পটুয়াখালীর দুমকীতে জুলাই আন্দোলনে শহীদ বাবার কবর জিয়ারত করে ফেরার পথে কলেজশিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় তিন কিশোরকে পৃথক আইনে সাজা দিয়েছেন আদালত। এদের মধ্যে দুই কিশোরকে ১৩ বছর করে, অন্যজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নীলুফার শিরিন এ রায় দেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল্লাহ আল নোমান রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আদালত রায়ে উল্লেখ করেছেন, আসামিরা প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত শিশু সংশোধনাগারে থাকবে। এরপর প্রচলিত আইনে তারা অন্য আসামিদের মতো কারাগারে সাজা ভোগ করবে।

ঘটনার প্রায় সাত মাসের মধ্যে আদালত এ রায় দিয়েছেন। গত ২৮ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এ মামলায় মোট ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে ধর্ষণের অভিযোগে ১০ বছর করে সাজা দেওয়া হয়। এ ছাড়া উভয়কে পর্নোগ্রাফি আইনে আরও তিন বছর করে সাজা দেন আদালত। অন্যদিকে পুলিশের অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত হওয়া আরেক কিশোর আসামিকে ধর্ষণের অভিযোগে ১০ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা আন্দোলনের সময় গত বছরের ১৯ জুলাই রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন। ১০ দিন পর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তাঁকে দুমকী উপজেলার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়। গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় বাবার কবর জিয়ারত করে নানাবাড়িতে ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ওই কলেজশিক্ষার্থী। ধর্ষণের সময় এজাহারভুক্ত আসামিরা তাঁর নগ্ন ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে বলেন। এরপর ভুক্তভোগী তাঁর মা ও পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে ২০ মার্চ দুপুরে থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে অভিযুক্ত তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ২৬ এপ্রিল রাতে রাজধানীর শেখেরটেক এলাকার ভাড়া বাসা থেকে ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন ২৭ এপ্রিল বাবার কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হয়।

পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল্লাহ আল নোমান প্রথম আলোকে বলেন, সাত মাস পাঁচ দিনের মাথায় রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক শেষে আদালত আজ রায় দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট। আসামিরা যেহেতু কিশোর বয়সের। তাই প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তাদের শিশু সংশোধনাগারে রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বছর কর ১০ বছর ক শ রক বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

মান্ধানা সেঞ্চুরি পাননি, ভারতও জেতেনি, ৪ রানের জয়ে ইংল্যান্ড সেমিফাইনালে

১৪তম ওয়ানডে সেঞ্চুরিটা বোধ হয় পেয়েই যাচ্ছেন স্মৃতি মান্ধানা! যেভাবে ব্যাট করেছিলেন ভারতীয় ওপেনার, তাতে এমনটাই মনে হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ডের দেওয়া ২৮৯ রানের লক্ষ্যও সহজে ছুঁয়ে ফেলতে যাচ্ছে ভারত।

কিন্তু সবকিছু বদলে গেল ৪২তম ওভারে। ইংলিশ বাঁহাতি স্পিনার লিনসি স্মিথের করা দ্বিতীয় বলটায় ছক্কা মারতে গেলেন মান্ধানা। শটে অতটা জোর ছিল না। বাউন্ডারির মিটার তিনেক ভেতরই অ্যালিস ক্যাপসি ক্যাচ নিয়ে নিলেন। মান্ধানা ফিরলেন ৮৮ রানে, ভারত চতুর্থ উইকেট হারাল ২৩৪ রানে। ম্যাচটাও ঘুরে গেল সেখান থেকে। মান্ধানা যখন ফিরলেন ৫২ বলে ৫৫ রান দরকার ভারতের। সেই সমীকরণ মেলাতে পারেনি ভারত, শেষ পর্যন্ত হেরেছে ৪ রানে।

এই জয়ে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার পর তৃতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠে গেল ইংল্যান্ড। আর ভারত পড়ে গেল অনেক যদি কিন্তুর মধ্যে। পাঁচ ম্যাচ শেষে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের পয়েন্ট ৯। দক্ষিণ আফ্রিকার সমান ম্যাচে ৮ পয়েন্ট। ৪ পয়েন্ট করে নিয়ে ভারত ও নিউজিল্যান্ড আছে পরের দুটি স্থানে। ২৩ অক্টোবরের ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচটি তাই  কার্যত কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ হয়ে গেছে।

ইন্দোরের ম্যাচটিতে হিদার নাইটের তৃতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে ভর করে ৮ উইকেটে ২৮৮ রান তোলে ইংল্যান্ড। ৯১ বলে ১৫ চার ও ১ ছক্কায় ১০৯ রান করেছেন ইংল্যান্ডের তিন নম্বর ব্যাটার। ট্যামি বেমন্ট (২২) ও অ্যামি জোন্সের (৫৬) উদ্বোধনী জুটি ৭৩ রান এনে দিয়েছিলেন। ২৫ রানের ব্যবধানের দুজনে বিদায় নিলেও অধিনায়ক ন্যাট সিভার-ব্রান্টকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ১১৩ রান যোগ করেন নাইট। জুটির মাত্র ৩৮ রানই সিভার-ব্রান্টের। নাইট বিদায় নেন ৪৪.৩ ওভারে দলকে ২৪৯ রানে রেখে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে। এরপর শেষ ৩৩ বলে ৩৮ রান যোগ করতে পারে দলটি।

রান তাড়ায় তৃতীয় ওভারেই ওপেনার প্রতীকা রাওয়ালকে হারায় ভারত। ৬ রান করেছেন রাওয়াল। ১৩ রানে প্রথম উইকেট খোয়ানো ভারত ৪২ রানে হারায় দ্বিতীয় উইকেট। এরপর অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ১২২ বলে ১২৫ রান যোগ করেন মান্ধানা। হারমানপ্রীত ৭০ বলে ৭০ রান করে আউট হওয়ার পর দীপ্তি শর্মাকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ৬৬ বলে ৬৭ রান যোগ করেন মান্ধানা।

৯৪ বলে ৮৮ রান করে মান্ধানার বিদায়ের পরও দীপ্তি টিকে ছিলেন ৪৭তম ওভার পর্যন্ত ঠিক ৫০ রান করে এই অলরাউন্ডার যখন আউট হলেন ১৯ বলে ২৭ রান দরকার ভারতের। শেষ ওভারে সেটি দাঁড়ায় ১৩ রানে। লিনসি স্মিথের করা ওভারে ৯ রান তুলতে পারেন আমানজোত কৌর ও স্নেহ রানা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি কি পেটের পীড়ার কারণ
  • লেভারকুসেনকে ৭-২ গোলে উড়িয়ে দিল পিএসজি 
  • প্রথম টাই, প্রথম সুপার ওভার, এরপর বাংলাদেশের হার
  • ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হত্যাকাণ্ডে বর্ষাসহ তিনজনের স্বীকারোক্তি
  • ঠিকাদারের সঙ্গে বিতণ্ডা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী সাময়িক বরখাস্ত
  • বাল্যবিবাহের ৪ বছর পর রেজিস্ট্রির সময় আবারও যৌতুক দাবি, গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
  • ‘তুমি না মরলে আমি মাহীরের হব না’, বলেন বর্ষা
  • শান মাসুদের ব্যাটে প্রথম দিন এগিয়ে পাকিস্তান
  • মান্ধানা সেঞ্চুরি পাননি, ভারতও জেতেনি, ৪ রানের জয়ে ইংল্যান্ড সেমিফাইনালে