বন্দরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় ৩ মহিলাসহ আহত ৫
Published: 24th, June 2025 GMT
বন্দরে জমি মাপঝোপ করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় ৩ মহিলাসহ ৫ জন রক্তাক্ত জখম হয়েছে। আহতরা হলো রফিজ উদ্দিন (৫৫) শাহানাজ বেগম (৩৮),আখি আক্তার (৪৫), নাসিমা বেগম (৬০), বড় ভাই রেজাউল করিম (৭০)।
স্থানীয়রা আহতদের মারাত্মক জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত রফিজ উদ্দিনকে ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
এ ঘটনায় শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী পারভেজ, ফাতেমা,বাবু, তানিয়া, পারুল ও জুয়েলের নাম উল্লেখ্য করে আরো ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ১১টায় বন্দর থানার উত্তর লক্ষনখোলা এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করে।
অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার উত্তর লক্ষনখোলা এলাকার মৃত আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলামদের সাথে একই এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে পারভেজ একই এলাকার আব্দুল মারুফ মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা গংদের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল।
উল্লেখিত জমি নিয়া বিজ্ঞ আদালতে মামলা বিচারাধীন আছে। এর ধারাবাহিকতা মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বন্দর থানাধীন উত্তর লক্ষনখোলা এলাকায় উল্লেখিত জমি মাপঝোপ করার জন্য বন্দর উপজেলা ভূমি অফিস থেকে লোকজন আসে।
পরে বন্দর উপজেলা ভূমি অফিসের লোকজন মাপঝোপ করিয়া চলে যায়। জমি মাপঝোপ করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী পারভেজ, ফাতেমা, বাবু, তানিয়া, পারুল ও জুয়েলসহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জন সন্ত্রাসী অভিযোগের বাদী বড় ভাই রফিজ উদ্দিন (৫৫)কে হত্যার উদ্দেশ্য প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী জুয়েলের হুকুমে উল্লেখিত সকল বিবাদীরাসহ অজ্ঞাত নামা বিবাদীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বে-আইনী জনতাবদ্ধে দেশীয় ধারালো অস্ত্র সন্ত্র, রাম দা, কুড়াল, চাপাতি, ছোরা, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল ও বাঁশের লাঠি, কাঠের ফালি, এবং লোহার রড় নিয়া আমার ভাইয়ের উপর আতর্কিত হামলা করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে।
১ নং বিবাদী উত্তেজিত হইয়া তাহার হাতে থাকা ধারালো রামদা দিয়া আমার ভাইয়ের মাথা লক্ষ করিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ মারিলে উক্ত কোপ অভিযোগের বাদী বড় ভাইয়ের মাথার বাম পাশে মাঝখানে লাগিয়া কাটা গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়।
এবং ২, ৩, ৫, এবং ৬ বিবাদীরা তাদের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি, কাঠের ফালি, এবং লোহার রড় দিয়া আমার ভাইকে পিটাইয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। বাদী ভাইয়ের ডাক চিৎকারে বাদী স্ত্রী শাহানাজ বেগম (৩৮), বড় ভাইয়ের স্ত্রী আখি আক্তার (৪৫), নাসিমা বেগম (৬০), বড় ভাই রেজাউল করিম (৭০), আগাইয়া আসিলে উল্লেখিত বিবাদীরা তাদেরও বাঁশের লাঠি, কাঠের ফালি, এবং লোহার রড় দিয়া এলোপাথীরী ভাবে মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে।
পরবর্তীতে উল্লেখিত বিবাদীরা আমাদের বাড়ীর গেইট, ভেড়া ভাংচুর করিয়া অনুঃ ১৫,০০০/- টাকার ক্ষতি সাধন করে। তাদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে উল্লেখিত বিবাদীরা তাদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ উল ল খ ত
এছাড়াও পড়ুন:
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে
প্রযুক্তির উৎকর্ষের মধ্যেও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে প্রায়ই বিকৃতভাবে বা ভুলভাবে উপস্থাপন করছে। গুগলে ‘ইনডিজেনাস পিপল’ লিখে খোঁজা হলে মাঝেমধ্যে এমন ছবি দেখানো হয়, যা তাদের ‘আদিম’, ‘বন্য’, ‘বর্বর’, ‘জংলি’ ও ‘হিংস্র’ আকারে উপস্থাপন করে।
সোমবার রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এমন অভিযোগ করেন। ‘আদিবাসী নারীর অধিকার রক্ষা ও ভবিষ্যৎ গড়ার লড়াইয়ে আধুনিক প্রযুক্তির ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক।
আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনী ত্রিপুরা। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের ঘিরে এমন উপস্থাপনের প্রভাব নারীদের ওপরও পড়বে।
মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির বলেন, দেশে জাতিসংঘের অনেকগুলো দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হলেও আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালন করা হয় না। তিনি বলেন, বুঝুক আর না বুঝুক বাংলাদেশ জাতিসংঘের বিভিন্ন কনভেনশনকে তড়িঘড়ি করে সমর্থন করে। কিন্তু এই কনভেনশনকে সমর্থন করেনি। সরকার বুঝেশুনেই সমর্থন করেনি। আগের সরকার বলেছে, বাংলাদেশে আদিবাসী নেই, এই সরকারও আদিবাসীদের স্বীকৃতি দিচ্ছে না।
একটাই ধর্ম ও জাতিসত্তা থাকবে, এমন মনোভাব কাম্য নয় উল্লেখ করে এই মানবাধিকারকর্মী বলেন, ‘কিসের ভয়ে আমরা দেশে ভিন্ন ধর্ম, চিন্তা ও জাতিসত্তার মানুষকে থাকতে দেব না? কে অধিকার দিয়েছে যে একটি মাত্র মতবাদ, চিন্তা, ভাষা জাতি ও ধর্ম থাকবে? রাষ্ট্রের জন্য এটা কাম্য হতে পারে না।’
চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানে সমতল ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারীদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখ করে খুশী কবির বলেন, অভ্যুত্থানের পরে আর নারীদের কোনো অংশগ্রহণ নেই। নারী কমিশন গঠন করা হয়। কিন্তু কমিশনের কোনো কিছু গ্রহণ করা হয়নি। এর অর্থ সরকার নারীদের ভয় পায়। এই অবস্থা টিকে থাকার জন্য অভ্যুত্থান হয়নি। তাই অধিকার আদায়ে নারীদের শক্ত ভূমিকা রাখতে হবে। এখনই উত্তম সময়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির ছবি: প্রথম আলো হেডিং: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে