কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মাদক কারবার সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মহন আলী (২৫) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগে সোহেল হোসেন (২৮) নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে বিজিবি।

শনিবার (২৮ জুন) ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের মহিষকুন্ডি গ্রামের ঠোঁটারপাড়া মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

মহন আলী জামালপুর গ্রামের মৃত মদন আলীর ছেলে। এ ঘটনায় হৃদয় (২৫) নামে আরেক যুবক আহত হয়েছেন। তিনি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আরো পড়ুন:

‎আবু সাঈদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৮ পুলিশ স্বপদে, উত্তাল বেরোবি

আবু সাঈদ হত্যার তদন্ত ও মামলার চার্জশিট প্রত্যাখ্যান বেরোবি শিক্ষার্থীদের

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঠোঁটারপাড়া ও জামালপুরের কয়েকজন মাদক কারবারির সঙ্গে মহন ও হৃদয়ের মাদক কারবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন মহন ও হৃদয় তাদের জনি নামের এক বন্ধুর অসুস্থ দাদাকে দেখতে ঠোঁটারপাড়ায় যান। বন্ধুর বাড়ি থেকে ফেরার পথে মহন ও হৃদয়ের ওপর প্রতিপক্ষের লোকজন ঠোঁটারপাড়া মাঠে গুলি ছোঁড়ে। গুলির শব্দ শুনে জনি পালিয়ে গেলেও মহন ও হৃদয় তাদের হাতে ধরা পড়েন। পরে তাদের কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে টহলরত বিজিবির একটি দল তাদের উদ্ধার করে প্রথমে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মহন আলীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের চাচা বাদী হয়ে পাঁচ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে বিজিবির একটি দল অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সোহেল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। তিনি ওই গ্রামের মিল্টনের ছেলে। এ সময় সোহেলের কাছ থেকে ৭৫ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল ও ১৭ বোতল এলএসডি উদ্ধার করা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৮ কোটি ৮৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘‘গ্রেপ্তার আসামিকে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’’

ঢাকা/কাঞ্চন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য দ লতপ র ক রব র

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব 

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ জন ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে। এসব ব্যক্তির হিসাবের যাবতীয় তথ্য জানাতে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ।

বুধবার (১৩ আগস্ট) বিএফআইইউর একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুরোধে সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ জন ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। হিসাবের যাবতীয় তথ্য পাওয়ার পর এসব ব্যক্তির হিসাবে অস্বাভাবিক কোনো লেনদেন হয়েছে কিনা সে বিষয়ে জানা যাবে।

আরো পড়ুন:

১২ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এল ১০৫ কোটি ডলার

১০০ টাকার নতুন নোট বাজারে, আসল-নকল চেনার উপায়

যাদের হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক তিন গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদার।

ব্যাংক হিসাব তলবের তালিকায় থাকা সাবেক ডেপুটি গভর্নররা হলেন এস কে সুর চৌধুরী, মো. মাসুদ বিশ্বাস, আবু হেনা মো. রাজী হাসান, এসএম মনিরুজ্জামান, কাজী ছাইদুর রহমান ও আবু ফরাহ মো. নাছের। এদের মধ্যে এস কে সুর চৌধুরী বর্তমানে দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি। মো. মাসুদ বিশ্বাস বিএফআইইউর প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য হন। আবু হেনা মো. রাজী হাসান দীর্ঘদিন বিএফআইইউর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ব্যাংকগুলোকে পাঠানো বিএফআইইউ চিঠিতে সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ফরম, লেনদেনের বিস্তারিত বিবরণ, কেওয়াইসি ফরমসহ সব তথ্য আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে। যদি কোনো হিসাব বন্ধ হয়ে থাকে, সেটির তথ্যও জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/নাজমুল/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ