পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ তিন দাবিতে শনিবার ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ
Published: 26th, June 2025 GMT
সংস্কার, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে মহাসমাবেশ করতে যাচ্ছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ মহাসমাবেশ করবে দলটি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মহাসমাবেশের প্রস্তুতি ও এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেন, মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সারা দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে সংস্কার, বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিকে মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এলাকায় এলাকায় গণমিছিল, মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করা হয়েছে। সমাবেশে ১০ লাখের বেশি মানুষের জমায়েত হবে বলে আশা করছেন তিনি।
ইউনুস আহমেদ বলেন, ‘মহাসমাবেশের প্রচারণায় দেশব্যাপী মানুষের যে সাড়া পেয়েছি, তাতে আমরা আপ্লুত। তবে একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাদের প্রচারকার্য ব্যাহত করতে মুন্সিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মহাসমাবেশের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং নব্য ফ্যাসিবাদী আচরণের বহিঃপ্রকাশ। এ ধরনের কাজের নিন্দা জানাই।’
এ সময় ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া প্রায় সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের মহাসমাবেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাঁরা উৎসাহের সঙ্গে তা গ্রহণ করেছেন। আশা করছি, এ সমাবেশ জাতীয় নেতাদের মিলনমেলা হতে যাচ্ছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র বলেন, গণহত্যার বিচার ও প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর তাঁরা পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন চান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব আশরাফুল আলম, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সহকারী মহাসচিব কে এম আতিকুর রহমান, আহমাদ আবদুল কাইয়ুম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে ১২ দিনের কর্মসূচি দিল ইসলামী আন্দোলন
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করে তার আলোকে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে দ্বিতীয় ধাপে ১২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম দফার কর্মসূচি ঘোষণা করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে ১-১২ অক্টোবর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
ধারাবাহিক কর্মসূচি ও সংলাপ সত্ত্বেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেন ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেন, ‘জনতার রক্তে গঠিত সরকার জনগণের দাবি উপেক্ষা করলে তার নৈতিক ও আইনগত বৈধতা ক্ষুণ্ন হবে।’
ইউনুছ আহমাদ আরও বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের ইস্যুতে দলটি সরকারকে সর্বাত্মক সহায়তা করেছে, কিন্তু স্বৈরতন্ত্রের স্থায়ী বিলোপের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের ধীরগতি, আটক ব্যক্তিদের ৭৩ শতাংশ জামিনে মুক্তি পেয়েছে, আর লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির কোনো উদ্যোগও দেখা যায়নি।
দলের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে:জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন
পিআর পদ্ধতিতে ভোট
সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি
গণহত্যার বিচার
ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার ও বিচারকালীন নিষিদ্ধকরণ
ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে১ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত গণসংযোগ
১০ অক্টোবর ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে গণমিছিল
১২ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান
আরও পড়ুন১ থেকে ১২ অক্টোবর নতুন কর্মসূচি দিল জামায়াত১ ঘণ্টা আগে