দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে টেলিভিশনের পর্দায় অভিনয় গুণে দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন সাদিয়া জাহান প্রভা। অভিনয়ে খানিকটা বিরতি নিলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার সরব উপস্থিতি বরাবরের মতোই আলোচনায়।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ফেসবুক প্রোফাইলে একটি আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। যেখানে উঠে এসেছে মানবিকতা, সহমর্মিতা এবং নারীর প্রতি নারীর সম্মানবোধের এক অনন্য দৃষ্টান্ত।

প্রভা লিখেছেন, “শত্রুপক্ষের দুঃখের দিনেও আনন্দ হচ্ছে না, বরং মায়া লাগছে। কি করব, আমি মানুষ তো! মেয়ে মানুষ, নারী হয়ে নারীর দুঃখের দিনে নারীকেই অসম্মান করার পারিবারিক শিক্ষা, যোগ্যতা কোনটাই আমার নাই।”

স্ট্যাটাসটি প্রকাশের পর থেকেই সাড়া ফেলেছে। তবে কার উদ্দেশে এই বার্তা স্পষ্ট করেননি প্রভা। বরং এই লেখায় তিনি বুঝিয়েছেন— ব্যক্তিগত বিরোধ বা শত্রুতার ঊর্ধ্বে উঠে একজন নারীর দুঃখ তাকে স্পর্শ করে, বেদনাহত করে। তার কথায় প্রতিফলিত হয়েছে সহমর্মিতা, মানবিক বোধ ও নারীত্বের প্রতি দায়বদ্ধতা।

প্রভা বরাবরই ব্যক্তিত্ববান এবং স্পষ্টভাষী। এমন মানবিক বার্তা তার ভক্তদের কাছে আবারও স্মরণ করিয়ে দিল অভিনয়ের বাইরেও তার একটি গভীর অন্তর্দৃষ্টি রয়েছে, যে অন্তর নারীর সম্মান ও মমতাকে বড় করে দেখে।

২০০৫ সালে মডেলিংয়ের মাধ্যমে শোবিজে পথচলা শুরু করেন প্রভা। অল্প সময়েই অভিনয়ে নিজেকে প্রতিভাবান শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন নিজের আরেকটি পরিচয়— দক্ষ মেকআপ আর্টিস্ট। নিউইয়র্কের ‘দ্য মেকআপ একাডেমি’ থেকে মেকআপে প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি চালু করেছেন ইনস্টাগ্রাম প্ল্যাটফর্ম ‘মেকআপ বাই প্রভা’ যেখানে নিয়মিত দেখা যায় তার কাজের ঝলক।
 

ঢাকা/রাহাত//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম কআপ

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনাকে কোনো অবস্থাতেই ফেরত পাঠাবে না ভারত: রাজনৈতিক বিশ্লেষ

২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার অপর আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের সাজা।

গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা এবং এরপর থেকে তিনি ভারত সরকারের আশ্রয়েই রয়েছেন। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনার অনুপস্থিতি তার বিচার পরিচালনা করে। আজ সোমবার রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সাবেক পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বলেন, “হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের এই রায় প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না ভারত।” 

আলজাজিরাকে দেওয়া মন্তব্যে দত্ত আরো বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ভারত তাকে প্রত্যর্পণ করবে না। গত দেড় বছরে আমরা দেখেছি যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো অবস্থায় নেই এবং অনেক সময়ই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।”

দত্ত বলেন, “হাসিনার মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশিত ছিল।”

তিনি বলেন, “সবাই বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখেছেন। সবাই আশা করেছিলেন যে হাসিনার বিচার হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা একমত যে, বাংলাদেশে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দেশের আইনি ব্যবস্থা অনুসরণ করেছে।”

দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে কারো সন্দেহ নেই। স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।”

দত্তের ভাষ্যমতে, “আওয়ামী লীগ এখন একটি পাল্টা ব্যাখ্যা তৈরির তৈরি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু বাংলাদেশিরা মূলত বিশ্বাস করেন যে- হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।”

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ