শুনানিতে কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল বললেন, ‘আমার বুকে সার্জারি হয়েছে’
Published: 23rd, June 2025 GMT
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় রিমান্ড শুনানির জন্য ঢাকা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল হককে আজ সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়।
শুনানির একপর্যায়ে মনিরুল কান্নাজড়িত কণ্ঠে আদালতকে বলেন, ‘আমার বুকে সার্জারি হয়েছে।’ এ কথা বলার পর তিনি তাঁর পরনের পাঞ্জাবির বোতাম খুলে ফেলেন। বুক দেখিয়ে তিনি বলতে থাকেন, ‘আমি খুব অসুস্থ।’
আজ সকাল আটটার দিকে কারাগার থেকে ঢাকার আদালতের হাজতখানায় মনিরুলকে আনা হয়। তিনি ছাড়াও আজ সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলামকে আদালতের হাজতখানায় আনা হয়।
সকাল ১০টার দিকে হাজতখানা থেকে কড়া নিরাপত্তায় আসামিদের সিএমএম আদালত কক্ষে তোলা হয়। কাঠগড়ায় তোলার পর একে একে আসামিদের দুই হাত পেছনে নিয়ে পরিয়ে দেওয়া হাতকড়া খুলে দেওয়া হয়। তাঁদের প্রত্যেকের এক হাতে হাতকড়া পরিয়ে দেয় পুলিশ।
আনিসুল হকের ডান পাশে ছিলেন সালমান এফ রহমান। বাম পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাজুল ইসলাম। তাঁরা নিজেদের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। পরে আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান ও শাজাহান খান নিজেদের মধ্যে কথা বলতে থাকেন।
সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খানকে আজ সোমবার ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৫ দিনের রিমান্ডে
রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা মনির হোসেন হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলামকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমান আজ বুধবার এ আদেশ দেন।
একই হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য সোলাইমান সেলিমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঢাকার সিএমএম আদালতের এডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, আজ সকাল নয়টার দিকে কামরুল ইসলাম ও সোলাইমান সেলিমকে আদালতে হাজির করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার পর তাঁদের আদালতের এজলাসে তোলা হয়। মনির হোসেন হত্যা মামলায় কামরুল ইসলামকে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে পুলিশ। আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ চাওয়া হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে কামরুল ইসলামকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।
অন্যদিকে এ মামলায় সোলাইমান সেলিমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। আদালত এ আবেদন মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুনআদালত প্রাঙ্গণে সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলামের একবেলা১৮ মার্চ ২০২৫গত বছরের ১৮ নভেম্বর কামরুল ইসলাম গ্রেপ্তার হন। আর ১৪ নভেম্বর সোলাইমান সেলিম গ্রেপ্তার হন। এর পর থেকে তাঁরা কারাগারে আছেন।
আরও পড়ুনকামরুল ইসলামের আরও ১৬টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা অবরুদ্ধ করার আদেশ১০ এপ্রিল ২০২৫