জামালপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আংশিক আহ্বায়ক কমিটিকে ‘পকেট কমিটি’ বলে অভিযোগ করেছে দলের একাংশ। ওই কমিটি বাতিল করে দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের নিয়ে পুনরায় নতুন কমিটির গঠনের দাবি করেছে তারা। আজ সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ ও দাবি জানানো হয়।

দুপুরে ‘জামালপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা-কর্মী’র ব্যানারে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভবনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক (বাবু)। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্র থেকে দুজনের একটি আংশিক কমিটি দেওয়া হয়। কমিটিতে আগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরল মমিন আকন্দকে (কাউছার) আহ্বায়ক ও মঞ্জুরুল করিমকে (সুমন) সদস্যসচিব করা হয়। ৫ আগস্টের আগে কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে নুরল মমিন আকন্দের ভূমিকা ছিল না। তাঁর বিরুদ্ধে দখলবাজিসহ নানা অভিযোগও রয়েছে।

আবু বক্কর সিদ্দিক আরও বলেন, ‘সদস্যসচিব মঞ্জুরুল করিম জামালপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন। এ ছাড়া তাঁর বাবা ও পরিবারের কয়েকজন সদস্য আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। জমি দখলসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধেও। এমন বিতর্কিত ব্যক্তিদের দিয়ে কমিটি করা হয়েছে। ফলে ওই কমিটি বাতিল করে পুনরায় ত্যাগী নেতা-কর্মীদের নিয়ে কমিটি ঘোষণার দাবি করছি।’

এ বিষয়ে জামালপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক নুরল মমিন আকন্দ বলেন, ‘আমাদের দুই সদস্যবিশিষ্ট কমিটি দেওয়া হয়েছে। যখন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে, তখন ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে। আর আমরা এই শহরের বাসিন্দা। সমাজের সবাই জানে আমরা কেমন। সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত অভিযোগ করলেই মিথ্যা সত্য হয়ে যায় না। আমি বিষয়টি কেন্দ্রকে অবহিত করব।’

সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক (বাবু), সাবেক পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক এ এস এম মিজানুর রহমান (মিলন), সহকোষাধ্যক্ষ মো.

ফয়সাল। এ ছাড়া সাবেক কমিটির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

আরও ১১ ব্যাংকের সম্পদের গুণগত মান যাচাই হচ্ছে

বেসরকারি খাতের আরও ১১টি ব্যাংকের সম্পদের গুণগত মান যাচাইয়ের (একিউআর) সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ, মূলধন ঘাটতি, বন্ধকি সম্পদসহ বিভিন্ন সূচকের প্রকৃত অবস্থা পর্যালোচনা এ উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য। এর আগে এডিবির সহায়তায় ৬টি ব্যাংকের একিউআর হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোনো ব্যাংকের সম্পদের গুণগত মান যাচাই মানেই একীভূতকরণের আওতায় আনা হবে, তা নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান সমকালকে বলেন, নতুন করে কয়েকটি ব্যাংকের সম্পদের গুণগত মান যাচাই করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সম্পদের গুণগত মান যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার তালিকায় রয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, আল-আরাফাহ ইসলামী, ন্যাশনাল, বাংলাদেশ কমার্স, ইউসিবি, আইএফআইসি, এবি, প্রিমিয়ার, এনআরবি কমার্শিয়াল, এনআরবি ও মেঘনা ব্যাংক। এর আগে একিউআর সম্পন্ন হওয়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক অডিট ফার্ম আর্নেস্ট অ্যান্ড ইয়াং সম্পদ মূল্যায়ন করেছে এক্সিম, সোস্যাল ইসলামী ও আইসিবি
ইসলামিক ব্যাংকের। আরেক আন্তর্জাতিক ফার্ম কেপিএমজি মূল্যায়ন করেছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী ও ইউনিয়ন ব্যাংকের। তাদের মধ্যে আইসিবি ইসলামিক বাদে বাকি ৫টি মিলে একটি ব্যাংক করার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 
জানা গেছে, সম্পদের মান পর্যালোচনা করার পর প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেবে। কোনো ব্যাংকের পরিস্থিতি যদি একীভূতকরণ, অবসায়ন বা অধিগ্রহণ করার মতো হয়, তাহলে ব্যাংক নিষ্পত্তি অধ্যাদেশের আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো ব্যাংকের নিজ থেকেই মূলধন ঘাটতি মেটানোসহ সার্বিক সূচকে উন্নতি করার পরিস্থিতি থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংক বিবেচনায় নেবে। দুর্বল ব্যাংক নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে যাতে কোনো আইনি বাধা তৈরি না হয়, সে জন্য গত মে মাসে ‘ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ-২০২৫’ জারি করে সরকার।
জানা গেছে, একীভূতকরণের উদ্যোগের আওতায় থাকা পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে আলাদাভাবে শিগগিরই একটি নোটিশ দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। নোটিশে তাদের কেন একীভূত করা হবে না জানতে চাওয়া হবে। কোনো ব্যাংক যদি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নেওয়া বিশেষ ধার ফেরত, মূলধন ঘাটতি মেটানো, বিধিবদ্ধ জমা সংরক্ষণসহ সন্তোষজনক জবাব দিতে পারে, তাহলে সেই ব্যাংক একীভূত করা হবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ