ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় ৭.৬৫ বোরের আগ্নেয়াস্ত্রসহ মো. শামিম শেখ ওরফে মুন্না শেখ (২৫) নামে এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। 

মঙ্গলবার (১ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা জেলা পুলিশের (সাভার সার্কেল) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহিনুর কবির। এর আগে, গতকাল সোমবার দুপুরে আশুলিয়ার পূর্ব জামগড়া ইর্স্টান হাউজিং এলাকার জনৈক রিপনের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার মো.

শামিম শেখ ওরফে মুন্না শেখ নড়াইল সদর উপজেলার বল্লারটোপ এলাকার মৃত ইব্রাহিম শেখের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার জামগড়ায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি ভূমিদস্যু এমএ মতিনের ক্যাডার বাহিনীর সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শাহীনুর কবির বলেন, “গতকাল দুপুরে পোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুলিয়ার ওই এলাকার এমএস গলির রিপনের বাড়ির দ্বিতীয় তলায় অভিযান পরিচালনা করে শামীম শেখ ওরফে মুন্না শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

‘এসময় স্বপনের কক্ষ থেকে গ্রেপ্তারকালে তার কাছ থেকে ৭.৬৫ বোরের পুরনো পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, স্প্রিং যুক্ত দুই রাউন্ড গুলি, ১২ ইঞ্চি স্টেইনলেস স্টিলের ধারালো চাপাতি, লোহার তৈরি ১৯ ইঞ্চি ধারালো দা, লোহার তৈরি ‘২২ ইঞ্চি দ্বি-মাথা ধারালো ভাইকিং কুড়াল, লোহার ১৪.৫ ইঞ্চি ধারালো ছুরি, লোহার ১০ ইঞ্চি ধারালো ছুরি, ৪৫ ইঞ্চি মোটরসাইকেলের চেইন, লোহার তৈরি ২৬ ইঞ্চি কালো কভার যুক্ত পাইপ উদ্ধার করা হয়।”

তিনি আরও বলেন, “পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে ওই এলাকায় অপরাধ সংঘটিত করার জন্য কিছু অপরাধী মিলিত হয়েছে। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে শামীম শেখ ওরফে মুন্না শেখকে গ্রেপ্তার করলেও বাকিরা পালিয়ে যায়। পলাতকদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

এসময় উপস্থিত ছিলেন, আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আব্দুল হাননান, ওসি অপারেশন শফিকুল ইসলাম সুমনসহ আশুলিয়া থানার কর্মকর্তারা।

ঢাকা/সাব্বির/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ম ম শ খ ওরফ

এছাড়াও পড়ুন:

মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণ, প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৫

কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগে প্রধান আসামি ফজর আলীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

রোববার (২৯ জুন) সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান।

এই ঘটনায় গত শুক্রবার দুপুরে মুরাদনগর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে আজ ভোর পাঁচটার দিকে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে। তারা হলেন- মো. সুমন, রমজান আলী, মো. আরিফ ও মো. অনিক। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বাড়ি মুরাদনগর উপজেলায়।

মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে আসেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ফজর আলী (৩৮) নামের এক ব্যক্তি তার বাবার বাড়ি গিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলেন। এসময় তিনি দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন। 

নাম না প্রকাশের শর্তে ওই নারীর পাশের বাড়ির এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার রাতে ওই বাড়িতে অনেক শব্দ হচ্ছিল। আমি ভয়ে দৌড়ে গিয়ে লোকজন ডেকে নিয়ে আসি। লোকজন গিয়ে দেখেন দরজা ভাঙা। পরে আমরা ওই নারীকে উদ্ধার করি। এসময় কিছু লোক তাকে মারধর করে এবং সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে। পরে তারা বুঝতে পারেন ওই নারীর ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। তখন লোকজন ফজর আলীকে মারধর করেন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই হাসপাতাল থেকে ফজর আলী পালিয়ে যান। আজ সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।”

এদিকে সেই ঘটনায় একটি ভিডিও গতকাল শনিবার রাতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। 

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, “ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী থানায় মামলা করার পর পুলিশ অভিযানে নামে। ভুক্তভোগী নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।”

ঢাকা/রুবেল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চালের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে নোয়াখালীতে বিক্ষোভ
  • লায়ন কুতুব উদ্দিন আকসিরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ
  • আদালতে চুপ মমতাজ, হাসিমুখে ছিলেন সাবেক এমপি তুহিন
  • ফতুল্লায় এক পোশাক কারখানার শ্রমিক অসন্তোষে বন্ধ হলো ৮ কারখানা
  • মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণ, প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৫
  • শেষ ঠিকানার কারিগর মনু মিয়ার কবর খুঁড়লেন ৫ ব্যক্তি