মানসম্মত খাবার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করেছে।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় শুরু হওয়া এ অভিযানে কয়েকজন দোকানিকে জরিমানা করা হয়েছে।

অভিযানে খাবার, খাবার তৈরির কাঁচামাল পরীক্ষার করে এক্সপার্ট টিম মানহীন সামগ্রী এবং অতিমাত্রায় জীবাণুযুক্ত পাত্রে খাবার তৈরি ও পরিবেশন করার বিষয়টি সামনে আসে।

আরো পড়ুন:

১০ লাখ টাকা সরকারি ফান্ডিং পেল রাবি শিক্ষার্থীদের স্টার্টআপ

প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ চালু করবে রাবি প্রশাসন

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.

মাহবুবুর রহমান বলেন, “নিরাপদ ও মানসম্মত খাবার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে মাঠে নেমেছি। আজ অভিযানের প্রথম দিন। এখন থেকে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।”

তিনি আরো বলেন, “অপরিচ্ছন্ন ও মানহীন খাবার পরিবেশনের করায় কয়েকজন দোকানিকে ন্যূনতম জরিমানা করে চূড়ান্তভাবে সতর্ক করা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে খাবার পরিবেশন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য ন

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনাকে কোনো অবস্থাতেই ফেরত পাঠাবে না ভারত: রাজনৈতিক বিশ্লেষ

২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার অপর আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের সাজা।

গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা এবং এরপর থেকে তিনি ভারত সরকারের আশ্রয়েই রয়েছেন। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনার অনুপস্থিতি তার বিচার পরিচালনা করে। আজ সোমবার রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সাবেক পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বলেন, “হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের এই রায় প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না ভারত।” 

আলজাজিরাকে দেওয়া মন্তব্যে দত্ত আরো বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ভারত তাকে প্রত্যর্পণ করবে না। গত দেড় বছরে আমরা দেখেছি যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো অবস্থায় নেই এবং অনেক সময়ই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।”

দত্ত বলেন, “হাসিনার মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশিত ছিল।”

তিনি বলেন, “সবাই বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখেছেন। সবাই আশা করেছিলেন যে হাসিনার বিচার হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা একমত যে, বাংলাদেশে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দেশের আইনি ব্যবস্থা অনুসরণ করেছে।”

দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে কারো সন্দেহ নেই। স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।”

দত্তের ভাষ্যমতে, “আওয়ামী লীগ এখন একটি পাল্টা ব্যাখ্যা তৈরির তৈরি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু বাংলাদেশিরা মূলত বিশ্বাস করেন যে- হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।”

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ