মোহাম্মদপুরে চাপাতি দিয়ে হামলায় বিএনপি নেতার মৃত্যু, দুজন আহত
Published: 1st, July 2025 GMT
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডে দুর্বৃত্তদের হামলায় মো. মিন্টু (২৫) নামের এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন। তিনি মোহাম্মদপুরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির ৩ নম্বর ইউনিটের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন।
পুলিশ বলছে, গতকাল সোমবার সকালে মিন্টুসহ তিনজনের ওপর চাপাতি দিয়ে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মো.
মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, হামলার ঘটনায় মিন্টু আহত হলেও সেটি তেমন গুরুতর মনে হয়নি। যদিও পরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের পর তাঁর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, মিন্টুর শরীরের বিভিন্ন অংশে চাপাতির উল্টোপিঠ দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। গতকাল সকালে তিনি হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে যান। পরে রাতে তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাতেই তাঁকে জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয। ভোরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় মিন্টুর স্ত্রী টুলু আক্তার একটি মামলা করেন। তাতে বলা হয়, গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মোহাম্মদপুর টাউন হলে বিএনপির দলীয় কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার পর একটি মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরছিলেন মিন্টু। ওই মোটরসাইকেলে তুহিন জমাদার ও জহিরুল ইসলাম নামের দুজন ছিলেন। তাঁরা মিন্টুর ঘনিষ্ঠ। তাঁদের সবার বাসা মোহাম্মদপুরের আজিজ মহল্লা ও তাজমহল রোডে। মোটরসাইকেলে করে তাঁরা তাজমহল রোডে এসে জটলা দেখেন। সেখানে জটলা কেন, কী হয়েছে—এই বিষয়টি মিন্টু তাঁর পরিচিত জালাল নামের এক ব্যক্তির কাছে জানতে চান। এ সময় জালালসহ কয়েকজন তাঁদের তিনজনের ওপর হামলা চালান। তুহিনের পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়। চাপাতির উল্টোপিঠের আঘাতে মিন্টু ও জহিরুল আহত হন। তিনজনকে উদ্ধার করে প্রথমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম হ ম মদপ র ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
সাত বছর আগে সাংবাদিক খাসোগি হত্যার পর প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন সৌদি যুবরাজ
যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। আগামীকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকের লক্ষ্য তেল ও নিরাপত্তা খাতে দুদেশের বহু দশকের সহযোগিতার সম্পর্ক আরও গভীর করা। একই সঙ্গে বাণিজ্য, প্রযুক্তি এবং সম্ভাব্য পারমাণবিক জ্বালানি খাতে সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করা।
২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে সাংবাদিক এবং সৌদি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পর এটাই যুবরাজ সালমানের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর।
আরও পড়ুনসৌদি আরবের যুবরাজের সঙ্গে বৈঠক করলেন ট্রাম্প১৩ মে ২০২৫সৌদি আরবের গোয়েন্দারা ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসের ভেতর খাসোগিকে হত্যা করেছিলেন বলে অভিযোগ। এ হত্যাকাণ্ড বিশ্বজুড়ে তুমুল আলোড়ন তুলেছিল। অনেকে অভিযোগ করেছিলেন, খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পেছনে যুবরাজ সালমানের হাত রয়েছে।
পরে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিল, যুবরাজই খাসোগিকে অপহরণ বা হত্যার অনুমোদন দিয়েছিলেন।
যুবরাজ সালমান খাসোগিকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে তিনি সৌদি আরব সরকারের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে এ হত্যার দায় স্বীকার করেছিলেন।
খাসোগি হত্যার পর সাত বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং সবচেয়ে বেশি তেল উত্তোলনকারী দেশ সৌদি আরব নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক নতুন করে এগিয়ে নিতে চাইছে।
আরও পড়ুনসৌদি আরবের সঙ্গে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অস্ত্র বিক্রির চুক্তি’ যুক্তরাষ্ট্রের১৩ মে ২০২৫ট্রাম্প গত মে মাসে সৌদি আরবে তাঁর সফরের সময় দেওয়া ৬০ হাজার কোটি ডলারের সৌদি বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতির সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছেন।
মে মাসের ওই সফরে ট্রাম্প সৌদি আরবে মানবাধিকার–সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা স্পষ্টভাবে এড়িয়ে গিয়েছিলেন। এবারও তিনি একই পথে হাঁটবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে যুবরাজ মোহাম্মদ আঞ্চলিক অস্থিরতার মধ্যে নিজ দেশের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাইছেন। একই সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি (এআই) এবং বেসামরিক খাতে একটি পারমাণবিক প্রকল্প চুক্তির পথে অগ্রসর হতে চাইছেন।
আরও পড়ুনখাসোগি হত্যা সবচেয়ে জঘন্য ধামাচাপার ঘটনা: ট্রাম্প২৪ অক্টোবর ২০১৮যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব দীর্ঘদিন ধরেই এমন একটি সম্পর্ক বজায় রেখেছে, যেখানে সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তাদের পছন্দমতো দামে তেল বিক্রি করবে এবং যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে নিরাপত্তা দেবে।
আরও পড়ুনখাসোগিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে: সৌদি আরব২৬ অক্টোবর ২০১৮