জর্ডান উপত্যকায় মহড়া চালাতে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এ মহড়া চলবে। আলজাজিরার লাইভ খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েল সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মহড়ার সময় ওই এলাকায় ব্যাপক সামরিক যানবাহনের চলাচল থাকবে। তবে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো ঘটনার জন্য কোনো উদ্বেগ নেই।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইরানের সঙ্গে ইসরাইলের দু’সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধের বিরতির মাত্র ‍দুই দিন পরই এই মহড়া শুরু হচ্ছে।

আরো পড়ুন:

আল-আকসায় দুই শতাধিক অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীর হানা

নেতানিয়াহুর দুর্নীতির বিচার বাতিল করার আহ্বান ট্রাম্পের

গত ১৩ জুন থেকে ইসরায়েল ইরানে ব্যাপক সামরিক হামলা শুরু করে। এই হামলায় ইরানের একাধিক শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। ইসরায়েলি বাহিনী পারমাণবিক, সামরিক, বেসামরিক অবকাঠামো এবং আবাসিক এলাকাগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করে বোমা বর্ষণ করে।

জবাবে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী তেলআবিব ও অন্যান্য ইসরায়েলি স্থাপনায় ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

এই উত্তেজনার মধ্যেই গত রবিবার যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় সোমবার রাতে কাতারের দোহায় অবস্থিত একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান।

এর পরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান এবং মঙ্গলবার ভোরে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা কার্যকর হয়।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরছেন ১৬০ বাংলাদেশি

আগামী ২০ আগস্ট লিবিয়ার গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার থেকে ১৬০ বাংলাদেশি অভিবাসী দেশে ফিরছেন। 

দীর্ঘদিন ধরে চলমান নিরাপত্তাহীনতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অর্থনৈতিক সংকটের কারণে অনেকে কাজের সুযোগ না পাওয়ায়  লিবিয়া ছেড়ে নিরাপদে দেশে ফিরে আসতে আগ্রহী হয়েছেন অনেকে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের সমন্বয়ে পরিচালিত মানবিক প্রত্যাবাসন কর্মসূচির আওতায় তাদের সুষ্ঠু ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা হচ্ছে।

ত্রিপোলীতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন এক বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছে।

গত ৭ আগস্ট লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার আইওএম'র ভারপ্রাপ্ত চিফ অব মিশনের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। বৈঠকে বাংলাদেশি অভিবাসীদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন, সুরক্ষা এবং কল্যাণ নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়।

রাষ্ট্রদূত আইওএম'র কাছে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে আগ্রহী বাংলাদেশি অভিবাসীদের দ্রুত নিবন্ধন এবং পর্যায়ক্রমে তাদের প্রত্যাবাসনের আহ্বান জানান। তিনি উল্লেখ করেন যে ত্রিপোলী, মিসরাতা, বেনগাজীসহ লিবিয়ার বিভিন্ন শহরে অনেক বাংলাদেশি অভিবাসী দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছেন।

আইওএম'র কর্মকর্তারা জানান, তারা বিপদগ্রস্ত বাংলাদেশিদের প্রত্যাবাসন কার্যক্রমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। যদিও বর্তমানে ফ্লাইটের সংখ্যা সীমিত, তবে ভবিষ্যতে তা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় আগামী ২০ আগস্ট বেনগাজী থেকে একটি প্রত্যাবাসন ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ফ্লাইটে গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার থেকে ১৬০ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

বৈঠকে উভয় পক্ষ স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের নিবন্ধন কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার বিষয়ে একমত হয় এবং প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি দেয়।

ঢাকা/হাসান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ