ইরানি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম নূর নিউজ জানিয়েছে, দেশটির সংসদ জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা ‘আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)’-এর সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করার জন্য একটি বিল পাস করেছে।

নতুন এই পরিকল্পনার আওতায়, এখন থেকে আইএইএ’র  পরিদর্শকরা ইরানে প্রবেশ করতে পারবেন কেবলমাত্র যদি তারা দেশের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ-এর স্পষ্ট অনুমোদন পান এবং সংস্থাটি ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেয়।

এই সিদ্ধান্ত এমন সময় নেওয়া হলো যখন ইরান ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উত্তেজনা আবারো বেড়েছে।

আরো পড়ুন:

অস্ত্রে টান পড়েছে ইসরায়েলের: রিপোর্ট

ইসরায়েলের পারমাণবিক অস্ত্রের খবর ফাঁস করেছিলেন যে প্রকৌশলী

বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ আইএইএ-এর নজরদারি কার্যক্রমে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে এবং আন্তর্জাতিক উদ্বেগ আরো বাড়তে পারে।

আইএইই’র সাম্প্রতিক ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়, তবে রিপোর্টটিকে ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেইরান। 

ইরানের অভিযোগ, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হলেও, আইএইএ এই সত্যটি গোপন করেছে। ইরানি কর্তৃপক্ষের দাবি, আইএইই প্রধান রাফায়েল গ্রোসি ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ও ‘একতরফাভাবে পশ্চিমা শক্তির পক্ষাবলম্বন করছেন’।

পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলার সময় ‘নিষ্ক্রিয়তার’ অভিযোগে গ্রোসির বিরুদ্ধে কিছুদিন আগে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল তেহরান। 

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

চায়ের দোকান থেকে নিউইয়র্ক, পুরস্কার ঘোষণার দিনেই মৃত্যু

কোনো তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা তাঁর প্রথম ছবি দিয়ে ভারতীয় সিনেমার মানচিত্রে আলোড়ন তুললেন; ছবিটি পেল জাতীয় পুরস্কার। আর পুরস্কার ঘোষণার একই দিনে সেই তরুণ চিরতরে চলে গেলেন। এই অবিশ্বাস্য ঘটনাই ঘটেছিল অবতার কৃষ্ণ কৌলের জীবনে।
১৯৩৯ সালে কাশ্মীরের শ্রীনগরে জন্ম নেওয়া কৌলের শৈশবই ছিল বেদনার। বাবার হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে একদিন তিনি ঘর ছেড়ে পালালেন। রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দিন কাটত, চায়ের দোকানে কিংবা ছোট হোটেলে কাজ করতেন। অভুক্ত থেকেও বই আর শব্দের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব গড়ে উঠল। এই অপূর্ণ শৈশবই হয়তো পরে তাঁকে সিনেমার ভেতর মানুষ আর সমাজকে ভিন্ন চোখে দেখার শক্তি দিয়েছিল।

নিউইয়র্কে নতুন জীবন
পরবর্তী সময় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি পেয়ে পৌঁছে গেলেন নিউইয়র্কে। দিনের চাকরির ফাঁকে রাতগুলো কাটত সিনেমা ও সাহিত্য নিয়ে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস আর পরে ব্রিটিশ ইনফরমেশন সার্ভিসে কাজ করলেও তাঁর আসল পৃথিবী ছিল অন্যত্র। সহকর্মীরা প্রায়ই দেখতেন, হাতে উপন্যাস বা নোটবুক নিয়ে বসে আছেন কৌল। তাঁর চোখে তখন এক স্বপ্ন—চলচ্চিত্র নির্মাণ।

‘২৭ ডাউন’–এর শুটিং চলছে। ইনস্টাগ্রাম থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ