রূপগঞ্জে ট্রাক চাপায় ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী নিহত
Published: 2nd, July 2025 GMT
রূপগঞ্জে ট্রাক চাপায় শহীদ (৫০) নামক এক বাঙারি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। বুধবার (২ জুলাই) বিকেলে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের উপজেলার ভূলতা এলাকায় এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শহীদ মিয়া কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার পাড়াবালিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে। দীর্ঘদিন যাবত তিনি সপরিবারে উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় বসবাস করতেন। পেশায় তিনি একজন ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী।
নিহতের চাচা আব্দুল খালেক জানান, সে ভ্যান গাড়ি নিয়ে প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন মহল্লায় ঘুরে ফেড়ি করে বিভিন্ন লোহার গড়দা মাল ক্রয় করে দোকানে বিক্রি করতো। প্রতিদিনের ন্যায় আজ সকালেও সে ফেড়ি করে ভাঙ্গারি মালামাল ক্রয় করতে বেরিয়েছিল।
বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতা এলাকায় এলে দ্রুতগামী একটি ট্রাক চাপা দিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয় কয়েকজন ওই পথচারীকে ভুলতা জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভূলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোখলেছুর রহমান বলেন, বুধবার বিকালে উপজেলার ভূলতা এলাকায় দ্রুতগামী একটি ট্রাক ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীকে চাপা দিয়ে চলে যায়।
পরে স্থানীয় কয়েকজন ওই পথচারীকে ভুলতা জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে এসে রেখে পালিয়ে যায়।পরিবর্তীতে রূপগঞ্জ থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ব যবস য় উপজ ল র এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে বন্দর থানা পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান, শাকিল গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম বন্দর থানার ঈশান মিস্ত্রিরহাট এলাকায় পুলিশের ওপর হামলার প্রধান আসামি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মো. শাকিল (২৭) ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম বন্দর থানা।
রবিবার ভোরে বন্দর থানার ওসি আফতাব উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক দল পতেঙ্গার আউটার রিং রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে কন্টেইনারবাহী গাড়ির হেলপারের সিট থেকে শাকিলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আফতাব উদ্দিন এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, গত ১১ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার দিকে সন্ত্রাসী শাকিলের নেতৃত্বে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ, যুবলীগের নামে একটি মিছিল বের হয়। খবর পেয়ে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে শাকিল ও তার সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ধারালো কিরিচ দিয়ে শাকিল বন্দর থানার এসআই আবু সাঈদ রানাকে মাথা, গলা, হাত ও পেটে গুরুতর জখম করে। পরে এ ঘটনায় দুইটি মামলা দায়ের হয়।
তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, শাকিল কন্টেইনারবাহী গাড়িতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পালানোর চেষ্টা করছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শাকিলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। পরে তার স্বীকারোক্তিতে বন্দর থানার ঈশান মিস্ত্রিরহাট এলাকার একটি পরিত্যক্ত টিনশেড ঘর থেকে তার সহযোগী মো. আরিফ হোসেনকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় আরিফের কাছ থেকে একটি কিরিচ এবং শাকিলের দেখানো স্থানে লুকানো অবস্থায় দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক ও তিন রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, শাকিলের বিরুদ্ধে ডিএমপি ও সিএমপি’র বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, হত্যা চেষ্টা, মারামারি, চুরি ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নয়টি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ৩৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঢাকা/রেজাউল