ক্লোজ শট। ধীরে ধীরে শোনা যায় ভ্রমরের কথা; বোঝা যায়, তাঁর ছেলেবেলার কথা—ভয় ও সংশয়ের। একটু পর দেখা যায় তাঁদের বাড়ি, পরিবার। আরও দেখা যায় ফুলের দুলুনি; শোনা যায় শিশুর হাসি আর কান্না। ভ্রমর ফিরছেন ঘরে। একদিন এই পরিবার থেকে যিনি বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলেন।

ছুটি কাটাতে আসা বন্ধু অমলের সঙ্গে গ্রাম থেকে বাড়ি ফিরছেন ভ্রমর। পথে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তাঁরা একে অপরকে দেখে নেন, কথা বলেন। তারপর অমল বলেন, ‘কী হলো…? তাহলে চলো, ফেরা যাক।’ কিন্তু এমন রোগ ও ভয়ের জন্ম হয়েছে শরীর ও মনে যে এই ফেরা আর আগের মতো হয় না ভ্রমরের। ওদিকে ছুটি শেষে শারীরিকভাবে ফিরলেও অসুস্থ ভ্রমরকে রেখে অমল আর মানসিকভাবে বাড়ি ফিরতে পারেন না।

বিমল করের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত অরুন্ধতী দেবীর পরিচালনায় ১৯৬৭ সালের ছবি ‘ছুটি’র এই দৃশ্যের মতো তেহরানবাসীও ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। তারা ফিরছে যুদ্ধ শেষের আনন্দে। কেউ কেউ হয়তো ফিরছে স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে। যুদ্ধের ভয়ে এত দিন চোখ পাথরের মতো হয়ে থাকলেও ঘরে ফিরে গুমরে উঠবে বুকের ভেতর। জল চোখে প্রতিনিয়ত ভেসে উঠবে হারানো স্বজনের মুখ। তবু অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ আর ফের যুদ্ধের আশঙ্কায় তাদের ফেরাটাও হয়তো আগের মতো হচ্ছে না।

যুদ্ধবিরতির পর তেহরানে বাড়ি ফিরে দেখেন নিজের গাড়িটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেটাই পরিষ্কার করছেন তিনি। ২৬ জুন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ভ রমর

এছাড়াও পড়ুন:

সাত বছর আগে সাংবাদিক খাসোগি হত্যার পর প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন সৌদি যুবরাজ

যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। আগামীকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকের লক্ষ্য তেল ও নিরাপত্তা খাতে দুদেশের বহু দশকের সহযোগিতার সম্পর্ক আরও গভীর করা। একই সঙ্গে বাণিজ্য, প্রযুক্তি এবং সম্ভাব্য পারমাণবিক জ্বালানি খাতে সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করা।

২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে সাংবাদিক এবং সৌদি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পর এটাই যুবরাজ সালমানের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর।

আরও পড়ুনসৌদি আরবের যুবরাজের সঙ্গে বৈঠক করলেন ট্রাম্প১৩ মে ২০২৫

সৌদি আরবের গোয়েন্দারা ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসের ভেতর খাসোগিকে হত্যা করেছিলেন বলে অভিযোগ। এ হত্যাকাণ্ড বিশ্বজুড়ে তুমুল আলোড়ন তুলেছিল। অনেকে অভিযোগ করেছিলেন, খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পেছনে যুবরাজ সালমানের হাত রয়েছে।

পরে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিল, যুবরাজই খাসোগিকে অপহরণ বা হত্যার অনুমোদন দিয়েছিলেন।

যুবরাজ সালমান খাসোগিকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে তিনি সৌদি আরব সরকারের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে এ হত্যার দায় স্বীকার করেছিলেন।

খাসোগি হত্যার পর সাত বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং সবচেয়ে বেশি তেল উত্তোলনকারী দেশ সৌদি আরব নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক নতুন করে এগিয়ে নিতে চাইছে।

আরও পড়ুনসৌদি আরবের সঙ্গে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অস্ত্র বিক্রির চুক্তি’ যুক্তরাষ্ট্রের১৩ মে ২০২৫

ট্রাম্প গত মে মাসে সৌদি আরবে তাঁর সফরের সময় দেওয়া ৬০ হাজার কোটি ডলারের সৌদি বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতির সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছেন।

মে মাসের ওই সফরে ট্রাম্প সৌদি আরবে মানবাধিকার–সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা স্পষ্টভাবে এড়িয়ে গিয়েছিলেন। এবারও তিনি একই পথে হাঁটবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে যুবরাজ মোহাম্মদ আঞ্চলিক অস্থিরতার মধ্যে নিজ দেশের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাইছেন। একই সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি (এআই) এবং বেসামরিক খাতে একটি পারমাণবিক প্রকল্প চুক্তির পথে অগ্রসর হতে চাইছেন।

আরও পড়ুনখাসোগি হত্যা সবচেয়ে জঘন্য ধামাচাপার ঘটনা: ট্রাম্প২৪ অক্টোবর ২০১৮

যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব দীর্ঘদিন ধরেই এমন একটি সম্পর্ক বজায় রেখেছে, যেখানে সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তাদের পছন্দমতো দামে তেল বিক্রি করবে এবং যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে নিরাপত্তা দেবে।

আরও পড়ুনখাসোগিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে: সৌদি আরব২৬ অক্টোবর ২০১৮

সম্পর্কিত নিবন্ধ