ডোমারে বজ্রপাতে স্কুলছাত্র নিহত, আহত ৩
Published: 23rd, June 2025 GMT
নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় বজ্রপাতে মো. হাসান (১৩) নামে এক স্কুলছাত্র মারা গেছে। এ ঘটনায় তার ছোট ভাইসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৩ জুন) বিকেলে উপজেলার বামুনিয়া ইউনিয়নের দোলাবাড়ি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। বামুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মমিনুর রহমান বজ্রপাতে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মারা যাওয়া হাসান বামুনিয়া মিস্ত্রিপাড়া এলাকার সাজু মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
আরো পড়ুন:
ঠাকুরগাঁওয়ে বজ্রপাতে দিনমজুরের মৃত্যু
রৌমারীতে সাপের কামড়ে নারীর মৃত্যু
আহতরা হলো- নিহত হাসানের ছোট ভাই মো.
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে হাসান ও তার ছোট ভাই হাঁস আনতে বাড়ির পাশে যায়। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই হাসানের মৃত্যু হয়। হোসাইনসহ আহত হন তিনজন। স্থানীয়রারা তাদের উদ্ধার করে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রায়হান বারী বলেন, “হাসানকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। হোসাইনের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। আহত অন্য দুজনের চিকিৎসা চলছে।”
ডোমার থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান।”
ঢাকা/সিথুন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনাকে কোনো অবস্থাতেই ফেরত পাঠাবে না ভারত: রাজনৈতিক বিশ্লেষ
২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার অপর আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের সাজা।
গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা এবং এরপর থেকে তিনি ভারত সরকারের আশ্রয়েই রয়েছেন। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনার অনুপস্থিতি তার বিচার পরিচালনা করে। আজ সোমবার রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সাবেক পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বলেন, “হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের এই রায় প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না ভারত।”
আলজাজিরাকে দেওয়া মন্তব্যে দত্ত আরো বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ভারত তাকে প্রত্যর্পণ করবে না। গত দেড় বছরে আমরা দেখেছি যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো অবস্থায় নেই এবং অনেক সময়ই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।”
দত্ত বলেন, “হাসিনার মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশিত ছিল।”
তিনি বলেন, “সবাই বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখেছেন। সবাই আশা করেছিলেন যে হাসিনার বিচার হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা একমত যে, বাংলাদেশে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দেশের আইনি ব্যবস্থা অনুসরণ করেছে।”
দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে কারো সন্দেহ নেই। স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।”
দত্তের ভাষ্যমতে, “আওয়ামী লীগ এখন একটি পাল্টা ব্যাখ্যা তৈরির তৈরি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু বাংলাদেশিরা মূলত বিশ্বাস করেন যে- হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।”
ঢাকা/ফিরোজ