নিখোঁজের সাতদিন পর রিমু আকতার (২২) নামে এক গৃহবধূর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার খটশিংগা শিবরামবাটী এলাকার সুমন নামে এক ব্যক্তির বাড়ির শৌচাগার থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়। 

মারা যাওয়া রিমু উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের একান্নপুর লক্ষ্মীন্দর হাট এলাকার দেলওয়ার হোসেনের স্ত্রী।

আরো পড়ুন:

লক্ষ্মীপুরে বাবাকে হত্যার অভিযোগে ছেলে গ্রেপ্তার

রামুতে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা

নিহতের বাবা ইকরামুল হক বলেন, “রিমু পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। সাত দিন ধরে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তার স্বামী দেলওয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি নানা ছলচাতুরী করেন। থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর পুলিশ তাকে আটক করে।”

তিনি আরো বলেন, “দেলওয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি রিমুকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তার দেওয়া তথ্যে খটশিংগা শিবরামবাটী এলাকার সুমন নামে এক ঝালাই মেকানিকের বাড়ির শৌচাগার থেকে রিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।”

পীরগঞ্জ থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, “স্বামী রিমুকে হত্যা করে মরদেহ টয়লেটে লুকিয়ে রেখেছিলেন। হত্যার রহস্য উন্মোচনে কাজ চলছে।”

ঢাকা/মঈনুদ্দীন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য মরদ হ উদ ধ র মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

ভাঙা সড়ক মেরামতে ৫০০ কোটি টাকা চান চসিক মেয়র

এক বর্ষায় চট্টগ্রাম নগরে ভেঙেছে ৩৮৮ সড়ক। আবার অরক্ষিত নালা-নর্দমা ও খালে পড়ে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এখন এসব ভাঙা সড়ক সংস্কার ও নিরাপত্তাবেষ্টনী দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে ৫০০ কোটি টাকার বিশেষ আর্থিক বরাদ্দ চেয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন।

সিটি করপোরেশনের আর্থিক সংকটের কারণে এ অর্থ বরাদ্দ দিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবকে গত মঙ্গলবার চিঠি দেন মেয়র শাহাদাত হোসেন। তবে আর্থিক বরাদ্দ চাইলেও তা পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কেননা এর আগে সিটি করপোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসন, বর্জ্য অপসারণে যন্ত্রপাতি কেনার প্রকল্প অনুমোদনসহ বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ চাইলেও তা মেলেনি বলে খোদ মেয়রই অভিযোগ করেছিলেন।

চট্টগ্রাম নগরে পাঁচ বছরের মধ্যে এবার সবচেয়ে বেশি রাস্তাঘাট ভেঙে বেহাল হয়েছে। ৩৮৮টি সড়কের ১৪২ কিলোমিটার অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত বছর ভেঙেছিল ১০০ কিলোমিটার। ২০২৩ সালে ৫০ কিলোমিটার, ২০২২ সালে ১০০ কিলোমিটার ও ২০২১ সালে ৩৬ কিলোমিটার সড়ক নষ্ট হয়েছিল।

গত ছয় বছরে অরক্ষিত খাল ও নালায় পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২৫ সালে দুজন, ২০২৪ সালে তিনজন, ২০২৩ সালে তিনজন, ২০২১ সালে পাঁচজন ও ২০২০ সালে দুজনের প্রাণহানি হয়েছে। সর্বশেষ চলতি বছরের ৯ জুলাই হালিশহরের আনন্দপুর এলাকায় তিন বছর বয়সী হুমায়রার মৃত্যু হয় মায়ের কর্মস্থলের পাশের নালায় পড়ে। এর আগে গত ১৮ এপ্রিল নগরের কাপাসগোলায় হিজড়া খালে রিকশা উল্টে পড়ে গেলে মায়ের কোল থেকে পড়ে মৃত্যু হয় ছয় মাসের শিশু আনাবিয়া মেহেরিন সেহরীশের।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নগরের ভাঙা সড়ক, নালার ঝুঁকিপূর্ণ স্ল্যাব এবং অরক্ষিত নালা ও খালের তালিকা করেছে। তালিকা অনুযায়ী ১৪২ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে প্রয়োজন হবে ৪২৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। ১৮ হাজার ৬৬৩ বর্গমিটার স্ল্যাব ঠিক করতে লাগবে ৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। অরক্ষিত নালা ও খালে নিরাপত্তাবেষ্টনী দিতে হবে ২১ কিলোমিটার। এতে খরচ হবে ২১ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

সড়কে সৃষ্ট বড় গর্তে জমে আছে পানি। গাড়ি চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন চালকেরা। গত বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় চট্টগ্রাম নগরের সদরঘাট এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ