দিনাজপুরের বিরামপুরে পুকুর পাহারার ঘরের দরজা বন্ধ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোসাদ্দেক হোসেন (৪৮) নামের এক তত্ত্বাবধায়কের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের করমজি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মোসাদ্দেক হোসেন ওই ইউনিয়নের মঙ্গলপুর গ্রামের মৃত হানিফ মোল্লার ছেলে। তিনি প্রায় ২৫ বছর ধরে করমজি গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের একটি ব্যবসায়িক পুকুরের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় প্রতিদিনের মতো মোসাদ্দেক হোসেন পুকুর পাহারা দিচ্ছিলেন। রাতের দিকে তিনি পুকুরপাড়ের পাহারার ঘরের গ্রিলের দরজা বন্ধ করতে যান। এ সময় দরজার সঙ্গে লাগানো বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে গিয়ে দরজাটি বিদ্যুতায়িত হয়। দরজা স্পর্শ করতেই তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন এবং দরজার সঙ্গে আটকে পড়েন।

মোসাদ্দেক হোসেনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে পাশের ঘরের মূল সুইচ বন্ধ করে বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। তখন তিনি দরজা থেকে ছিটকে পুকুরের পানিতে পড়ে যান। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে মোটরসাইকেলে তাঁকে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমতাজুল হক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ঘর র

এছাড়াও পড়ুন:

সাত বছর আগে সাংবাদিক খাসোগি হত্যার পর প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন সৌদি যুবরাজ

যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। আগামীকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকের লক্ষ্য তেল ও নিরাপত্তা খাতে দুদেশের বহু দশকের সহযোগিতার সম্পর্ক আরও গভীর করা। একই সঙ্গে বাণিজ্য, প্রযুক্তি এবং সম্ভাব্য পারমাণবিক জ্বালানি খাতে সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করা।

২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে সাংবাদিক এবং সৌদি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পর এটাই যুবরাজ সালমানের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর।

আরও পড়ুনসৌদি আরবের যুবরাজের সঙ্গে বৈঠক করলেন ট্রাম্প১৩ মে ২০২৫

সৌদি আরবের গোয়েন্দারা ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসের ভেতর খাসোগিকে হত্যা করেছিলেন বলে অভিযোগ। এ হত্যাকাণ্ড বিশ্বজুড়ে তুমুল আলোড়ন তুলেছিল। অনেকে অভিযোগ করেছিলেন, খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পেছনে যুবরাজ সালমানের হাত রয়েছে।

পরে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিল, যুবরাজই খাসোগিকে অপহরণ বা হত্যার অনুমোদন দিয়েছিলেন।

যুবরাজ সালমান খাসোগিকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে তিনি সৌদি আরব সরকারের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে এ হত্যার দায় স্বীকার করেছিলেন।

খাসোগি হত্যার পর সাত বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং সবচেয়ে বেশি তেল উত্তোলনকারী দেশ সৌদি আরব নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক নতুন করে এগিয়ে নিতে চাইছে।

আরও পড়ুনসৌদি আরবের সঙ্গে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অস্ত্র বিক্রির চুক্তি’ যুক্তরাষ্ট্রের১৩ মে ২০২৫

ট্রাম্প গত মে মাসে সৌদি আরবে তাঁর সফরের সময় দেওয়া ৬০ হাজার কোটি ডলারের সৌদি বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতির সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছেন।

মে মাসের ওই সফরে ট্রাম্প সৌদি আরবে মানবাধিকার–সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা স্পষ্টভাবে এড়িয়ে গিয়েছিলেন। এবারও তিনি একই পথে হাঁটবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে যুবরাজ মোহাম্মদ আঞ্চলিক অস্থিরতার মধ্যে নিজ দেশের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাইছেন। একই সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি (এআই) এবং বেসামরিক খাতে একটি পারমাণবিক প্রকল্প চুক্তির পথে অগ্রসর হতে চাইছেন।

আরও পড়ুনখাসোগি হত্যা সবচেয়ে জঘন্য ধামাচাপার ঘটনা: ট্রাম্প২৪ অক্টোবর ২০১৮

যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব দীর্ঘদিন ধরেই এমন একটি সম্পর্ক বজায় রেখেছে, যেখানে সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তাদের পছন্দমতো দামে তেল বিক্রি করবে এবং যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে নিরাপত্তা দেবে।

আরও পড়ুনখাসোগিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে: সৌদি আরব২৬ অক্টোবর ২০১৮

সম্পর্কিত নিবন্ধ