ঘরে ফিরছে তেহরানবাসী, মনে ভয় আছে, আছে স্বপ্নও
Published: 28th, June 2025 GMT
ক্লোজ শট। ধীরে ধীরে শোনা যায় ভ্রমরের কথা; বোঝা যায়, তাঁর ছেলেবেলার কথা—ভয় ও সংশয়ের। একটু পর দেখা যায় তাঁদের বাড়ি, পরিবার। আরও দেখা যায় ফুলের দুলুনি; শোনা যায় শিশুর হাসি আর কান্না। ভ্রমর ফিরছেন ঘরে। একদিন এই পরিবার থেকে যিনি বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলেন।
ছুটি কাটাতে আসা বন্ধু অমলের সঙ্গে গ্রাম থেকে বাড়ি ফিরছেন ভ্রমর। পথে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তাঁরা একে অপরকে দেখে নেন, কথা বলেন। তারপর অমল বলেন, ‘কী হলো…? তাহলে চলো, ফেরা যাক।’ কিন্তু এমন রোগ ও ভয়ের জন্ম হয়েছে শরীর ও মনে যে এই ফেরা আর আগের মতো হয় না ভ্রমরের। ওদিকে ছুটি শেষে শারীরিকভাবে ফিরলেও অসুস্থ ভ্রমরকে রেখে অমল আর মানসিকভাবে বাড়ি ফিরতে পারেন না।
বিমল করের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত অরুন্ধতী দেবীর পরিচালনায় ১৯৬৭ সালের ছবি ‘ছুটি’র এই দৃশ্যের মতো তেহরানবাসীও ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। তারা ফিরছে যুদ্ধ শেষের আনন্দে। কেউ কেউ হয়তো ফিরছে স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে। যুদ্ধের ভয়ে এত দিন চোখ পাথরের মতো হয়ে থাকলেও ঘরে ফিরে গুমরে উঠবে বুকের ভেতর। জল চোখে প্রতিনিয়ত ভেসে উঠবে হারানো স্বজনের মুখ। তবু অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ আর ফের যুদ্ধের আশঙ্কায় তাদের ফেরাটাও হয়তো আগের মতো হচ্ছে না।
যুদ্ধবিরতির পর তেহরানে বাড়ি ফিরে দেখেন নিজের গাড়িটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেটাই পরিষ্কার করছেন তিনি। ২৬ জুন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ভ রমর
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ