশাসন হয়তো এই ভেবে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে পারে– একটি হামলাই যথেষ্ট। অথচ সেখানেই শেষ নয়। ইরানও তার প্রতিশোধ নিতে পারে। ইরান হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দিতে পারে, যেখান দিয়ে বিশ্বের তেলের ২০ শতাংশ পরিবহন করা হয় এবং তারা মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাজুক ঘাঁটিগুলো টার্গেট করতে পারে। এমন হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা আক্রমণ করতে পারে এবং এভাবে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বড় যুদ্ধ শুরু হতে পারে। 
যুদ্ধকে পরবর্তী ধাপে নেওয়ার মতো সিদ্ধান্তে সংকট আরও ঘনীভূত হবে। বিকল্প হলো, যেহেতু ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালিয়েছেন, এখন তাঁর উচিত হবে ইসরায়েলকে যুদ্ধ বন্ধ করতে আহ্বান জানানো। যুদ্ধের পরিবর্তে তাঁকে কূটনৈতিক পথ গ্রহণ করতে বলা। এই মুহূর্তে জরুরি হলো একটি চুক্তি করা, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ এবং নজরদারিতে আনা। 

২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধেও এমন বিকল্প ছিল, কিন্তু তা ভেস্তে যায়। বুশ প্রশাসন কূটনৈতিক চেষ্টার পরিবর্তে যুদ্ধের পথ বেছে নেয়, যা শক্তিমত্তা নয় বরং ছিল দুর্বলতার প্রকাশক। ট্রাম্প নিশ্চয় সেই ভুল করবেন না। ২০০৩ সাল থেকে এবারের পার্থক্য হলো, তখন ভিন্ন কণ্ঠস্বর ছিল কম। এখন ডান-বাম উভয় পক্ষই যুদ্ধবিরোধী। বলা বাহুল্য, আমরা যদি এক হয়ে এর বিরুদ্ধে না দাঁড়াই, তবে যুদ্ধ মেশিন আমাদের সহজেই পরাজিত করবে।

ম্যাথু ডাস ও সোহরাব আহমারি: যথাক্রমে সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সের সাবেক বিদেশনীতি-বিষয়ক পরামর্শক ও আনহার্ডের যুক্তরাষ্ট্রবিষয়ক সম্পাদক; ওয়াশিংটন পোস্ট থেকে সংক্ষেপিত ভাষান্তর মাহফুজুর রহমান মানিক

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র র প বল ক ন ক টন ত ক ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

২০ বছর ধরে অচল চুয়েট কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চুয়েটেকসু) দুই দশক ধরে অচল। সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০০২ সালে। এরপর ২০০৩ ও ২০০৫ সালে ভোট ছাড়াই কমিটি গঠন করা হয়। তার পর থেকে সংসদের কার্যক্রম পুরোপুরি থেমে আছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ অক্টোবর ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে চুয়েটের শিক্ষার্থীরাও সংসদ চালু হবে কি না—এই প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান জানাতে শুরু করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতিমধ্যে অনেকেই পোস্ট দিয়ে নির্বাচন দাবি করেছেন।

নথিপত্র ঘেঁটে জানা যায়, ২০০২ সালের ৪ এপ্রিল চুয়েটেকসুর সর্বশেষ নির্বাচন হয়। ছাত্রদল–সমর্থিত শফিউল আজম সহসভাপতি ও নুরুল আজম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৩ ও ২০০৫ সালে ভোট ছাড়াই ছাত্রদল–সমর্থিত প্রার্থীদের কমিটি ঘোষণা করা হয়। তবে নির্বাচন হয়নি। এক সময় কমিটি দেওয়াও বন্ধ হয়ে যায়।

২০০৩ সালের কমিটিতে ক্রীড়া সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন মনসুর আহমেদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের সমঝোতার ভিত্তিতেই ভোট ছাড়াই কমিটি গঠন হয়েছিল। এরপর নির্বাচনের আয়োজনও করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

২০০৫ সালের কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাহাত হায়দার বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তখন নির্বাচন হয়নি। সমঝোতার মাধ্যমে তখন কেন্দ্রীয় সংসদের ৬টি পদের একটি আমরা শিবিরের জন্য ছেড়ে দিয়েছিলাম।

১৯৬৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর ‘চট্টগ্রাম প্রকৌশল কলেজ’ নামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের অধীনে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ১৯৮৬ সালের ১ জুলাই এটি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি), চট্টগ্রাম রূপে উন্নীত করা হয়। পরবর্তী সময়ে ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর একটি সরকারি অধ্যাদেশের মাধ্যমে এটিকে পূর্ণাঙ্গ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দিয়ে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) নামকরণ করা হয়।

অন্যদিকে চুয়েটে ছাত্র সংসদ চালু হয় ১৯৭০ সালে। প্রথম ভিপি ছিলেন চুয়েটের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোসাদেকুজ্জামান।

অচল সংসদ, সচল চাঁদা

২০০৫ সালের তৎকালীন কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে চুয়েটেকসুর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। যদিও ২০১১ সালে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে নির্বাচন দাবি তুলেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩তম সিন্ডিকেট সভায় নির্বাচন করার সিদ্ধান্তও হয়, তারিখও ঘোষণা করা হয় ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে। কিন্তু ছয় দিন যেতে না যেতেই প্রশাসন নির্বাচন স্থগিত করে।

মূলত নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরি ও নির্বাচন আয়োজনে প্রয়োজনীয় কাজ সময় সাপেক্ষ হওয়ার অজুহাতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর থেকে ছাত্র সংসদ চালুর বিষয়ে আর কোনো উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন।

সংসদ অচল থাকলেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতিবছর ১০০ টাকা করে ছাত্র সংসদ ফি নেওয়া হচ্ছে। চার বছরের কোর্সে একজন শিক্ষার্থীকে গুনতে হচ্ছে ৪০০ টাকা। বর্তমানে চুয়েটে ৪ হাজার ৬২৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। অর্থাৎ বছরে প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা সংসদ তহবিলে জমা হচ্ছে। এই অর্থ কোথায় যাচ্ছে, শিক্ষার্থীরা কিছুই জানেন না।

পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বললেন, ‘২০ বছর ধরে সংসদ নেই, অথচ আমরা প্রতিবছর ফি দিয়ে যাচ্ছি। যদি সংসদ গঠন সম্ভব না হয়, এই অর্থ নেওয়া বন্ধ করা হোক। এত দিনে যা জমেছে, তারও হিসাব চাই।’

তহবিলের বিষয়ে ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক মাহবুবুল আলম বলেন, ‘সংসদের তহবিলের তথ্য আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে জানাতে হবে।’

কার্যালয় এখন তালাবদ্ধ

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশে টিনশেডের একটি ভবনেই চুয়েটেকসুর কার্যালয়। দুই দশক ধরে কার্যক্রম না থাকায় ভবনটি এখন ধুলোবালি আর মাকড়সার জালে ভরা। এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন কার্যালয়টি ছাত্রলীগের দখলে ছিল। সেখানে মাদক সেবন ও শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনাও ঘটেছে। কম্পিউটারবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী জামিল আহসান অভিযোগ করেন, ২০১৮ সালে ক্যাম্পাসে তাঁকে আটকে রড, হাতুড়ি দিয়ে মারধর করা হয়েছিল। পরে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়।

শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা, কর্তৃপক্ষের শর্ত

শিক্ষার্থীদের মধ্যেও নতুন করে আলোচনার ঝড় উঠেছে। কেউ সংসদকে গণতান্ত্রিক চর্চার অপরিহার্য ‘প্ল্যাটফর্ম’ মনে করছেন।

চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নাহিন মুনকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সংসদ থাকলে নির্বাচিত প্রতিনিধি আমাদের দাবিদাওয়ার কথা প্রশাসনের কাছে তুলতে পারতেন। তবে সংসদকে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি থেকে মুক্ত রাখতে হবে।’

পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী রবিউল আউয়াল বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা ও গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব গড়ে তোলার জন্য সংসদ জরুরি। প্রশাসনের জবাবদিহিও বাড়বে। নতুন পরিস্থিতিতে নির্বাচন আয়োজন করা উচিত।

নির্বাচন আয়োজন করা হবে কি না, এমন প্রশ্নে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মাহমুদ আবদুল মতিন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে দাবি উঠলে প্রশাসন সংসদ পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেবে।

তহবিলের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই অর্থ অন্য খাতে ব্যবহার হওয়ার কথা নয়। তবে শিক্ষার্থীদের উন্নয়নসংক্রান্ত কাজে ব্যয় হচ্ছে কি না, সেটা খোঁজ নিতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ২০ বছর ধরে অচল চুয়েট কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ