‘ঘুম থেকে জেগে’ দেখেন স্বামীর গলায় রক্তাক্ত ক্ষত, পাশের কক্ষে শিশুসন্তানের গলাকাটা লাশ
Published: 26th, June 2025 GMT
সিলেটে দেড় মাস বয়সী এক শিশুর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে শিশুটির বাবাকেও আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাঁর গলায়ও রক্তাক্ত ক্ষত আছে। গতকাল বুধবার নগরে মেজরটিলা এলাকার ইসলামপুরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুর নাম ইনায়া রহমান। সে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের টংঘর গ্রামের আতিকুর রহমানের (৪০) মেয়ে। স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে মেজরটিলা এলাকার ইসলামপুরের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন আতিকুর। বর্তমানে তিনি সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের ওই বাসায় থেকে আতিকুর নগরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাতেন। গতকাল দুপুরে তিনি কাজ শেষে বাসায় ফেরেন। বিকেলে হঠাৎ প্রতিবেশীরা আতিকুরের বাসায় চিৎকার শুনতে পান। সেখানে গিয়ে শিশুটিকে গলাকাটা অবস্থায় এবং আতিকুর রহমানের গলায় রক্তাক্ত ক্ষত দেখতে পান। পরে তাঁদের উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান কয়েকজন। সেখানে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। গতকাল রাতে আতিকুরের অস্ত্রোপচার হয়েছে।
গতকাল রাতে হাসপাতালে অবস্থানের সময় ঝুমা জানান, বিকেলের দিকে তিনি কিছু সময়ের জন্য ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এর আগে তাঁর স্বামীর কাছেই ইনায়া ছিল। আতিকুর বাচ্চাটির খেয়াল রাখবেন বলে তাঁকে ঘুমাতে বলেছিলেন। বিকেল পাঁচটার দিকে হঠাৎ তাঁকে হাত দিয়ে ঠেলে ঘুম থেকে জাগান আতিকুর। এ সময় তিনি স্বামীর গলায় রক্তাক্ত ক্ষত দেখতে পান। এতে ভয়ে তিনি চিৎকার দিয়ে আরেকটি কক্ষে গিয়ে দেখেন গলাকাটা অবস্থায় শিশুটি পড়ে আছে। পরে তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন।
আহত আতিকুর রহমানের ভগ্নিপতি হুসেন আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, আতিকুর কথা বলতে পারছেন না। তিনি সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত কী ঘটেছিল, সেটি সঠিকভাবে জানা সম্ভব নয়।
ঘটনার বিস্তারিত জানা যায়নি মন্তব্য করে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে ওই শিশু ও তাঁর বাবা-মা ছাড়া কেউ ছিলেন না। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছে। তবে প্রতিবেশীরাও এ ঘটনা সম্পর্কে তেমন কিছু বলতে পারছেন না।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র গল য় গল ক ট অবস থ গতক ল রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ