সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাব পরিচালনা নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। 

আহত কয়েকজন সাংবাদিকের নাম জানা গেছে। তারা হলেন– আবুল কাশেম, রফিকুল ইসলাম শাওন, আল ইমরান, বেলাল হোসেন, আমিনুর রহমান, সোহরাব হোসেন ও অমিত কুমার ঘোষ। অপর আহতদের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। 

এ হামলার ঘটনায় দু’রকম ভাষ্য পাওয়া গেছে। 

প্রেস ক্লাবের এক পক্ষের সভাপতি আবুল কাশেমের ভাষ্য, পূর্বঘোষিত একটি সভায় অংশ নিতে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি প্রেস ক্লাবে প্রবেশ করেন। এ সময় আবু সাঈদ ও আব্দুল বারীর নেতৃত্বে প্রায় ৭০-৮০ ভাড়াটে সন্ত্রাসী তাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। তিনি অভিযোগ করেন, আবু সাঈদ ও আব্দুল বারী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে প্রেস ক্লাব দখল করে রেখেছেন। তাদের দু’জনের নেতৃত্বে গত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েও প্রেস ক্লাবে হামলা হয়েছিল। 

অভিযোগ প্রসঙ্গে অপর পক্ষের সভাপতি আবু নাসের মো.

আবু সাঈদ জানান, তাদের নেতৃত্বাধীন কমিটি বৈধ। প্রতিপক্ষ প্রেস ক্লাব দখলে এলে সাংবাদিকরা তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি শামিনুল হক জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনাকে কোনো অবস্থাতেই ফেরত পাঠাবে না ভারত: রাজনৈতিক বিশ্লেষ

২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার অপর আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের সাজা।

গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা এবং এরপর থেকে তিনি ভারত সরকারের আশ্রয়েই রয়েছেন। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনার অনুপস্থিতি তার বিচার পরিচালনা করে। আজ সোমবার রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সাবেক পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বলেন, “হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের এই রায় প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না ভারত।” 

আলজাজিরাকে দেওয়া মন্তব্যে দত্ত আরো বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ভারত তাকে প্রত্যর্পণ করবে না। গত দেড় বছরে আমরা দেখেছি যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো অবস্থায় নেই এবং অনেক সময়ই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।”

দত্ত বলেন, “হাসিনার মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশিত ছিল।”

তিনি বলেন, “সবাই বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখেছেন। সবাই আশা করেছিলেন যে হাসিনার বিচার হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা একমত যে, বাংলাদেশে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দেশের আইনি ব্যবস্থা অনুসরণ করেছে।”

দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে কারো সন্দেহ নেই। স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।”

দত্তের ভাষ্যমতে, “আওয়ামী লীগ এখন একটি পাল্টা ব্যাখ্যা তৈরির তৈরি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু বাংলাদেশিরা মূলত বিশ্বাস করেন যে- হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।”

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ