রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে খিলক্ষেত রেলগেট পর্যন্ত রেললাইনের দুপাশ ঘেঁষে গড়ে ওঠা দুই শর মতো স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল পৌনে ৪টা পর্যন্ত এই উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে রেলওয়ের পাঁচ একর জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে।

উচ্ছেদ অভিযান তদারককারী বাংলাদেশ রেলওয়ের সম্পত্তি কর্মকর্তা (উপসচিব) মো.

নাসির উদ্দিন মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, কুড়িল বিশ্বরোড থেকে খিলক্ষেত রেলগেট পর্যন্ত রেললাইনের দুপাশ ঘেঁষে টিন, বাঁশ ও কাঠ দিয়ে আশপাশে দোকানপাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছিল। ট্রেন চলার সময় মনে হতো এই বুঝি অবৈধ স্থাপনার সঙ্গে ট্রেনের ধাক্কা লাগছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে রেললাইনের দুই পাশের স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করা হয়।

নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, বিকেল পৌনে চারটা পর্যন্ত চলা এই উচ্ছেদ অভিযানে সেনাবাহিনী, বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) ও পুলিশ অংশ নেয়। রেলওয়ের বুলডোজার এ সময় একের পর এক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়। উচ্ছেদ হওয়া স্থাপনার মধ্যে একটি স্থানীয় বিএনপি ও একটি জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয় ছিল। এ ছাড়া রেলের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা একটি মন্দিরও রয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানের পর রেলের জমি অবৈধভাবে দখল করে টিন ও বাঁশ দিয়ে একটি মন্দির গড়ে তোলা হয়। কিছুদিন ধরে সেটি পাকা করার কাজ শুরু করা হয়েছিল।

রেলওয়ের কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, এর আগে তিনি ঢাকা সিটি করপোরেশনে কর্মরত থাকাকালে এসব স্থাপনা দুবার উচ্ছেদ করেছিলেন। এরপর এখানে আবার অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুই শর মতো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে রেলের প্রায় পাঁচ একর জমি দখলমুক্ত করা হলো।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র লওয় র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার মধ্যে ৫ সমঝোতা স্মারক সই

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় দুই দেশের মধ্যে ৫টি সমঝোতা স্মারক সই ও তিনটি নোট বিনিময় করা হয়।  

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকালে পুত্রজায়ায় তারা বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে যৌথ ব্রিফিংয়ে অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টা ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। 

প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এক পোস্টে বিষয়টি জানানো হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “অর্থনীতিসহ সব বিষয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে অনুষ্ঠিত হবে সাধারণ নির্বাচন।”
তরুণদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়ায় মালয়েশিয়ার সরকারকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি দেশটির ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বানও জানান। 

দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুরুর আগে পুত্রজায়ায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন প্রধান উপদেষ্টা। পুত্রজায়ায় পৌঁছানোর পর অধ্যাপক ইউনূসকে নিজ কার্যালয়ে স্বাগত জানান মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। সেখানে কূটনীতিকদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার পরিচয় করিয়ে দেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী।

প্রধান উপদেষ্টা তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর পৌঁছান। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুতিওন ইসমাইল বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টাকে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় অধ্যাপক ইউনূসকে লালগালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমানটি দুপুর ২টায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

প্রধান উপদেষ্টার এই সফরে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল সঙ্গে রয়েছে। প্রতিনিধিদলে রয়েছেন- পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।

আগামী ১৩ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ