কুমিল্লার মুরাদনগরে মাদক ব্যবসার অভিযোগ তুলে গণপিটুনিতে একই পরিবারের ৪ জন নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বাঙ্গুরা বাজার থানার আকবপুর ইউনিয়নের কড়াইবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  

গণপিটুনিতে নিহতরা হচ্ছেন- রোকসানা আক্তার রুবি, তার ছেলে রাসেল মিয়া, মেয়ে জোনাকি ও রুমা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। নিহতদের মাদক ব্যবসায়ী দাবি করে স্থানীয়রা পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। তদন্তের পর আরও বিস্তারিত জানা যাবে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, রোকসানা আক্তার ও তার পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছেন। বিভিন্ন সময় তাদের বিরুদ্ধে মুরাদনগর, বাঙ্গরাসহ বিভিন্ন থানায় বহু মামলা রয়েছে। তাই লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের পিটিয়ে হত্যা করেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গণপ ট ন ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

নারী নির্যাতন প্রতিরোধে কাজ করবে ‘কুইক রেসপন্স টিম’: শারমীন এস মুরশিদ

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, নারী নির্যাতনের প্রতিকার ও প্রতিরোধে কাজ করবে ‘কুইক রেসপন্স টিম’। কুমিল্লা জেলার মুরাদনগরে সম্প্রতি নারীর ওপর যে বর্বর নির্যাতন ঘটে গেল, এ সহিংসতা প্রতিরোধে মুরাদনগর থেকে এর যাত্রা শুরু হলো আজ (বুধবার)। এই উদ্যোগ সারা দেশে অব্যাহত থাকবে।

বুধবার মুরাদনগর উপজেলা কার্যালয় অডিটোরিয়ামে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। সম্প্রতি মুরাদনগরে নারীর প্রতি সংঘটিত ঘটনাবলি নিয়ে মুরাদনগর উপজেলার কর্মকর্তা ও সুধীজনদের সঙ্গে এ মতবিনিময় হয়। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানায়।

নারী ও শিশুর প্রতি নির্যাতন মানবাধিকারের লঙ্ঘন উল্লেখ করে শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ‘ধর্মীয় মূল্যবোধ আমাদের মধ্যে না থাকায় ছেলেদের দ্বারা মেয়েরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বেশি। এই নির্যাতনের মাত্রা ভয়ংকর। আমাদের শিশুরা নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতিত হচ্ছে এবং আশ্রয়হীন ও নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে।’

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, দেশে নারী ও শিশুর নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর আইন থাকলেও এ ধরনের অপরাধ প্রত্যাশিত মাত্রায় কমছে না। নারী ও শিশুর প্রতি পরিবারে, কর্মক্ষেত্রে, জনসমাগম স্থলে, অনলাইনসহ নানাভাবে বিভিন্ন ধরনের সহিংসতা ও অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। তিনি বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা ও অপরাধ নিরসন সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। সরকারের পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মসহ সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে শারমীন এস মুরশিদ বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইনের ১৪ ধারা এবং হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ভুক্তভোগীকে খারাপভাবে চিত্রিত করে প্রচার করা আইনবিরোধী কাজ। এদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। যে অপরাধী, তার ছবি প্রকাশ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

এর আগে মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিকার ও প্রতিরোধে কুইক রেসপন্স টিম গঠন করেন উপদেষ্টা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুর রহমানকে আহ্বায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুরাদনগরে মা ও ছেলে-মেয়েকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার সূত্রপাত যেভাবে
  • মুরাদনগরে মা ও ছেলে-মেয়েকে পিটিয়ে হত্যার সূত্রপাত যেভাবে
  • মুরাদনগরে পর্নোগ্রাফি মামলায় ৪ যুবক ৩ দিন রিমান্ডে
  • নারীর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার মামলায় রিমান্ডে চার আসামি
  • নারীর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় চার আসামির ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
  • মাদক কারবারের অভিযোগে মুরাদনগরে মা, ছেলে ও মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা
  • মুরাদনগরে গণপিটুনিতে মা, ছেলে ও ২ মেয়ে নিহত
  • মুরাদনগরে এক পরিবারের ৩ জনকে হত্যা
  • নারী নির্যাতন প্রতিরোধে কাজ করবে ‘কুইক রেসপন্স টিম’: শারমীন এস মুরশিদ