ঢাকার কেরানীগঞ্জে ডাকাতের কবলে পড়েছেন ইউসুফ আলী (৪৭) নামে বিএনপির এক নেতা। ডাকাতরা তার ডান হাতের কব্জি কেটে ফেলেছেন। তিনি কেরানীগঞ্জ মডেল থানার তারানগর ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি।

বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় শাক্তা ইউনিয়নের মেকাইল সড়কে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় আর্টি বাজার আয়েশা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আহত মো.

ইউসুফ আলী বলেন, রোহিতপুর বাজার থেকে কাজ শেষে মোটরসাইকেলযোগে বাসায় ফিরছিলাম। শাক্তা ইউনিয়নের মেকাইলে আসার পরে দেখা যায় সড়কে ড্রেজারের পাইপ ফেলা রয়েছে। এ সময় মোটরসাইকেল রেখে পাইপ সরানোর চেষ্টা করি। এ সময় সড়কের পাশ থেকে মুখোশ পরা ৫-৬ জন লোক আমার সামনে দাঁড়ায়। তারা বলতে থাকে- আমরা মানুষ না, আমরা ডাকাত। তোমার কাছে যা আছে সবগুলো দিয়ে দাও। মুহূর্তের মধ্যে আমার কাছে থাকা মোবাইল ও ১০-১২ হাজার টাকা লুট করে নেয়। আমার কাছে বিকাশের পিন কোড চাইলে একটু দেরি হওয়ায় ডানহাতে কুপিয়ে আহত করে। আমার বিকাশে টাকা ছিল না। ডাকাতরা আমার হাত পা বেঁধে রাস্তায় ফেলে রাখে। তারা আমার মোটরসাইকেল নেওয়ার জন্য চাবি নেয়। এ সময় আর্টিবাজার ফাঁড়ির টহল পুলিশ মেকাইল থেকে যাওয়ার সময় ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পুলিশ আমাকে আহত অবস্থায় আর্টি বাজার আয়েশা হাসপাতালে ভর্তি করেন।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মহসীন কবির বলেন, প্রায় দিন রাস্তায় ড্রেজার পাইপ ফেলে ডাকাতির খবর পাওয়া যায়। পুলিশ মেকাইল সড়কে ডিউটি না থাকলে ইউসুফ আলীর বড় ধরনের সমস্যা হতে পারতো। ডাকাতরা তার হাতের কব্জি কাটলে অনেক রক্তক্ষরণ হয়। ইউসুফ আলী ডাকাতদের হাতে আহত হলে তাকে হাসপাতালে দেখতে আসেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান অমি।

এ ব্যাপারে আর্টি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মেকাইল সড়কে ড্রেজার পাইপ ফেলে ডাকাতির চেষ্টা করে। পুলিশ মেকাইল সড়কে টহল ছিল। পুলিশ দেখে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। বিএনপি নেতা ইউসুফ আলীকে আহত অবস্থায় আর্টি বাজার আয়েশা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড ক তর য় আর ট ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

সাদা পাথর লুট: সিলেটে বিএনপি সভাপতির পদ স্থগিত

সিলেটের কোম্পানিগঞ্জের সাদা পাথর লুটের ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিনের পদ স্থগিত করেছে দলটি। 

সোমবার (১১ আগস্ট) রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে সাহাব উদ্দিনের সব দলীয় পদ স্থগিত করা হয়েছে। তাঁর স্থলে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি হাজী আব্দুল মান্নান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

দেশের সবচেয়ে বড় পাথর কোয়ারি ভোলাগঞ্জ কোয়ারির পাশে সরকারের অন্তত ২৭৫ একর উন্মুক্ত জায়গা আছে। ২০০১ সালের দিকে এসব জায়গার দখল নেন স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন। এর মধ্যে সাহাব উদ্দিনের দখলে চলে যায় অর্ধেকের বেশি জমি। পাশে কোয়ারি থাকায় দখলকারীরা জায়গাগুলো পাথর ভাঙার মেশিনের মালিকদের কাছে ভাড়া দেন। 

বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলেও আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে মিলেমিশে সরকারি জায়গা দখল করে ভাড়া দিয়ে খাচ্ছিলেন তিনি। বিগত সরকারের শেষের দিকে প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করে। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে ১০ নম্বর সাইট এলাকায় সরকারি প্রায় ১৫০ একর জমি দখলের অভিযোগ উঠে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে। তিনি ৫ আগস্টের পর পুনরায় সরকারি ঐ ভূমি দখলে নেন। সেখান থেকে লাখ লাখ টাকা ভাড়া নিচ্ছেন। বিষয়টি গণমাধ্যমে আসার পর টনক নড়ে দলের।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, “সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া সাহাব উদ্দিনকেও এ ঘটনায় লিখিতভাবে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছিল। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হলো।”

এ ব্যাপারে জানতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিনকে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ঢাকা/নূর/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ