কান্নায় শেষ দি মারিয়ার ইউরোপ-অধ্যায়, কেমন ছিল ১৮ বছরের পথচলা
Published: 30th, June 2025 GMT
সব ভালো কিছুই নাকি কখনো না কখনো শেষ হতে হয়। কথাটা অমোঘ হলেও এমন অনেক কিছুই আছে, যার শেষ মেনে নিতে কষ্ট হয়। শেষের পর তৈরি হওয়া শূন্যতা তাড়া করে বেড়ায় অনেক দিন। আনহেল দি মারিয়ার ইউরোপীয় অধ্যায় শেষ হওয়ার গল্পটাও তেমনই।
এই শেষ ফ্ল্যাশব্যাক মনে করিয়ে দিচ্ছে আনন্দ-বেদনার অনেক মুহূর্তকে। যে মুহূর্তগুলোর যোগফলেই রোজারিওর সাদামাটা দি মারিয়া রূপান্তরিত হন একজন কিংবদন্তিতে। যিনি ইউরোপে পরশু রাতে নিজের শেষটাও করেছেন কিংবদন্তির মতো মাথা উঁচু করে।
ক্লাব বিশ্বকাপ দিয়ে বেনফিকাকে বিদায় জানানোর কথাটা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন দি মারিয়া। পরবর্তী গন্তব্য হিসেবে শৈশবের ক্লাব রোসারিও সেন্ট্রালের সঙ্গে চুক্তিও সেরে রেখেছিলেন তিনি। যে কারণে ক্লাব বিশ্বকাপে বেনফিকার ম্যাচগুলোর দিকে আলাদাভাবে চোখ ছিল দি মারিয়ার ভক্তদের। গ্রুপ পর্বে তিন গোল করে শীর্ষ গোলদাতার তালিকায় যৌথভাবে সবার ওপরেও ছিলেন বিশ্বকাপজয়ী এই আর্জেন্টাইন।
আরও পড়ুনদুর্বৃত্তদের হুমকির এক বছর পর শৈশবের ক্লাবে ফিরলেন দি মারিয়া৩০ মে ২০২৫পাশাপাশি দি মারিয়ার নৈপুণ্যে বায়ার্ন মিউনিখকে টপকে নিজেদের গ্রুপে সবার ওপরেও ছিল বেনফিকা। আশা করা হচ্ছিল, বেনফিকার সঙ্গে দি মারিয়ার এ যাত্রাটা হয়তো আরেকটু দীর্ঘ হবে। কিন্তু তেমনটা হয়নি। চেলসির কাছে ৪-১ গোলে হেরে শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিয়েছে বেনফিকা। কিন্তু হারের আগে দলকে শেষ সুযোগটা এনে দিয়েছিলেন দি মারিয়াই।
চেলসির বিপক্ষে ৬৪ মিনিটে পিছিয়ে পড়া বেনফিকাকে যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে সমতায় ফেরান দি মারিয়া। পেনাল্টি থেকে করা তাঁর গোলেই ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। যদিও অতিরিক্ত সময়ে আর পেরে ওঠেনি বেনফিকা। ক্লান্ত দি মারিয়াও শেষ পর্যন্ত মাঠে থেকে বদলাতে পারেননি দলের ভাগ্য। ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে বেনফিকার বিদায় একই সঙ্গে ক্লাবটি থেকে দি মারিয়ার বিদায়ও নিশ্চিত করেছে। কান্নায় বিদায় নিলেও ইউরোপকে ১৮ বছরের স্বর্ণালি সব মুহূর্ত উপহার দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আর নিজে নিয়ে যাচ্ছেন গর্ব করার মতো উজ্জ্বল সব স্মৃতি।
ইউরোপে শেষটা রাঙানো হলো না দি মারিয়ার.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে অভিনয়, অভিনয় থেকে ব্যবসা—কৃতি শ্যাননের অনবদ্য পথচলা
বলিউডে কৃতি শ্যানন এখন পরিচিত ও প্রশংসিত নাম। তাঁর হাতে সাফল্য ধরা দিয়েছে প্রচলিত ধারার বাইরে। বলিউডে কোনো পারিবারিক যোগসূত্র ছিল না, ফলে বলিউডে পা রাখেন সম্পূর্ণ ‘বাইরের মানুষ’ হিসেবে। মডেলিং দিয়ে যাত্রা শুরু করে ধীরে ধীরে নিজের স্বতন্ত্র স্টাইল ও আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে জায়গাটা পাকা করে নিয়েছেন। বড় সুযোগ আসে ২০১৪ সালে, টাইগার শ্রফের সঙ্গে ‘হিরোপন্তি’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে। এ সিনেমাই ছিল তাঁর বলিউডে শক্ত অবস্থান গড়ার সূচনা।
মডেলিং দিয়ে যাত্রা শুরু করে ধীরে ধীরে নিজের স্বতন্ত্র স্টাইল ও আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে বলিউডে জায়গা পাকা করে নিয়েছেন