দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান চলমান থাকায় বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর নিজ নামে বরগুনা জেলায় থাকা ৩৩ বিঘা জমি ও উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরের একটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন। দুদকের উপসহকারী পরিচালক খাইরুল ইসলাম জব্দ ও অবরুদ্ধের আবেদন করেন। এছাড়াও একটি পরিবারিক সঞ্চয়পত্র, দুইটি এফডিআর, দুইটি গাড়ি ও ১৬টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছে। 

জব্দ সম্পদের আনুমানিক মূল্য ধরা হয়েছে, ২ কোটি ৩৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। অবরুদ্ধ হিসাবে আছে, ১০ কোটি ৬২ লাখ ৪৪ হাজার ৭৮২ টাকা। 

আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংঙ্গতিপূর্ণ ৫ কোটি ৪১ লাখ ২০ হাজার ১২৫ টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখাসহ নিজ নামের ১৬টি ব্যাংক হিসাবে ৪১ কোটি ৯৩ লাখ ২৫ হাজার ৭০২ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর, রূপান্তর করায় মামলা করা হয়েছে। তদন্তকালে জানা গেছে যে, আসামি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু তার অর্জিত স্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টায় রয়েছেন। সুষ্ঠু মামলার তদন্তের স্বার্থে অবিলম্বে তার নিজের সম্পদসমূহ ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। 

প্রসঙ্গত, জুলাই আন্দোলনে নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় বরগুনা-১ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে গত ১১ নভেম্বর গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অবর দ ধ

এছাড়াও পড়ুন:

তেলবাহী ট্যাংকারের সঙ্গে ঝুলছিল যুবকের মরদেহ

ফেনীর দাগনভূঞায় তেলবাহী ট্যাংকার লরির সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থান এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বসুরহাট রোডের নতুন পোলের পাশে ভূঁইয়া এলপিজি ফিলিং স্টেশন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত যুবকের নাম সুজন চন্দ্র ভৌমিক (৪০)। তিনি নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর ফকিরা ইউনিয়নের চরখালী গ্রামের প্রফুল্ল কুমার ভৌমিকের ছেলে। সুজন ভূঁইয়া এলপিজি ফিলিং স্টেশনে কর্মরত ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী, ফিলিং স্টেশন ও পুলিশ সূত্র জানায়, সুজন রাতে কাজ শেষে দিনে একটি দোকান পরিচালনা করতেন। আজ সকালে স্থানীয় লোকজন পাম্প ভবনের উত্তর পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা তেলের গাড়ির রেলিংয়ের সঙ্গে সুজনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠান।

ফিলিং স্টেশনের মালিক আবুল হোসেন ভূঁইয়া জানান, ‘সুজনের কাছে আমি প্রায় তিন লাখ টাকার বেশি টাকা পেতাম। তিনি টাকা না দেওয়ায় ফিলিং স্টেশনের কাজে আসতে নিষেধ করেছিলাম। এরপরের বিষয়গুলো আমার জানা নেই।’

নিহত সুজনের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁর বাবা সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবং মা ভারতে থাকেন। সুজন নোয়াখালীর বাড়িতে একাই থাকতেন।

দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদ পারভেজ জানান, ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে—এটি হত্যা না আত্মহত্যা। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা চলমান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ