বন্দরে জমি মাপঝোপ করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় ৩ মহিলাসহ ৫ জন রক্তাক্ত জখম হয়েছে। আহতরা হলো রফিজ উদ্দিন (৫৫) শাহানাজ বেগম (৩৮),আখি আক্তার (৪৫), নাসিমা বেগম (৬০), বড় ভাই রেজাউল করিম (৭০)।

স্থানীয়রা আহতদের মারাত্মক জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর  আহত রফিজ উদ্দিনকে ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

এ ঘটনায় শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী পারভেজ, ফাতেমা,বাবু, তানিয়া, পারুল ও জুয়েলের নাম উল্লেখ্য করে আরো ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ১১টায় বন্দর থানার উত্তর লক্ষনখোলা এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করে।

অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার উত্তর লক্ষনখোলা এলাকার মৃত আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলামদের সাথে একই এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে পারভেজ একই এলাকার আব্দুল মারুফ মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা গংদের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল।

উল্লেখিত জমি নিয়া বিজ্ঞ আদালতে মামলা বিচারাধীন আছে। এর ধারাবাহিকতা মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বন্দর থানাধীন উত্তর লক্ষনখোলা এলাকায় উল্লেখিত জমি মাপঝোপ করার জন্য বন্দর উপজেলা ভূমি অফিস থেকে  লোকজন আসে।

পরে  বন্দর উপজেলা ভূমি অফিসের লোকজন মাপঝোপ করিয়া চলে যায়। জমি মাপঝোপ করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী পারভেজ, ফাতেমা, বাবু, তানিয়া, পারুল ও জুয়েলসহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জন সন্ত্রাসী অভিযোগের বাদী বড় ভাই রফিজ উদ্দিন (৫৫)কে হত্যার উদ্দেশ্য প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী জুয়েলের  হুকুমে উল্লেখিত সকল বিবাদীরাসহ অজ্ঞাত নামা বিবাদীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বে-আইনী জনতাবদ্ধে দেশীয় ধারালো অস্ত্র সন্ত্র, রাম দা, কুড়াল, চাপাতি, ছোরা, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল ও বাঁশের লাঠি, কাঠের ফালি, এবং লোহার রড় নিয়া আমার ভাইয়ের উপর আতর্কিত হামলা করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে।

১ নং বিবাদী উত্তেজিত হইয়া তাহার হাতে থাকা ধারালো রামদা দিয়া আমার ভাইয়ের মাথা লক্ষ করিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ মারিলে উক্ত কোপ অভিযোগের বাদী বড় ভাইয়ের মাথার বাম পাশে মাঝখানে লাগিয়া কাটা গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়।

এবং ২, ৩, ৫, এবং ৬ বিবাদীরা তাদের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি, কাঠের ফালি, এবং লোহার রড় দিয়া আমার ভাইকে পিটাইয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। বাদী ভাইয়ের ডাক চিৎকারে বাদী স্ত্রী শাহানাজ বেগম (৩৮), বড় ভাইয়ের স্ত্রী আখি আক্তার (৪৫), নাসিমা বেগম (৬০), বড় ভাই রেজাউল করিম (৭০), আগাইয়া আসিলে উল্লেখিত বিবাদীরা তাদেরও বাঁশের লাঠি, কাঠের ফালি, এবং লোহার রড় দিয়া এলোপাথীরী ভাবে মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে।

পরবর্তীতে উল্লেখিত বিবাদীরা আমাদের বাড়ীর গেইট, ভেড়া ভাংচুর করিয়া অনুঃ ১৫,০০০/- টাকার ক্ষতি সাধন করে। তাদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে উল্লেখিত বিবাদীরা তাদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ উল ল খ ত

এছাড়াও পড়ুন:

সাহাবিরা যেভাবে মহানবী (সা.)-কে মানতেন

নবীজি (সা.) র আনুগত্য প্রদর্শনে সাহাবিগণ অনন্য সব দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন। প্রথমত তাঁর আনুগত্য মানে আল্লাহর আদেশ পালন। দ্বিতীয়ত তাদের অন্তরে নবীজির প্রতি যে ভালোবাসা ছিল, সেই ভালোবাসার আহ্বানে তারা সাড়া দিয়েছেন। মানুষ তার সহজে মানে, যাকে সে ভালোবাসে। আমরা মাত্র তিনটি উদাহরণ উপস্থাপন করছি।

১. জুমার দিন মসজিদের মিম্বরে উঠে নবীজি (সা.) বললেন, ‘বসো তোমরা।’ আবদুলাহ ইবনে মাসউদ (রা.) শোনামাত্র মসজিদের দরজায় বসে গেলেন। তিনি ‘বসো’ শব্দটি শুনে নিজেকে আর এক পা এগোনোর অনুমতি দেননি; যেখানে ছিলেন, সেখানেই বসে গেলেন। নবীজি তাকে দেখলেন যে, তিনি দরজার মুখে বসে গেছেন। বললেন, ‘আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ, এগিয়ে এসো।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১,০৯১)

২. আবু আবদুর রহমান ফাহরি (রা.) বলেন, নবীজির (সা.) সঙ্গে আমি হোনাইনের যুদ্ধে উপস্থিত ছিলাম। গ্রীষ্মের দিনে আমরা প্রচণ্ড রোদের মধ্য দিয়ে চলছিলাম। একসময় সকলে গাছের ছায়ায় বসলাম। সূর্য হেলে পড়লে আমার বর্মটি পরলাম এবং ঘোড়ায় চড়ে নবীজির কাছে এলাম। তিনি তার তাঁবুতে ছিলেন। তাকে সালাম দিয়ে বললাম, আল্লাহর রাসুল, ‘আমাদের যাওয়ার সময় হয়েছে কি?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’ এরপর তিনি ‘বেলাল’ বলে ডাক দিলেন। বেলাল (রা.) সামুরা গাছের নীচ থেকে ছুটে এলেন। তার ছায়া দেখে মনে হচ্ছিল যেন পাখির ছায়া। তিনি বললেন, ‘আমি হাজির।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৫,২৩৩)

আরও পড়ুনঅতিথিপরায়ণ সাহাবি উম্মু শুরাইক (রা.)০১ এপ্রিল ২০২৫

পাখির ছায়া’ বলার কারণ হলো, নবীজির আওয়াজ শোনামাত্র বেলাল (রা.) এত দ্রুত এসেছেন, যেন তার দু’পা মাটিতে ছিল না, ছায়া দেখে মনে হচ্ছিল পাখির ছায়া।

৩. উসাইদ ইবনে জহির (রা.) বলেন, রাফে ইবনে খাদিজ (রা.) আমাদের কাছে এসে বললেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) তোমাদের একটি বিষয় নিষেধ করেছেন, যা তোমাদের জন্য উপকারী। তবে মনে রেখো, আল্লাহ ও তার রাসুলের আনুগত্য করা আরও বেশি উপকারী। (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ৩,৮৯৭)

অর্থাৎ, আল্লাহর রাসুল যা বলেছেন, তাতে বাহ্যিক দৃষ্টিতে উপকারী বিষয় গ্রহণে নিষেধ করেছেন বোঝা গেলেও তাতে দ্বিধায় পড়েননি সাহাবিরা। বরং বুঝে নিয়েছেন যে, নিশ্চয় রাসুলের কথা মেনে নিলে আল্লাহ এর চেয়ে বেশি উপকার দেবেন।

আরও পড়ুনমহানবী (সা.) কীভাবে বিবাদ মেটাতেন২০ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ