Samakal:
2025-11-17@11:19:36 GMT

বর্ষায় কেমন জুতা পরবেন

Published: 24th, June 2025 GMT

বর্ষায় কেমন জুতা পরবেন

বর্ষাকাল মানেই কাদা-পানি, ভেজা রাস্তা আর হঠাৎ বৃষ্টির ঝাপটা। এই সময় জুতা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বেশি সতর্ক থাকা দরকার। কারণ, একদিকে যেমন চাই স্টাইলিশ দেখানো, তেমনি দরকার আরাম ও নিরাপত্তা। 
ভেজা রাস্তায় পিছলে যাওয়া বা জুতায় পানি ঢুকে যাওয়ার ঝামেলা থেকে বাঁচতে দরকার জুতা নির্বাচন। চলুন জেনে নিই বর্ষায় কেমন জুতা পরা সবচেয়ে ভালো।
পানিনিরোধক জুতা বেছে নিন
বর্ষার প্রথম ও প্রধান শর্ত হলো–পানিনিরোধক জুতা। প্লাস্টিক, রাবার বা সিন্থেটিক ম্যাটেরিয়ালের জুতা এই সময়ে সবচেয়ে উপযোগী। এগুলো সহজে ভেজে না এবং শুকাতেও সময় লাগে না। বাজারে এখন নানা রং ও ডিজাইনের ওয়াটারপ্রুফ স্যান্ডেল বা স্লিপার পাওয়া যায়–যেগুলো দেখতে ভালো এবং ব্যবহারেও আরামদায়ক।
স্লিপার ও ফ্ল্যাট স্যান্ডেল
বর্ষায় হিল বা উঁচু জুতা পরা ঠিক নয়। এতে পিছলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বরং ফ্ল্যাট সোল, রাবার গ্রিপযুক্ত স্লিপার বা স্যান্ডেল পরলে হাঁটতে সুবিধা হয়। এই সময়টা ফ্যাশনের চেয়ে নিরাপত্তাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। ক্রক্স, রাবার স্লিপার বা পিভিসি স্যান্ডেল– এই ধরনের জুতা এখন অনেকেই পছন্দ করেন।
হালকা ও দ্রুত শুকায় এমন জুতা
জুতার উপকরণ হতে হবে হালকা ও সহজে শুকিয়ে যায় এমন। কাপড় বা চামড়ার জুতা বর্ষায় যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ এগুলো সহজে ভিজে যায় এবং শুকাতে সময় নেয়। বরং রাবার বা জেলির তৈরি জুতা এই সময়ে বেশ কার্যকর।
পরিষ্কার রাখা জরুরি
বর্ষায় জুতা প্রায়ই কাদা-পানিতে ভিজে যায়। এজন্য নিয়মিত পরিষ্কার করাও জরুরি। ঘরে ফিরে ভেজা জুতা ভালো করে ধুয়ে শুকাতে দিন। না শুকিয়ে আবার পরলে দুর্গন্ধ ও ছত্রাকের সমস্যা হতে পারে। আপনি চাইলে অ্যান্টি-ফাংগাল পাউডার ব্যবহার করতে পারেন জুতার ভেতর।
অতিরিক্ত জুতা রাখুন
যাদের প্রতিদিন বাইরে যেতে হয়, তারা এক জোড়া অতিরিক্ত ওয়াটারপ্রুফ জুতা সঙ্গে রাখলে উপকারে আসবে। বিশেষ করে অফিসে ঢোকার আগে জুতা বদলে নিলে জামাকাপড় ও ফ্লোর ভেজা থেকে বাঁচানো যাবে।
ছেলেদের জন্য টিপস
ছেলেরা বর্ষায় হেভি স্নিকার বা চামড়ার জুতা এড়িয়ে চলুন। বরং স্পোর্টস রাবার স্যান্ডেল বা ওয়াটারপ্রুফ স্লিপ-অন শু পরলে আরাম হবে। অনেক ব্র্যান্ড এখন স্টাইলিশ ওয়াটারপ্রুফ জুতা তৈরি করছে, যেগুলো হালকা এবং টেকসই।
মেয়েদের জন্য টিপস
মেয়েরা ফ্যাশনের কথা ভাবেন ঠিকই, তবে বর্ষায় সেফটি আগে। হিল বা পেন্সিল হিল একেবারেই নয়। বরং ফ্ল্যাট রেইন বুটস বা সুন্দর ডিজাইনের রাবার স্যান্ডেল বেছে নিতে পারেন। রঙচঙে রেইন শু বর্ষার দিনের মন খারাপ কাটিয়ে দিতে পারে।
বর্ষায় জুতা শুধু ফ্যাশনের অংশ নয়, এটি স্বাস্থ্যের সঙ্গেও জড়িত। সঠিক জুতা না পরলে পা ভিজে গিয়ে হতে পারে সংক্রমণ, দুর্গন্ধ বা ছত্রাকজনিত সমস্যা। তাই বর্ষার দিনে আপনার পায়ের জন্য আরামদায়ক, নিরাপদ ও দ্রুত শুকায় এমন জুতা বেছে নিন, আর থাকুন নিশ্চিন্তে।
এ প্রসঙ্গে রাজধানীর মহাখালী ওয়্যারলেস গেট-সংলগ্ন ‘বাটা’র শোরুমের ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার জুবায়ের ইসলাম বলেন, ‘কাদা-পানিতে নিত্যদিনের চলাফেরা যেন ঝুঁকিপূর্ণ বা অস্বস্তিকর না হয়, এই ভাবনা থেকে আমাদের সংগ্রহে রয়েছে পানিপ্রতিরোধী স্নিকার্স, ইভা স্লিপার, রাবার স্যান্ডেল এবং আধুনিক ডিজাইনের জেলি ফিনিশড ফ্যাশন স্যান্ডেল।’
তিনি বলেন, ‘বিশেষভাবে আলোচনার দাবি রাখে ফ্লোটজ কালেকশন, যা ক্লগ ও স্লিপ স্টাইলে তৈরি, পুরোপুরি ওয়াশেবল, পানিপ্রতিরোধী এবং দ্রুত শুকিয়ে যায়। হালকা ওজন ও কুশনযুক্ত আরামদায়ক গঠনের পাশাপাশি, এগুলোর ট্রেন্ডি লুক আপনাকে রাখবে স্টাইলিশ ও নিশ্চিন্ত। চলাফেরা যেমন সহজ হয়, তেমনই ফ্যাশন-ফরোয়ার্ড।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাবার ম্যাটেরিয়ালে তৈরি হালকা থং স্যান্ডেল ও স্লিপারও রয়েছে, যা কাদামাখা ও পিচ্ছিল রাস্তায় দেয় ভালো গ্রিপ এবং পায়ের নিচে নিশ্চিত করে সেফটি। দৈনন্দিন ব্যস্ততা কিংবা হঠাৎ বের হওয়া– সব সময়ের জন্যই উপযোগী এই কালেকশন।’
দামের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘৩০০ টাকা থেকে শুরু এই কালেকশন, যা একসঙ্গে দিচ্ছে বর্ষায় প্রয়োজনীয় তিনটি জিনিস– স্টাইল, সুরক্ষা ও প্রতিদিনের ব্যবহারযোগ্যতা।’
বাটা ছাড়াও গ্যালারি অ্যাপেক্স, বে এম্পোরিয়ামসহ নানা ব্র্যান্ডের নিজস্ব আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে বর্ষার উপযোগী জুতা। এ ছাড়া নিউমার্কেট, চাঁদনী চক, বড় বড় শপিংমলসহ বিভিন্ন জুতার দোকানে পাবেন বৃষ্টির দিনে পরার জুতা। v
মডেল: ঈশিতা আক্তার তানিয়া; ছবি: আর্কাইভ

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বর ষ এই সময় মন জ ত বর ষ য় র জন য বর ষ র

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনাকে কোনো অবস্থাতেই ফেরত পাঠাবে না ভারত: রাজনৈতিক বিশ্লেষ

২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার অপর আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের সাজা।

গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা এবং এরপর থেকে তিনি ভারত সরকারের আশ্রয়েই রয়েছেন। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনার অনুপস্থিতি তার বিচার পরিচালনা করে। আজ সোমবার রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সাবেক পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বলেন, “হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের এই রায় প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না ভারত।” 

আলজাজিরাকে দেওয়া মন্তব্যে দত্ত আরো বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ভারত তাকে প্রত্যর্পণ করবে না। গত দেড় বছরে আমরা দেখেছি যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো অবস্থায় নেই এবং অনেক সময়ই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।”

দত্ত বলেন, “হাসিনার মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশিত ছিল।”

তিনি বলেন, “সবাই বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখেছেন। সবাই আশা করেছিলেন যে হাসিনার বিচার হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা একমত যে, বাংলাদেশে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দেশের আইনি ব্যবস্থা অনুসরণ করেছে।”

দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে কারো সন্দেহ নেই। স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।”

দত্তের ভাষ্যমতে, “আওয়ামী লীগ এখন একটি পাল্টা ব্যাখ্যা তৈরির তৈরি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু বাংলাদেশিরা মূলত বিশ্বাস করেন যে- হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।”

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ