মধ্যরাতে বাসার গেটে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ব্যাগ ছিনতাই
Published: 28th, June 2025 GMT
রাজধানীর মালিবাগে হাফিজুর রহমান (৬২) নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে তার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তার বাসার সামনের এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। তাতে দেখা যায়, হেলমেট মাথায় এক ব্যক্তি চাপাতি দিয়ে হাফিজুর রহমানকে কোপ মারছে।
এ ঘটনায় শনিবার শাহজাহানপুর থানায় মামলা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে মাঠে নেমেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী হাফিজুর মালিবাগ রেলগেট সংলগ্ন মাধবীলতা ভবনে বাস করেন। তিনি সমকালকে জানান, ব্যবসার কাজে বুধবার বন্ধু ইতেমাদ হোসেনকে নিয়ে পটুয়াখালী গিয়েছিলেন। কাজ শেষে বৃহস্পতিবার রাতে ফিরে আসেন ঢাকায়। রাত পৌনে ৩ টায় মালিবাগ রেলগেটের পাশে বাস থেকে নামেন তারা। বন্ধুকে বিদায় দেওয়ার পর হাফিজুর বাসার দিকে হাঁটছিলেন। রেলগেটের পাশে একটি মোটরসাইকেলে তিনজন বসেছিলেন। এ সময় ওই তিনজন তার কাছে প্রধান সড়ক কোন দিকে জানতে চায়। তিনি তাদের যাওয়ার রাস্তা দেখিয়ে দিয়ে বাসার উদ্দেশে হাঁটা শুরু করেন। একটি ভবনের পরই তার বাসা। ভবনের সামনে দারোয়ানের গেট খোলার অপেক্ষা করছিলেন। তখন রাত ১০টা ৫২ মিনিট। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা সেই তিন ব্যক্তি এসে তার ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে চাপাতি দিয়ে তার হাতে কোপ মেরে একটি ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তাতে পাঁচ হাজার টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল।
হাফিজুর বলেন, ঘটনার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি। বাম হাতের হাড় ভেঙে গেছে।
শাহজাহানপুর থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনায় গতকাল রাতে হাফিজুর বাদি হয়ে মামলা করেছেন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ছ নত ই
এছাড়াও পড়ুন:
আঙুল হঠাৎ ‘লক’ হয় কেন, হলে কী করবেন
আঙুল সোজা করতে গিয়ে হঠাৎ বেঁকে বা লক হয়ে যেতে পারে। এটাকে বলা হয় ট্রিগার ফিঙ্গার। চিকিৎসাবিজ্ঞানে যার নাম স্টেনোসিং টেনোসিনোভাইটিস।
আমাদের আঙুল বাঁকা বা সোজা করার কাজটি হয় টেনডন বা রশির মতো একটি বস্তুর মাধ্যমে। হাড়ের সঙ্গে ঘর্ষণ কমাতে কিছু ‘পুলি’–এর মধ্য দিয়ে চলে। এর একটি ‘এ ওয়ান’ পুলি। এটি ফুলে বা আঁটসাঁট হয়ে গেলে টেনডন সহজে নড়ানো যায় না।
এর ফলে আঙুল বাঁকানোর সময় আটকে যায় বা হঠাৎ ক্লিক দিয়ে সোজা হয়। এটাকেই বলা হয় ট্রিগার ফিঙ্গার।
কেন হয়, লক্ষণদীর্ঘদিন কারও ডায়াবেটিস থাকলে, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা (হাইপোথাইরয়ডিজম), হাতের অতিরিক্ত ব্যবহার—যেমন গ্রিপ করে কাজ করা, হাতুড়ি, কাঁচি ইত্যাদির কারণে এটা হয়ে থাকে। এটি বেশি হয় নারীদের। সাধারণত ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সে এটা বেশি হতে দেখা যায়।
সকালের দিকে আঙুল শক্ত হয়ে থাকা বা সোজা হতে না চাইলে বুঝবেন ট্রিগার ফিঙ্গার হয়েছে। এ ছাড়া আঙুল বাঁকিয়ে ছেড়ে দিলে আটকে যায় বা ক্লিক শব্দ দিয়ে সোজা হওয়া, আঙুলের নিচের তালুর গোড়ার দিকে ব্যথা, আবার কখনো কখনো আঙুল একদম ‘লক’ হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন৮ বছর আগে যেমন ছিল সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র, দেখুন ২০টি ছবি৭ ঘণ্টা আগেকরণীয় ও চিকিৎসাবারবার শক্তভাবে কিছু ধরা বা চেপে ধরার মতো কাজ কমাতে হবে।
ভারী জিনিস তোলা, ঝাড়ু দেওয়া, হাতুড়ি ব্যবহার সীমিত করতে হবে।
একটানা কোনো কাজ না করে মাঝেমধ্যে হাত বিশ্রামে রাখা।
ঘুমের সময় হাত মোড়ানো অবস্থায় না রেখে খোলা রাখতে চেষ্টা করা।
কলম বা হাতলের ওপর হালকা গ্রিপ ব্যবহার করা।
আরও পড়ুনআইপিএস ব্যাটারি দীর্ঘদিন ভালো রাখার ৫টি কার্যকর উপায়৫ ঘণ্টা আগেআঙুল সোজা করে রাখার জন্য ফিঙ্গার স্প্লিন্ট বা ওভাল ৮ স্প্লিন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে টেনডনে চাপ কমে এবং বেশ আরামও পাওয়া যায়। এ ছাড়া ফিজিক্যাল থেরাপি বা মেশিন থেরাপি দেওয়া যায়। যেমন প্রদাহ কমাতে আলট্রাসাউন্ড থেরাপি, ব্যথা কমাতে টেনস থেরাপি এবং প্রদাহ–ব্যথা কমাতে ক্রায়োথেরাপি অর্থাৎ বরফ সেঁক বেশ কার্যকর।
ব্যথানাশক ইনজেকশন দেওয়া যেতে পারে। যদি ওপরের সব ব্যবস্থা তিন থেকে ছয় মাসে কাজে না আসে, তখন পারকিউটেনিয়াস রিলিজ বা ওপেন সার্জারির মাধ্যমে ‘এ ওয়ান’ পুলি কেটে দেওয়া হয়।
আঙুলের ব্যায়ামআঙুলের ব্যায়াম বেশ কার্যকর। থেরাপিস্টের মাধ্যমে বা নিজে নিজে ব্যায়াম করতে পারেন। যেমন ধীরে ধীরে আঙুল নাড়ানো, টেনডন গ্লাইডিং, থেরাপিউটিক পুটি বা বল ব্যবহার করে গ্রিপ শক্তিশালী করা, ব্যথা না বাড়লে ধীরে ধীরে ফ্লেক্সন-এক্সটেনশন ব্যায়াম শুরু করা যায়।
ডা. সাকিব আল নাহিয়ান, ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা
আরও পড়ুনসারা টেন্ডুলকারই কি ভাই অর্জুনের বিয়ের ঘটক? বিস্তারিত জানুন ছবিতে ছবিতে১ ঘণ্টা আগে