রাজশাহীতে স্থানীয়ভাবে ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু
Published: 30th, June 2025 GMT
রাজশাহীতে স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে। এক সপ্তাহ ধরে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। আজ সোমবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত সাতজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এর মধ্যে রাজশাহীরই পাঁচজন। রোগীদের ভাষ্য, স্থানীয়ভাবে তাঁরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া রাজশাহীর নতুন পাঁচ ডেঙ্গু রোগীর চারঘাট উপজেলার দুজন, বাঘার একজন এবং রাজশাহী নগরের দুজন রয়েছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র শংকর কে বিশ্বাস বলেন, এ বছর ডেঙ্গুর মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। বিগত বছর বিপুল পরিমাণ রোগীকে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে। তবে এ বছর এখন থেকেই স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এ বিষয়ে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। ব্যক্তিগতভাবেও সচেতনতা বাড়ানো দরকার। নয়তো পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে.
রাজশাহী নগর থেকে আক্রান্ত হওয়া এক রোগীর বাবা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ছেলে শহরের মধ্যেই ছিলেন। কীভাবে আক্রান্ত হয়েছেন, জানেন না। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরা আরেকজন বলেন, রাজশাহী শহরে থেকেই আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী মেডিকেলে এ বছর এখন পর্যন্ত ৯৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন সাতজন। এ বছর চিকিৎসা নিয়ে ফিরেছেন ৭৮ জন। মারা গেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা দুই রোগী। বর্তমানে ভর্তি আছেন ১৩ জন। এই ১৩ জনই স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে রাজশাহীর রয়েছেন ৫ জন।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা ভালো থাকায় এখন পর্যন্ত সেভাবে ডেঙ্গু ছড়ায়নি। এটি যাতে না ছড়ায়, সে বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করছে। ইতিমধ্যে ১২টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনা মূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা চালু করা হয়েছে। গতকাল রোববার ১৮ জনের পরীক্ষায় কারও ডেঙ্গু শনাক্ত হয়নি। এ ছাড়া গত বৃহস্পতিবার তাঁরা স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে সভা করেছেন। তাঁরা কয়েক দিনের মধ্যে ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচার চালাবেন।
রাজশাহীর সিভিল সার্জন এস আই এম রাজিউল করিম বলেন, রাজশাহীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই হচ্ছে। এখন পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোনো রোগী ভর্তি হননি। উপজেলা পর্যায়ে হাসপাতালগুলোতে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া আছে। ডেঙ্গুর লক্ষণ থাকলে যেন পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া হয়। এ ছাড়া তাঁদের স্বাস্থ্যকর্মীরা ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতার প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি ভালো আছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এ বছর
এছাড়াও পড়ুন:
৩১ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার ঘটনায় ডিইউজের উদ্বেগ
ঘটনার এক বছরের বেশি সময় পর ৩১ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করায় উদ্বেগ জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ জানান ডিইউজের সভাপতি সাজ্জাদ আলম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাজাহান মিঞা।
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাও মামলাকে ষড়যন্ত্রমূলক ও স্বাধীন মতপ্রকাশের জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করেন ডিইউজের নেতারা। তাঁরা বলেন, পেশাদার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা চলতে থাকলে কখনই ভয়ের সংস্কৃতি দূর হবে না।
অবিলম্বে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান ডিইউজে নেতারা। তাঁরা বলেন, তদন্ত ছাড়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে না—সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে এমনটি আশ্বস্ত করা হলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না।
এর আগে গত সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে একটি হত্যা মামলায় ৩১ সাংবাদিককে আসামি করা হয়।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ, ফরিদা ইয়াসমিন, ওমর ফারুক, মনজুরুল আহসান বুলবুল, শ্যামল দত্ত, আবদুল জলিল ভূঁইয়া, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, সোহেল হায়দার চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম রতন, সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, নজরুল ইসলাম মিঠু, মোহাম্মদ আবু সাঈদ, আকতার হোসেন, দীপ আজাদ, জায়েদুল আহসান পিন্টু, নঈম নিজাম, মঞ্জুরুল ইসলাম, আবেদ খান, নাইমুল ইসলাম খান, মোজাম্মেল বাবু, সাইফুল আলম, সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, মাঈনুল আলম, শাহজাহান সরদার, আশিষ সৈকত, জুলফিকার রাসেল, শাকিল আহমেদ, নাজমুল হক সৈকত, মামুনুর রহমান খান প্রমুখ।