Risingbd:
2025-08-12@13:34:45 GMT

তবুও থেমে নেই জীবন

Published: 28th, June 2025 GMT

তবুও থেমে নেই জীবন

বাউল শিল্পী আসলাম হোসেন চোখে দেখতে পান না। বাবা অসুস্থ, তাই সংসারের ভার পড়েছে তারই কাঁধে। গান করেই দিন চলে তার। তবে আগের মত এখন আর কেউ বাউল গান শুনতে চান না। তাই গানের আসরও জমে না। অন্ধ বাউল আসলামের আয় উপার্জন বলতে গেলে একেবারেই নেই। একে অন্ধ, তার উপরে পরিবারের চাপ কাঁধে নিয়ে দিশেহারা এই শিল্পী। 

কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের বটতৈল গ্রামের আজাদ সর্দারের ছেলে অন্ধ বাউল আসলাম হোসেন। দীর্ঘদিন ধরে বাবা আজাদ সর্দার শরীরের ব্যথা ও হাঁপানি রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে আছেন। বর্তমানে তিনি কানেও খুব একটা ভালো শুনতে পান না। বয়স বাড়ার সাথে সাথে হারিয়েছেন কাজের সক্ষমতাও। অভাবের সংসারে যেখানে ঠিকমতো খেতেই পান না, সেখানে চিকিৎসা যেনো বিলাসিতা। তাই বিনা চিকিৎসায় পড়ে আছেন তিনি।

সংসারের টুকিটাকি কাজের ফাঁকে প্রতিবেশীদের সাথে প্রতিনিয়ত গানের আসর বসাতো আসলাম। এভাবেই এলাকাবাসী ভালোবেসে তার নাম দিয়েছেন বাউল আসলাম। এখন তিনি এই নামে পরিচিত। 

বাউল আসলাম বলেন, “জন্ম থেকেই অন্ধ। অনেক ডাক্তার, কবিরাজ এবং সর্বশেষ খুলনা শিরোমণি চক্ষু হাসপাতালে চোখের অপারেশন করেও দৃষ্টি শক্তি ফিরে পাইনি। আমি গান শুনতে এবং গাইতে ভালোবাসি।” 

দেখতে না পেলেও গান-বাজনার ছন্দের তালে তালে এবং মেধার জোরে দোতারা বাজাতে পারেন আসলাম। এভাবেই গান-বাজনার আসর জমিয়ে মনের শান্তিও মেলে, আবার কিছু উপার্জনও হয়। তা দিয়েই কোনো মতে পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে আছেন এই শিল্পী। একবেলা খাচ্ছেন তো আরেক বেলা না খেয়ে জীবন যাপন করতে হচ্ছে। সরকারিভাবে প্রতিবন্ধী ভাতা হিসেবে তিন মাস পর পর আড়াই হাজার টাকা পান। এতে তো জীবন চলে না!

শহর থেকে গ্রাম, হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাটে লাঠির সাহায্যে একাই ঘুরে বেড়ান আসলাম। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে সংগীত পরিবেশন করে অল্প কিছু রোজগার হয়।

তিনি জানান, তার বাবা অনেক বছর ধরে কোন কাজ কর্ম করতে পারে না। তাকেই চিকিৎসার খরচ চালাতে হয়। তিনি ছাড়া বাবাকে দেখার মত কেউ নেই। অর্থের অভাবে তার পিতার চিকিৎসা এখন বন্ধ রয়েছে।

এ বিষয়ে প্রতিবেশী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘‘অন্ধ হয়েই আসলাম জন্ম গ্রহণ করেছে। পরিবার বলতে পিতা ও মাতা ছাড়া সংসারে তেমন কেউ নেই। আগে আসলামের পিতা কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। কিন্তু তিনি অসুস্থ থাকায় সংসারে হাল ধরেছেন আসলাম। হাট বাজারে গান করেই তার সংসার চলছে। তাকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”

বটতৈল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোছা.

সেলিনা খাতুন বলেন, “অসুস্থ পিতাকে নিয়ে অন্ধ আসলাম কোন রকমে জীবিকা নির্বাহ করে চলেছে। ইউনিয়ন পরিষদে কোন রকম সাহায্যে সহযোগীতা আসলে তাকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রদান করা হয়।”

ঢাকা/কাঞ্চন/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আরো ৭ দেশে ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ ওয়ালটনের

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হয়ে উঠার লক্ষ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে এগিয়ে যাচ্ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেক জায়ান্ট ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। সেই লক্ষ্য অর্জনে বৈশ্বিক বাজার সম্প্রসারণে ব্যাপক সাফল্য দেখাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিনিয়ত ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার নতুন নতুন দেশে নিজস্ব ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ করে চলেছে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত অন্যতম শীর্ষ এই প্রতিষ্ঠান। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নতুন ৭টি দেশে সম্প্রসারিত হয়েছে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস।

ওয়ালটন গ্লোবাল বিজনেস শাখার সূত্রমতে, গত অর্থবছরে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণকৃত দেশের তালিকায় রয়েছে উত্তর ও মধ্য আমেরিকায় অবস্থিত ক্যারিবিয়ান দ্বীপ বার্বাডোস, ওশেনিয়া অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র ফিজি ও ভানুয়াতু, আফ্রিকা মহাদেশের ক্যামেরুন ও ক্যাপভার্ড এবং এশিয়ার শ্রীলঙ্কা ও সিঙ্গাপুর।

আরো পড়ুন:

ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করলেন ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের প্রতিনিধিরা

এবার ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ

আন্তর্জাতিক বাজার কার্যক্রম সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে ওয়ালটনের গ্লোবাল বিজনেস ডিভিশনের প্রধান আব্দুর রউফ বলেন, “পণ্যের সর্বাধুনিক উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, টেকসই ও উচ্চ গুণগতমান, বিদ্যুৎ সাশ্রয়, পরিবেশবান্ধব এবং মূল্য প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় আন্তর্জাতিক বাজারে অন্যান্য ব্র্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ওয়ালটন। ফলে বৈশ্বিক বাজারে ওয়ালটন ব্র্যান্ড অতি অল্প সময়ের মধ্যে ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করে নিতে সক্ষম হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে নতুন নতুন দেশে প্রতিনিয়ত ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ করে চলেছে ওয়ালটন।”

তিনি বলেন, “গত এক বছরে (২০২৪-২৫) নতুন ৭টি দেশের বাজারে ওয়ালটন ব্র্যান্ড বিজনেস কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।”

আব্দুর রউফ জানান, চলতি দশকের শুরু থেকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডের তালিকায় স্থান করে নেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন। সেই লক্ষ্য অর্জনে ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ উন্নত বিশ্বের বাজারে নিজস্ব ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণে কাজ করছে ওয়ালটন। সেজন্য সুদক্ষ এবং চৌকস গ্লোবাল বিজনেস টিম গঠন করা হয়েছে।পাশাপাশি কয়েকটি দেশে সাবসিডিয়ারি এবং শাখা অফিস স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছে ওয়ালটনের গ্লোবাল রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার। সেখানে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের উদ্ভাবনী পণ্যের পাশাপাশি ইউরোপ ও আমেরিকার স্ট্যান্ডার্ড, আবহাওয়া এবং ক্রেতাদের চাহিদা ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণার প্রেক্ষিতে পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে। যার ফলে একের পর এক নতুন দেশে ওয়ালটন পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ করা সম্ভব হচ্ছে।”

ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন, কম্প্রেসর, ফ্যানসসহ অন্যান্য ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যসামগ্রী রপ্তানিকারক শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ওয়ালটন পণ্য। বাংলাদেশে ওয়ালটন পণ্য ক্রেতা চাহিদার শীর্ষে রয়েছে।যার ফলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের কাছে ওয়ালটন আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে।

ঢাকা/সাহেল/পলাশ/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ