জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন এবং ভাস্কর্য বিভাগের নাম পরিবর্তন
Published: 24th, June 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ‘আইন ও ভূমি প্রশাসন’ এবং ভাস্কর্য বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ‘ত্রিমাত্রিক শিল্প ও নকশা’ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৬ মে একাডেমিক কাউন্সিলের ৭৪তম সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ২ জুন সিন্ডিকেটের ১০১তম সভায় এটি অনুমোদন পায়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত-১৮ অনুযায়ী, বিভাগের শিক্ষার্থীদের আবেদন, স্মারকলিপি, বিভাগীয় একাডেমিক কমিটি ও আইন অনুষদের নির্বাহী কমিটির সুপারিশ বিবেচনায় ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগ থেকে ‘আইন ও ভূমি প্রশাসন’ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ত্রিমাত্রিক শিল্প ও নকশা বিভাগের চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘দীর্ঘ সময় পর বিভাগের নামে পরিবর্তন এসেছে। অনেক আগে থেকে আমরা আবেদন করে রেখেছিলাম। বিভাগের নামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন পরিকল্পনার আলোকে বিভাগের শিক্ষার কাঠামো সাজানো হবে। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার সঙ্গে ঐতিহ্যগত সংস্কৃতিও বজায় থাকবে। শিক্ষার্থীদের জন্য বিভাগের বিষয় উপকরণগুলো যেন উপযোগী হয়, সেভাবে প্রস্তুত করা হবে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ও আইন
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনাকে কোনো অবস্থাতেই ফেরত পাঠাবে না ভারত: রাজনৈতিক বিশ্লেষ
২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার অপর আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের সাজা।
গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা এবং এরপর থেকে তিনি ভারত সরকারের আশ্রয়েই রয়েছেন। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনার অনুপস্থিতি তার বিচার পরিচালনা করে। আজ সোমবার রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সাবেক পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বলেন, “হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের এই রায় প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না ভারত।”
আলজাজিরাকে দেওয়া মন্তব্যে দত্ত আরো বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ভারত তাকে প্রত্যর্পণ করবে না। গত দেড় বছরে আমরা দেখেছি যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো অবস্থায় নেই এবং অনেক সময়ই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।”
দত্ত বলেন, “হাসিনার মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশিত ছিল।”
তিনি বলেন, “সবাই বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখেছেন। সবাই আশা করেছিলেন যে হাসিনার বিচার হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা একমত যে, বাংলাদেশে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দেশের আইনি ব্যবস্থা অনুসরণ করেছে।”
দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে কারো সন্দেহ নেই। স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।”
দত্তের ভাষ্যমতে, “আওয়ামী লীগ এখন একটি পাল্টা ব্যাখ্যা তৈরির তৈরি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু বাংলাদেশিরা মূলত বিশ্বাস করেন যে- হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।”
ঢাকা/ফিরোজ