‘নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করবে সরকার’
Published: 12th, July 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটবে। নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির বিকল্প নেই। নির্বাচনের আগে যেকোনো মূল্যে পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটানো হবে। অপরাধ করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
শনিবার (১২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সুধীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার যখন দায়িত্ব নেয়, তখন পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল ছিল। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি উন্নতিতে সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে। মিটফোর্ডে খুনের ঘটনায় দ্রুত সময়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করা আমাদের উদ্দেশ্য। ভোট দিয়ে মানুষ যাতে ভালো অনুভব করেন, সে চেষ্টা করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহকালে বিগত সময়ে সাংবাদিকরা যে ধরনের সমস্যায় পড়তেন, এবার সে সমস্যায় পড়তে হবে না। আপনারা কোনো হয়রানির শিকার হবেন না। নির্বাচনী আচরণবিধি থাকে, এবারও থাকবে। আপনারা সেটা ফলো করবেন। এরপরও বাধার সৃষ্টি হলে একজন অফিসারকে ডেজিগনেট করে দেওয়া হবে, তিনি কথা বলে বাধা-বিপত্তি দূর করতে কাজ করবেন।”
উপ-প্রেস সচিব আরো বলেন, “কারো প্রতি সরকারের কোনো রাগ-অনুরাগ নেই। সাংবাদিকরা কোনো রাজনৈতিক দলের দ্বারা যেন হয়রানির শিকার না হন, সেটা দেখা হবে। এবার প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে। আপনারা প্রশাসনকে জানাবেন। অনিয়ম দেখলে দ্বিধাহীন চিত্তে রিপোর্ট করবেন। আমরা বিশ্বাস করি, সমস্যাগুলো দ্রুত কেটে যাবে।”
তিনি বলেন, “গত এক বছরে গণমাধ্যম সূচকে ১৬ ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। গত ৫ বছরে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করে হয়রানি করা হয়েছিল। সেটা বাতিল করা হয়েছে। নতুন বোতলে পুরনো মদ সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট করেছিল, সেটাও বাতিল করা হয়েছে। সাংবাদিকের নামে হওয়া হয়রানিমূলক মামলাগুলোও প্রত্যাহার করা হয়েছে। বন্ধ গণমাধ্যম দু-একটি প্রকাশ হতে শুরু করেছে। টেলিভিশন চ্যানেলগুলো সম্প্রচারে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কোনো চ্যানেল বন্ধ হয়নি, বরং চালু হচ্ছে। এখন সাংবাদিকরা হয়রানির শিকার হন না। সাংবাদিকতা করার কারণে কোনো মামলা-হয়রানি হয়নি।”
এ সভায় প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ, সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/কেয়া/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর স থ ত র হয়র ন সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
জাল টাকা নিয়ে সতর্ক করল বাংলাদেশ ব্যাংক
নগদ টাকার লেনদেনে জনসাধারণকে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি বড় অঙ্কের লেনদেন ডিজিটাল মাধ্যমে সম্পন্ন করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। দেশে জাল টাকার অনুপ্রবেশ হচ্ছে—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই পরামর্শ দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ গণমাধ্যমে বিপুল পরিমাণ নোট বাংলাদেশে প্রবেশসংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এ ধরনের তথ্য জনসাধারণের মধ্যে উদ্বেগ ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী জাল নোট তৈরি, বহন ও লেনদেন করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জাল টাকার বিস্তার ও এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন এবং জাল টাকার প্রচলন রোধে নিয়মিতভাবে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে তৎপর।
এ পরিপ্রেক্ষিতে নগদ লেনদেনে জনসাধারণকে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন ও জাল নোট প্রচলন প্রতিরোধে পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে রয়েছে নোট গ্রহণের সময় নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলো, যেমন জলছাপ, অসমতল ছাপা, নিরাপত্তা সুতা, রং পরিবর্তনশীল কালি ও ক্ষুদ্র লেখা যথাযথভাবে যাচাই করা। বড় অঙ্কের লেনদেন ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে সম্পাদন করা। নগদ লেনদেনে যথাসম্ভব ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করা। সন্দেহজনক নোট পেলে বা এ–সংক্রান্ত কোনো তথ্য অবগত হলে অবিলম্বে নিকটস্থ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি অথবা জাতীয় জরুরি সেবা–৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করা।