জুলাই শহীদের মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ: দুই কিশোরকে ১৩ বছর করে, অন্যজনের ১০ বছরের কারাদণ্ড
Published: 22nd, October 2025 GMT
পটুয়াখালীর দুমকীতে জুলাই আন্দোলনে শহীদ বাবার কবর জিয়ারত করে ফেরার পথে কলেজশিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় তিন কিশোরকে পৃথক আইনে সাজা দিয়েছেন আদালত। এদের মধ্যে দুই কিশোরকে ১৩ বছর করে, অন্যজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নীলুফার শিরিন এ রায় দেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল্লাহ আল নোমান রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আদালত রায়ে উল্লেখ করেছেন, আসামিরা প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত শিশু সংশোধনাগারে থাকবে। এরপর প্রচলিত আইনে তারা অন্য আসামিদের মতো কারাগারে সাজা ভোগ করবে।
ঘটনার প্রায় সাত মাসের মধ্যে আদালত এ রায় দিয়েছেন। গত ২৮ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এ মামলায় মোট ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে ধর্ষণের অভিযোগে ১০ বছর করে সাজা দেওয়া হয়। এ ছাড়া উভয়কে পর্নোগ্রাফি আইনে আরও তিন বছর করে সাজা দেন আদালত। অন্যদিকে পুলিশের অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত হওয়া আরেক কিশোর আসামিকে ধর্ষণের অভিযোগে ১০ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা আন্দোলনের সময় গত বছরের ১৯ জুলাই রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন। ১০ দিন পর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তাঁকে দুমকী উপজেলার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়। গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় বাবার কবর জিয়ারত করে নানাবাড়িতে ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ওই কলেজশিক্ষার্থী। ধর্ষণের সময় এজাহারভুক্ত আসামিরা তাঁর নগ্ন ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে বলেন। এরপর ভুক্তভোগী তাঁর মা ও পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে ২০ মার্চ দুপুরে থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে অভিযুক্ত তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ২৬ এপ্রিল রাতে রাজধানীর শেখেরটেক এলাকার ভাড়া বাসা থেকে ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন ২৭ এপ্রিল বাবার কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হয়।
পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল্লাহ আল নোমান প্রথম আলোকে বলেন, সাত মাস পাঁচ দিনের মাথায় রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক শেষে আদালত আজ রায় দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট। আসামিরা যেহেতু কিশোর বয়সের। তাই প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তাদের শিশু সংশোধনাগারে রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বছর কর ১০ বছর ক শ রক বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
রুটের ব্যাটে লড়ল ইংল্যান্ড
অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে ৯ উইকেটের পতন ঘটেছে ইংল্যান্ডের। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে জো রুটের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ৯ উইকেট হারিয়ে ৩২৫ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করেছে। রুট ১৩৫ রানে ও জোফরা আর্চার ৩২ রানে অপরাজিত আছেন। তারা দুজন আগামীকাল শুক্রবার দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নামবেন।
ব্যাট করতে নেমে ৫ রানেই দুই উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। প্রথমে বেন ডাকেটকে শূন্যরানে আউট করেন স্টার্ক। এরপর অলি পোপকেও শূন্যরানে বোল্ড করেন।
আরো পড়ুন:
১২ বছরে ৩০ প্রচেষ্টার পর অস্ট্রেলিয়ায় সেঞ্চুরি পেলেন রুট
জাতীয় ক্রিকেট লিগ: শেষ রাউন্ডে শিরোপার ফয়সালা
সেখান থেকে জ্যাক ক্রলি ও জো রুট ১১৭ রানের জুটি গড়েন দ্বিতীয় উইকেটে। ১২২ রানের মাথায় ক্রলি আউট হলে ভাঙে এই জুটি। ১১ চারে ৭৬ রান আসে ক্রলির ব্যাট থেকে। এরপর হ্যারি ব্রুককে নিয়ে দলীয় সংগ্রহকে ১৭৬ পর্যন্ত টেনে নেন রুট। এই রানে ব্রুক ফিরেন ৩১ রান করে।
এরপর ২১০ রানে বেন স্টোকস (১৯), ২১১ রানে জেমি স্মিথ (০), ২৫১ রানে উইল জ্যাক (১৯) ও ২৬৪ রানে গাস অ্যাটকিনসন (৪) আউট হলেও রুট থাকেন অবিচল। এ যাত্রায় ১৮১ বলে ১১ চারে টেস্ট ক্যারিয়ারের ৪০তম সেঞ্চুরি ও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ৪৯তম সেঞ্চুরি তুলে নেন। শুধু তাই নয়, গেল ১২ বছরে ও ৩০ বারের প্রচেষ্টায় অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এটা ছিল তার প্রথম সেঞ্চুরি।
২৬৪ রানের মাথায় ইংল্যান্ড নবম উইকেট হারালেও রুট ও আর্চার মারমুখী ব্যাটিং করে দলীয় সংগ্রহকে ৩০০ পার করেন। ১৮১ রানে সেঞ্চুরি করা রুট পরের ২১ বলে করেন ৩৫ রান। আর আর্চার ২৬ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৩২ রান। তাতে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩২৫ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করে সফরকারীরা।
ঢাকা/আমিনুল