গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ৮১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা
Published: 29th, June 2025 GMT
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও অন্তত ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন চার শতাধিক। শনিবার দুপুর থেকে এর আগের ২৪ ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন স্থানে এসব হামলার ঘটনা ঘটে। এ তথ্য জানিয়েছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আল-শিফা হাসপাতালের কর্মীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গাজা নগরে একটি স্টেডিয়ামের অদূরে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় শিশুসহ অন্তত ১১ জন নিহত হন। উদ্বাস্তু হাজারো ফিলিস্তিনি তাঁবু গেড়ে ওই স্টেডিয়ামে আশ্রয় নিয়েছেন।
বিবিসির যাচাই করা ছবি ও ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, হামলার পর লোকজন খালি হাতে মাটি খুঁড়ে মরদেহ খুঁজছেন। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তাঁরা কয়েকজন মিলে সেখানে বসে ছিলেন। এমন সময় হঠাৎ পাশের একটি সড়ক থেকে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান।
আরও পড়ুনইসরায়েলের হামলায় গাজায় প্রায় ১ লাখ ফিলিস্তিনি নিহত১১ ঘণ্টা আগেআহমেদ কিশাউই নামের এই ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘এখানে পুরো এলাকা তাঁবুতে পূর্ণ। এখন সেসব তাঁবু বালুর নিচে তলিয়ে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখানে তো কোনো সন্ত্রাসী নেই। কিন্ত শিশুসহ সাধারণ মানুষের প্রতি কোনো দয়া না দেখিয়ে হামলা চালানো হচ্ছে।’
আল–মাওয়াসি এলাকায় আবাসিক ভবন ও তাঁবুতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও অন্তত ১৪ জন নিহত হন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকটি শিশুও আছে। নিহত ব্যক্তিদের কয়েকজন স্বজন মার্কিন বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, হামলা যখন হয়, তখন শিশুদের নিয়ে মানুষগুলো ঘুমাচ্ছিল।
হামলায় নিহত শিশুদের দাদি সৌদ আবু তেইমা নামের প্রবীণ ওই নারী বলেন, ‘এই শিশুরা তাদের (ইসরায়েলের) কী ক্ষতি করেছে? তাঁদের কী অপরাধ ছিল?’
ইসরায়েলের হামলায় নিহত এক ফিলিস্তিনির মরদেহ নিয়ে যাচ্ছেন কিছু মানুষ। শনিবার গাজা নগরে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ