জামালপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের ‘পকেট কমিটি’ গঠনের অভিযোগ
Published: 30th, June 2025 GMT
জামালপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আংশিক আহ্বায়ক কমিটিকে ‘পকেট কমিটি’ বলে অভিযোগ করেছেন বিগত কমিটির নেতারা। তারা কমিটি বাতিল করে ত্যাগী নেতাদের দিয়ে পুনরায় কমিটি গঠন করার দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে শহরের সকাল বাজার এলাকার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দ্বিতীয় তলায় ‘জামালপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীর ব্যানারে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বিগত কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মো.
আরো পড়ুন:
অধ্যাপক ইউনূস ও তারেক রহমানের মিটিংয়ের পর স্থিতিশীলতা এসেছে: শরিফ
‘মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করলাম’
বক্তারা বলেন- গত ২৬ জুন নুরল মমিন আকন্দ কাউছারকে আহ্বায়ক ও মঞ্জুরুল করিম সুমনকে সদস্য সচিব করে কেন্দ্র থেকে জামালপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি ঘোষণা করে। সেই কমিটিতে ত্যাগীদের বাদ দেওয়া হয়।
তাদের অভিযোগ, কমিটির আহ্বায়ক কাউছার ৫ আগস্টের পর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু বিজন কুমার চন্দের নতুন হাই স্কুল মোড়ের অফিস দখল করেছেন। সদস্য সচিব সুমন স্টেশন এলাকার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন এবং তার বাবা ও পরিবারের কয়েকজন সদস্য রাজনীতিতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত। একজন সরকারি কর্মকর্তার জমি দখল ও সেই কর্মকর্তার স্ত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে সুমনের বিরুদ্ধে। তাদের দাবি, বিতর্কিত ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত কমিটি বাতিল ঘোষণা করে পুনরায় ত্যাগী নেতাকর্মীদের নিয়ে কমিটি ঘোষণা করতে হবে।
অভিযোগের বিষয়ে জামালপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক নুরল মমিন আকন্দ কাউছার মোবাইলে বলেন, ‘আমাদের দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি দেওয়া হয়েছে। যখন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে, তখন ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে। আমরা এই শহরের বাসিন্দা। এই শহরসহ সাংবাদিক সমাজের সবাই জানে আমরা কেমন। একটি সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত অভিযোগ করলেই মিথ্যা সত্য হয়ে যায় না। আমি বিষয়টি কেন্দ্রকে অবহিত করব।”
জামালপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নবগঠিত কমিটির সদস্য সচিব মঞ্জুরুল করিম সুমন মোবাইলে বলেন, “আমি ছাত্রদলের প্রার্থী ছিলাম। যেহেতু আমার ছাত্রত্ব নেই। আমি বিবাহিত, সন্তান রয়েছে, তাই সেখান থেকে আমি সরে আসি। এর আগে একটি ঘটনায় আমাকে শোকজ করা হয়েছিল, আমি এর জবাব দিয়েছিলাম। পরে আমাকে আর বহিষ্কার করা হয়নি।”
তিনি বলেন, “আমি স্টেশনের কোনো কিছুর সঙ্গে জড়িত না। এই এলাকার যে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই এর জবাব পাবেন। আমার বাবা আওয়ামী লীগ করতো। কিন্তু আমি বিএনপির আদর্শে আদর্শিত। আমার বাবা-মা মারা গেছেন অনেক আগেই। এই দুনিয়াতে আমার কেউ নেই। পরিবার আর রাজনীতি এক না। আমি অনেকগুলো রাজনৈতিক মামলার আসামি ছিলাম। দলের দুঃসময়ে আমার কি অবদান এটা আপনারা একটু খোঁজ নেবেন। কমিটি পূর্ণাঙ্গ হলে ত্যাগীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে।”
ঢাকা/শোভন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ অভ য গ ত কম ট র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
এআই নিয়ে টার্মিনেটর সিনেমার পরিচালক জেমস ক্যামেরনের সতর্কবার্তা
১৯৮৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দ্য টার্মিনেটর’ সিনেমা দেখেছেন অনেকেই। জেমস ক্যামেরনের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় সেই সিনেমায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির স্কাইনেট নামের একটি কাল্পনিক এআইয়ের সন্ধান পাওয়া যায়, যেটি পুরো মানবজাতির অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিল। কাল্পনিক সেই এআইয়ের স্রষ্টা জেমস ক্যামেরন এবার বাস্তবের আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র, বিশেষ করে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের ঝুঁকি নিয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার আশঙ্কা, এআই প্রযুক্তি লাগামহীনভাবে সামরিক প্রযুক্তিতে যুক্ত হলে মানবসভ্যতা টার্মিনেটরের মতো সর্বনাশের মুখে পড়তে পারে।
রোলিং স্টোন সাময়িকীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্যামেরন জানান, সামরিক ক্ষেত্রে এআইয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের গতি মানুষের সক্ষমতাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের নিয়ন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও বিপর্যয় ঠেকানো সম্ভব নাও হতে পারে। মানবজাতি এখন একসঙ্গে তিনটি বড় সংকটের মুখে। এগুলো হলো জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ ধ্বংস, পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার এবং অতিবুদ্ধিমান এআই। এই তিনটি সংকট একই সময়ে তীব্র আকার ধারণ করছে, যা মানব ইতিহাসে আগে কখনো ঘটেনি।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরিপে দেখা গেছে, এআই পারমাণবিক বিপর্যয়ের সমতুল্য দুর্যোগ ঘটাতে পারে বলে মনে করেন ৩৬ শতাংশ এআই গবেষক। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সম্মেলনে বিশেষজ্ঞেরা সতর্ক করে বলেছেন, খুব শিগগির এআই ও পারমাণবিক অস্ত্রের সমন্বয় প্রায় অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে।
যুদ্ধাস্ত্রে এআই ব্যবহারের বিরোধিতা করলেও চলচ্চিত্র নির্মাণে এর সীমিত ও পরিকল্পিত ব্যবহারকে সমর্থন করেন ক্যামেরন। তার মতে, ভিজ্যুয়াল ইফেক্টের ক্ষেত্রে এআই ব্যয় প্রায় অর্ধেক কমিয়ে দিতে পারে। এআই সৃজনশীল প্রক্রিয়ার গতি বাড়ালেও চিত্রনাট্যকার বা অভিনেতার জায়গা নিতে পারবে না।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া