আগের পর্বআরও পড়ুনমাখন ড্রাম কিনতে চায় কেন১০ জুলাই ২০২৫
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মব ভায়োলেন্স, প্রতিহিংসা ও হিংস্রতা সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে
মব ভায়োলেন্সসহ মানুষে মানুষে ঘৃণা, বিদ্বেষ, প্রতিহিংসা ও হিংস্রতা সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
তিনি বলেন, “দেশের এমন ভয়ার্ত পরিস্থিতির জন্য ১৯৭১ এর দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও ২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে জীবন দেয়নি এদেশের সূর্যসন্তানরা। মানুষে মানুষে ঘৃণা, বিদ্বেষ, প্রতিহিংসা ও হিংস্রতা সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।”
পুরান ঢাকায় সোহাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় শনিবার (১২ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
‘মব ভায়োলেন্সের নামে মানুষ হত্যা ও দেশব্যাপী চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি চলছে’ জানিয়ে এসব ঘটনায় তিনি গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সোহাগ হত্যায় গভীর শোক প্রকাশ করে গোলাম মোহাম্মদ কাদের নিহতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।একইসাথে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমের প্রকাশিত সংবাদের তথ্য তুলে ধরে জিএম কাদের বলেন, “২৪ সালের আগষ্ট থেকে ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত ১০ মাসে মব ভায়োলেন্সে সারা দেশে হত্যা করা হয়েছে ১৭৪ জনকে। ঢাকা বিভাগে ৮০, খুলনা বিভাগে ১৪, রাজশাহী বিভাগে ১৬, রংপুর বিভাগে ৭, সিলেট বিভাগে ৫, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৯, বরিশাল বিভাগে ১৭ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ জন নির্মম হত্যার শিকার হয়েছেন। মব ভায়োলেন্সে হত্যার তথ্যে ও সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আমাদের সম্প্রীতির ঐতিহ্য ধংস হয়ে যাচ্ছে।”
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান সরকারের কড়া সমালোচনা করে বলেন, “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসনের কড়া হুঁশিয়ারিতেও কমছে না ভয়ার্ত ও ঘৃণ্য মব ভায়োলেন্স। সারা দেশের মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।”
মব ভায়োলেন্স সৃষ্টিকারী সন্ত্রাসীদের আইনের আওয়তায় এনে দেশে নিরাপদ পরিস্থিতি সৃষ্টিতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ