পানগাঁও কাস্টমস হাউস পরিদর্শনে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ
Published: 11th, July 2025 GMT
ঢাকার পানগাঁও কাস্টমস হাউস পরিদর্শন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। এসময় কর্মকর্তাদেরকে তিনি দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) তিনি এই কাস্টমস হাউসটি পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে দাপ্তরিক কার্যক্রম সম্পাদনের বিষয়ে খোঁজ খবর নেন।
পরিদর্শন শেষে তিনি পানগাঁও কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের (বন্দর কর্তৃপক্ষ, আমদানিকারক, সিএন্ডএফ এজেন্ট) সাথে মতবিনিময় করেন।
এসময় তিনি রাজস্ব আদায় কার্যক্রমসহ অন্যান্য দাপ্তরিক কার্যক্রম যেমন-ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতায় দ্রুত পণ্য খালাসকরণ, নিবারণমূলক কার্যক্রম, আমদানি নীতি আদেশ প্রতিপালন, অটোমেশন, মামলা হ্রাসকরণসহ বকেয়া আদায় কার্যক্রমে মনোযোগ দিতে বলেন।
একই সঙ্গে তিনি নিলাম কার্যক্রম দ্রুত সম্পাদনের মাধ্যমে বন্দরে বিদ্যমান নিলাম ও ধ্বংসযোগ্য পণ্যের দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশনা প্রদান করেন।
তিনি বলেন, “রাষ্ট্রের স্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে পানগাঁও কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বদা কাজে মগ্ন থাকতে হবে। এসময়ে তিনি দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।”
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “সারা পৃথিবীতেই পোস্ট ক্লিয়ারেন্স অডিট (পিসিএ) এর মাধ্যমে খালাস করা পণ্য চালানের অডিট করা হয়। সেই আলোকে পানগাঁও কাস্টমস হাউস-এর পোস্ট ক্লিয়ারেন্স অডিট (পিসিএ) জোরদার করা প্রয়োজন।”
তিনি বলেন, “রাজস্ব বিভাগ যেকোন দেশের সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের একটি। যা ক্ষতিগ্রস্ত হলে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষতি সাধিত হয়। এমনপরিস্থিতিতে পানগাঁও কাস্টমস হাউসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের অপারেশনাল ইফিসিয়েন্সি বৃদ্ধি করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘আধুনিক বিশ্বে উন্নত দেশগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই। সবাইকে আইন ও বিধি মেনে চলে কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে।”
ঢাকা/এনএফ/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘ড্রিম গার্ল’ হেমার রোমাঞ্চকর প্রেমজীবন
বলিউডের ‘ড্রিম গার্ল’ হেমা মালিনী। তার রূপ আর অভিনয়ের প্রেমে কে পড়েননি! ১৯৭০ সালে ‘তুম হাসিন ম্যায় জওয়ান’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেন হেমা মালিনী ও ধর্মেন্দ্র। এ সিনেমার শুটিং সেটে তাদের প্রথম দেখা হয়। তারপর হেমার প্রেমে উন্মাদ হয়ে উঠেন বিবাহিত ধর্মেন্দ্র। সব দ্বিধা উড়িয়ে সময়ের সঙ্গে দুজনেই মনের বিনিময় করেন। রোমান্টিক গল্প রুপালি পর্দায় দেখে বিমোহিত হন দর্শক। কিন্তু হেমা মালিনীর বাস্তব জীবনের প্রেমজীবন সিনেমাকেও হার মানায়। চলুন, তার প্রেমজীবনে উঁকি দেওয়া যাক—
কে কে হেমাকে বিয়ে করতে চাইতেন
বিবাহিত ধর্মেন্দ্র কেবল প্রেমই করেননি। বরং হেমাকে বিয়ের জন্য উন্মুখ হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু ধর্মেন্দ্র একাই নন, আরো অন্তত তিনজন বড় তারকা হেমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। অভিনেতা সঞ্জীব কুমার একবার নয়, দু-দুবার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু হেমা রাজি হননি। পরে সঞ্জীব কুমারের ঘটক হয়ে অভিনেতা জিতেন্দ্র প্রস্তাব দেন হেমাকে; তাতেও কাজ হয়নি। আর এ সুযোগে জিতেন্দ্র নিজেই হেমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন! এ প্রস্তাবে দুই পরিবার রাজি হয়ে যায়; রাজি হন হেমা নিজেও। ফলে হেমার জীবনে ক্লাইম্যাক্স গাঢ় হয়।
আরো পড়ুন:
ব্যক্তিগত জীবন একান্তই আমার, বাগদানের গুঞ্জনে হুমা কুরেশি
অভিনেত্রী মধুমতী মারা গেছেন
জিতেন্দ্রকে বিয়ে করতে হেমাকে রাজি করান জয়া
হেমা মালিনীর আত্মজীবনী ‘হেমা মালিনী: বিয়ন্ড দ্য ড্রিম গার্ল’-এ বলা হয়েছে, জিতেন্দ্রকে বিয়ে করার জন্য হেমার মা জয়া তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। হেমার মায়ের ভাষ্য ছিল, ধর্মেন্দ্র বিবাহিত। সুতরাং সে তার মেয়ে হেমাকে ভবিষ্যতের কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারবেন না। অন্যদিকে, জিতেন্দ্র ছিলেন অবিবাহিত ও জনপ্রিয় নায়ক।
বিয়ে ভাঙতে চেন্নাই ছুটে যান মদ্যপ ধর্মেন্দ্র
মায়ের ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানিয়ে জিতেন্দ্রকে বিয়ে করতে রাজি হন হেমা মালিনী। তারপর বিয়ের জন্য চুপিচুপি চেন্নাইয়ে উড়ে যান। কিন্তু বিয়ের খবর ফাঁস হয়ে যায়। খবর পেয়ে বিস্মিত ধর্মেন্দ্র মদ্যপ অবস্থায় তড়িঘড়ি করে চেন্নাই পৌঁছান। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন জিতেন্দ্রর তখনকার প্রেমিকা শোভা কাপুর। তারা হেমা ও জিতেন্দ্রের মুখোমুখি হন। এদিকে, ধর্মেন্দ্রকে দেখে হেমার বাবা রেগে আগুন। চিৎকার করে তিনি বলেছিলেন, “তুমি আমার মেয়ের জীবন থেকে কেন চলে যাচ্ছো না? তুমি তো বিবাহিত, আমার মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে না।” তারপর পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়েছিল যে, হেমাকে ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে একান্তে কথা বলার অনুমতি দিতে বাধ্য হন।
জিতেন্দ্রর সঙ্গে বিয়ে ভেঙে দেন হেমা
হেমা-ধর্মেন্দ্র আলাদা একটি ঘরে কথা বলার সুযোগ পান। এসময় তারা দুজনই ভীষণ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। দ্বন্দ্ব আর অনুভূতির ঝড়ে ভেসে যান দুজনই। মানসিকভাবে ভেঙে পড়া ধর্মেন্দ্র কাঁদতে কাঁদতে হেমাকে অনুরোধ করেন, সে যেন এই ‘বড় ভুলটা’ না করে। এদিকে, বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা শোভা কাপুর রাগে ফেটে পড়ছিলেন। জিতেন্দ্র তাকে শান্তভাবে জানান, সে হেমাকে বিয়ে করবে, তখন পুরো পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত হেমা হৃদয়ের কথা শোনেন এবং জিতেন্দ্রকে বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত জানান। ১৯৭৪ সালের ১৮ অক্টোবর, শোভাকে বিয়ে করেন জিতেন্দ্র। এ দম্পতির দুটি সন্তান—একতা কাপুর (জনপ্রিয় প্রযোজক) ও তুষার কাপুর (অভিনেতা)।
পরিণয় পেতে ধর্মান্তরিত হন ধর্মেন্দ্র-হেমা
বিবাহিত হওয়ায় হেমা মালিনীকে বিয়ে করতে সমস্যায় পড়েন ধর্মেন্দ্র। কারণ তার স্ত্রী প্রকাশ কৌর তাকে ডিভোর্স দিতে রাজি ছিলেন না। তাই একসঙ্গে থাকার জন্য দুজনই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ১৯৭৯ সালে ধর্মেন্দ্র ‘দিলওয়ার খান কেওয়াল কৃষ্ণ’ নামে পরিচিত হন, আর হেমা নাম নেন ‘আয়েশা বি আর চক্রবর্তী’। ১৯৭৯ সালের ২১ আগস্ট বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন; বিয়ের মোহরানা ধার্য করেন ১ লাখ ১১ হাজার রুপি। ১৯৮০ সালের ২ মে, আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের ঘোষণা দেন এই প্রেমিক যুগল। এ সংসারে জন্ম নেয় দুই কন্যা—এষা দেওল ও অহনা দেওল। তারপর সময় অনেক গড়িয়েছে, এখনো অটুট ধর্মেন্দ্র-হেমার ভালোবাসা!
তথ্যসূত্র: ভাস্কর
ঢাকা/শান্ত