এ সময়ের আলোচিত চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাত। পর্দার উপস্থিতির চেয়ে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অধিক আলোচনায় থাকেন। এবার ভুয়া ভিডিও কনটেন্ট এবং বিভ্রান্তিকর ক্যাপশন ঘিরে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই অভিনেত্রী।
সম্প্রতি একটি ফেসবুক পেজ থেকে এমন একটি ভিডিও ছড়ানো হয়, যার ক্যাপশনে লেখা, “খদ্দেরের সঙ্গে কট খেয়েছেন মিষ্টি জান্নাত।” বিষয়টি নজরে আসতেই চরম ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এই নায়িকা।
এ বিষয়ে মিষ্টি জান্নাত বলেন, “বেশ কিছুদিন ধরেই লক্ষ্য করছি, কয়েকটি পেজ থেকে আমার নামে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা ভিডিও কনটেন্ট ছড়ানো হচ্ছে। সর্বশেষ একটি ভিডিওতে বলা হয়েছে—আমি নাকি বিদেশে খদ্দেরের সঙ্গে ধরা খেয়েছি! এমন ভিত্তিহীন তথ্য ছড়ানোর পর থেকে আমাকে অনেকেই কল দিচ্ছে, নানা প্রশ্ন করছে, যা ভীষণ বিব্রতকর।”
আরো পড়ুন:
নোংরা মন্তব্য, মিষ্টির আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি
খানিকটা ব্যাখ্যা করে মিষ্টি জান্নাত বলেন, “যে ভিডিওটি দিয়ে এই গুজব ছড়ানো হচ্ছে, সেটা আসলে ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পরের দৃশ্য। আমি তখন আমার ম্যানেজারের সঙ্গে গাড়িতে উঠছিলাম, আশপাশে অনেকেই ছবি ও ভিডিও করছিল। সেই সাধারণ ভিডিও থেকেই কাটছাট করে মনগড়া ক্যাপশন দিয়ে কনটেন্ট বানানো হয়েছে।”
ইতোমধ্যেই বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট ছড়ানো পেজ, তথাকথিত কিছু সাংবাদিক ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরের নাম উল্লেখ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। এ সব তথ্য উল্লেখ করে মিষ্টি জান্নাত বলেন, “এসব ভিউ ব্যবসায়ীদের রুখতেই হবে। আইনিভাবে এর কঠোর প্রতিকার চাই।”
২০১৪ সালে ‘লাভ স্টেশন’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে অভিষেক ঘটে মিষ্টি জান্নাতের। এরপর থেকে নিয়মিতই কাজ করে চলেছেন বড় পর্দায়। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি একজন পেশাদার দন্ত চিকিৎসক হিসেবেও কাজ করছেন।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র কনট ন ট
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা
কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’
সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।
সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে