মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দুর্নীতির বিচার বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) আল জাজিরার লাইভে এ তথ্য জানানো হয়।

ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ‘মর্মাহত’ যে ইসরায়েলি নেতা আগামী সোমবার দীর্ঘস্থায়ী দুর্নীতির মামলায় শুনানির মুখোমুখি হবেন।

আরো পড়ুন:

মেয়র নির্বাচনে দলীয় প্রার্থিতা
নিউ ইর্য়কের ডেমোক্র্যাট ‘চমক’ ৩৩ বছরের মামদানি

ইরানে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের হামলার নিন্দা জানাল ব্রিকস

বুধবার (২৫ জুন) তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, “বিবি নেতানিয়াহুর বিচার অবিলম্বে বাতিল করা উচিত অথবা একজন মহান বীরকে ক্ষমা করা উচিত, যিনি ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্য এত কিছু করেছেন।”

ট্রাম্প নেতানিয়াহুর বিচারকে ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা’, ‘ডাইনি হান্ট’ এবং ‘ন্যায়বিচারের প্রতি প্রহসন’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে ইসরায়েলকে বাঁচিয়েছে এবং এখন এটি হতে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্র বিবি নেতানিয়াহুকে বাঁচাবে।”

২০১৯ সালে, ইসরায়েলি প্রসিকিউটররা নেতানিয়াহুকে ঘুষ, জালিয়াতি এবং বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছিলেন। এরপর ২০২০ সালে তার নামে থাকা তিনটি ফৌজদারি মামলার বিচার শুরু হয়।

ঘুষের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে নেতানিয়াহুর ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে এবং জালিয়াতি ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। যদিও সব অভিযোগে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন নেতানিয়াহু।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র ইসর য় ল ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে মা–মেয়েসহ তিন খুনের মামলার আসামি গৃহশিক্ষকের জামিন

চট্টগ্রাম নগরে মা ও দুই শিশুসন্তানকে বাসার ভেতর কুপিয়ে খুনের মামলার একমাত্র আসামি গৃহশিক্ষক তারেক চৌধুরী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক মো. ইকবাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, নগরের চান্দগাঁও থানার মামলার আসামি তারেক চৌধুরীর জামিননামা কারাগারে আসার পর যাচাই–বাছাই করে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।

আদালত সূত্র জানায়, বর্তমানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। সেখানে মামলার সাক্ষ্য চলছে।

২০১২ সালের ২৩ অক্টোবর নগরের খতিবের হাট এলাকার ‘মা-মনি ভিলা’ ভবনের পঞ্চম তলার বাসায় খুন হন সংযুক্ত আরব আমিরাতপ্রবাসী আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ডলি আক্তার (৩০) এবং তাঁর ছেলে আলভী (৯) ও মেয়ে আদিবা পায়েল (৫)। আলভী বহদ্দারহাট সাইমন লাইট গ্রামার স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র এবং আদিবা একই স্কুলের নার্সারি শাখার শিক্ষার্থী ছিল। তারেক কুলগাঁও সিটি করপোরেশন কলেজের ছাত্র ছিলেন।

ওই হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পর পুলিশ গৃহশিক্ষক তারেককে গ্রেপ্তার করে। পরে তিনি পুলিশের কাছে তিনজনকে খুনের কথা স্বীকার করেন এবং আদালতে জবানবন্দিও দেন। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া পায়ের ছাপ ও তারেকের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার পর অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচলাইশ থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) বর্তমানে ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান ২০১৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি গৃহশিক্ষক তারেককে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এতে ৪৪ জনকে সাক্ষী করা হয়।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, মুঠোফোনের লোভে এবং টিউশনিতে বেতন কম দেওয়ার ক্ষোভ থেকে তারেক এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। হত্যকাণ্ডের বিষয়ে তারেকের দেওয়া জবানবন্দির বরাত দিয়ে অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ আছে, গৃহশিক্ষক তারেকের জন্য ডলি আক্তার খাবার আনতে নিচে গিয়েছিলেন। তখন পায়েল শৌচাগারে গিয়েছিল। তারেক শুরুতে আলভীকে কুপিয়ে হত্যা করেন। পরে পায়েল এলে তাকেও কুপিয়ে হত্যা করে অপেক্ষা করতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর ডলি নিচ থেকে ফিরলে তাঁকেও হত্যা করেন তারেক। পরে একটি লুঙ্গি পরে রক্তমাখা প্যান্ট পাল্টে ওই বাসা থেকে বেরিয়ে যান।

একই বছরের ৩ অক্টোবর আদালত আসামি তারেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন। পরে চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে এটি বিচারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি হয়ে বিচারের জন্য মামলাটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আসে বিচারের জন্য। এখন সেখানে সাক্ষ্য চলছে।

আরও পড়ুনখুনিকে চিনে ফেলাই কাল হলো শিশুদের০৮ মে ২০১৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ