রাজধানীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে দখলমুক্ত হলো রেলের ৫ একর জমি
Published: 26th, June 2025 GMT
রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে খিলক্ষেত রেলগেট পর্যন্ত রেললাইনের দুপাশ ঘেঁষে গড়ে ওঠা দুই শর মতো স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল পৌনে ৪টা পর্যন্ত এই উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে রেলওয়ের পাঁচ একর জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে।
উচ্ছেদ অভিযান তদারককারী বাংলাদেশ রেলওয়ের সম্পত্তি কর্মকর্তা (উপসচিব) মো.
নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, বিকেল পৌনে চারটা পর্যন্ত চলা এই উচ্ছেদ অভিযানে সেনাবাহিনী, বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) ও পুলিশ অংশ নেয়। রেলওয়ের বুলডোজার এ সময় একের পর এক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়। উচ্ছেদ হওয়া স্থাপনার মধ্যে একটি স্থানীয় বিএনপি ও একটি জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয় ছিল। এ ছাড়া রেলের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা একটি মন্দিরও রয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানের পর রেলের জমি অবৈধভাবে দখল করে টিন ও বাঁশ দিয়ে একটি মন্দির গড়ে তোলা হয়। কিছুদিন ধরে সেটি পাকা করার কাজ শুরু করা হয়েছিল।
রেলওয়ের কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, এর আগে তিনি ঢাকা সিটি করপোরেশনে কর্মরত থাকাকালে এসব স্থাপনা দুবার উচ্ছেদ করেছিলেন। এরপর এখানে আবার অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুই শর মতো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে রেলের প্রায় পাঁচ একর জমি দখলমুক্ত করা হলো।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র লওয় র
এছাড়াও পড়ুন:
সীতাকুণ্ডে অবৈধ জাহাজভাঙা ইয়ার্ড উচ্ছেদ, গাজীপুরে বনভূমি উদ্ধার
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বনভূমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ জাহাজভাঙা ইয়ার্ড উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন। একইদিন গাজীপুরের বাউপাড়া বিট এলাকায় প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের বনভূমি উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে একযোগে পরিচালিত এ অভিযানকে পরিবেশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আজ বুধবার পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারি ইউনিয়নের তুলাতলী মৌজায় অনুমোদন ও ইজারা ছাড়াই প্রায় ৭ দশমিক ১০ একর গেজেটভুক্ত বনভূমিতে দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল ‘কোহিনূর স্টিল’ নামের একটি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড। বুধবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে পরিচালিত উচ্ছেদ অভিযানে প্রতিষ্ঠানটির অফিস, দুটি ভবন, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন, খুঁটি ও কাঁটাতারের ঘেরা পুরো স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, দখল ছাড়ার একাধিক নোটিশ উপেক্ষা করায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল আমিন হোসেন ও মো. মঈনুল হাসানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, আনসার, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বন বিভাগের সমন্বিত উপস্থিতিতে অভিযানে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, তুলাতুলী মৌজার বিএস খতিয়ান ০১ ও দাগ নম্বর ৪৯৪ অনুযায়ী জমিটি বনভূমি হিসেবে চিহ্নিত এবং সেখানে শিল্প স্থাপনের অনুমতি নেই। অতীতে কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান এই জমির ইজারা পায়নি। এমনকি হাইকোর্টের নির্দেশনায় রাজা কাশেম ও তার স্ত্রীর বরাদ্দ আবেদনও বাতিল করে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন জানায়, সীতাকুণ্ডে অনুমোদিত সাতটি শিল্পমৌজা থাকলেও তুলাতুলী অঞ্চল সেগুলোর মধ্যে পড়ে না। এটি সম্পূর্ণরূপে বনভূমি, যার দখলমুক্ত করাই ছিল অভিযানের উদ্দেশ্য। উচ্ছেদ শেষে জমিটি সরকারের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে পুনর্দখল ঠেকাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক সংলগ্ন বাউপাড়া বিট এলাকায় প্রায় ১০ শতাংশ বনভূমি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিল নিটল মটরস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি রাতের আঁধারে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ শুরু করলে তা ঠেকানোর চেষ্টা করে বন বিভাগ। পরে নির্মাণসামগ্রী জব্দ করে একটি মামলা দায়ের করা হয় এবং দখলমুক্ত অভিযান পরিচালনা করে বন বিভাগ। উদ্ধার হওয়া জমিতে ইতোমধ্যে নতুন করে বনায়নের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।