আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করায় ভারতের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্তকে আনুষ্ঠানিকভাবে তিরস্কার করেছে আইসিসি। হেডিংলি টেস্টের তৃতীয় দিনে এ ঘটনা ঘটেছে। আইসিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পন্ত লেভেল ওয়ান পর্যায়ের নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন।

আরও পড়ুনটাং বললেন আমরা খেলব, রাহুল বোঝালেন আসো খেলব৫১ মিনিট আগে

চলমান হেডিংলি টেস্টে ভারতের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেন পন্ত। অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের পর ইতিহাসের দ্বিতীয় উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করলেন। ইংল্যান্ড দলের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সময় পন্তের নিয়ম লঙ্ঘন করা আচরণ আমলে নেয় আইসিসি।

আইসিসি ‘প্লেয়ার্স অ্যান্ড প্লেয়ার্স সাপোর্ট পার্সোনেল’ আচরণবিধির ২.

৮ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছেন পন্ত। এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করা।’ এর পাশাপাশি পন্তের শৃঙ্খলা রেকর্ডে ১টি ডিমেরিট পয়েন্টও যোগ করা হয়েছে। গত ২৪ মাসে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটালেন পন্ত।

ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৬১তম ওভার শেষে ঘটনাটি ঘটে। বল ‘গেজ’ (বলের আকার পরিমাপের বস্তু) দিয়ে আম্পায়াররা বলের আকৃতি ও আকার ঠিক আছে কি না, তা পরীক্ষা করছিলেন। আম্পায়াররা বল না পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নেন। পন্ত এতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। অসন্তোষ প্রকাশে আম্পায়ারদের সামনে বল মাটিতে ছুড়ে মারেন।

আরও পড়ুনভারতের সাবেক স্পিনার দিলীপ দোশী আর নেই৩ ঘণ্টা আগে

হেডিংলি টেস্টের ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসনের কাছে পন্ত নিজের দোষ স্বীকার করে শাস্তি মেনে নেওয়ায় আর শুনানির প্রয়োজন পড়েনি। মাঠের আম্পায়ার পল রেইফেল ও ক্রিস গ্যাফানে, তৃতীয় আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবন শহীদ ও চতুর্থ আম্পায়ার মাইক বার্নসও এই শাস্তির সঙ্গে একমত হয়েছেন।

হেডিংলি টেস্টে ভারতের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেন পন্ত

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম প য় র আইস স

এছাড়াও পড়ুন:

ইসলামী ব্যাংকের ১০ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

নিয়ম বহির্ভূতভাবে ঋণ প্রদান করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন থাকায় ইসলামী ব্যাংকের ১০ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা হলেন- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা, ব্যাংকটির কর্মকর্তা মিফতাহ উদ্দিন, মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম, মোহাম্মদ সিরাজুল কবির, মুহাম্মদ কায়সার আলী, তাহের আহমেদ চৌধুরী, মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ, হোসেন মোহাম্মদ ফয়সাল, আহমেদ জুবায়েতুল হক ও এস. এম. তানভির হাসান।

এদিন তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক।

আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য টিম গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ অনুসন্ধানকালে জানা যায়, এস আলমের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে নিয়মবহির্ভূতভাবে ঋণ প্রদানে সহায়তা করা ইসলামী ব্যাংকের অভিযুক্ত কর্মকর্তারা দেশত্যাগ করার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে চলে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হতে পারে। এজন্য অনুসন্ধান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া একান্ত আবশ্যক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ