দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও লাওস ফ‌রেন অফিস কনসালটেশন (এফও‌সি) বিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।

বুধবার (৬ আগস্ট) ভিয়েতনামে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষর করা হয়।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন ভিয়েতনামে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. লুৎফর রহমান। লাওস সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ভিয়েতনামে লাওসের রাষ্ট্রদূত খামফাও এনথাভান।

সমঝোতা স্মারকটিকে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে আখ্যায়িত করে রাষ্ট্রদূত লুৎফর রহমান বলেন, “এই চুক্তি দুদেশের মধ্যে নিয়মিত কূটনৈতিক সভা ও আলোচনার পথ সুগম করবে। বাংলাদেশ ও লাওসের মধ্যে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, বিনিয়োগসহ সব ধরনের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গভীর করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সর্বোপরি, এটি দুদেশের মধ্যে একটি টেকসই দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”

বাংলাদেশ আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়লগ পার্টনার হতে চায়- এই অভিপ্রায় পুনঃব্যক্ত করে রাষ্ট্রদূত আশাবাদ ব্যক্ত করেন, “এই সমঝোতা স্মারকটি শুধু দ্বি-পাক্ষিক বন্ধন জোরদারই করবে না বরং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক ফোরামেও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরস্পরকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে।”

বাংলাদেশকে লাওসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে লাওসের রাষ্ট্রদূত খামফাও এনথাভান এই ঐতিহাসিক চুক্তি সফলভাবে স্বাক্ষরে বাংলাদেশ দূতাবাসের সক্রিয় প্রচেষ্টার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত এনথাভান বলেন, “আজকের এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে দুদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়মিত উচ্চপর্যায়ের সভা অনুষ্ঠানের একটি  স্থায়ী ফোরাম প্রতিষ্ঠিত হলো যা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়সহ নানা ক্ষেত্রে দুদেশের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় করবে বলে আশা করা যায়।”

বাংলাদেশ ও লাওস ১৯৮৮ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এই সমঝোতা স্মারকটি দুই দেশের গঠনমূলক কূটনৈতিক সভা ও সংলাপ সংক্রান্ত প্রথম চুক্তি। 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক টন ত ক স ম রকট স ম রক সমঝ ত

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লার সেই বিএনপিকর্মী ইব্রাহিম মারা গেছেন

ফতুল্লার বিএনপি কর্মী ইব্রাহিম (৫২) মারা গেছেন। সে ফতুল্লা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ছিলেন। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনি ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীনবস্থায় মারা যান।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে হাজিগঞ্জ জামে মসজিদে নিহতের নামাজের জানাজা শেষে পাঠানটুলি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

নিহত ইব্রাহিম ফতুল্লা থানার ফতুল্লা ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড হাজীগঞ্জের আব্দুল জলিলের পুত্র। তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক।

জানা যায়,২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টনে বিএনপির ডাকা মহা সমাবেশে ফতুল্লা ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও যুবদলের ব্যানারে সে অংশগ্রহণ করে।

সমাবেশের শেষের দিকে মুল মঞ্চের পেছনের দিকে পুলিশের সাথে বিএনপির নেতা,কর্মীও সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ হয়। সে সময় পুলিশ বিএনপি নেতা- কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের কে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। 

ইব্রাহিম পুলিশের হামলায় মারাত্নক আহত হয়ে রাস্তায় পরে থাকে। সে সময় সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়। ঘটনার চারদিন পর তার সহোযোগিরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে খুঁজে পায়। দীর্ঘদিন সহোযোগিরা নিজেদের অর্থায়নে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর আল বারাকা নামের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা করায়। 

পরবর্তীতে ইব্রাহিমকে নিয়ে স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন হলে বিএনপি নেতা ও শিল্পপতি আবু জাফর আহমেদ  বাবুল তার চিকিৎসার দ্ধায়িত্ব নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পিজি হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানেই রোববার রাতে তিনি মারা যান।

ফতুল্লা ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ পারভেজ মিয়া জানান,নিহত ইব্রাহিম ২০২৩ সালে ২৮ অক্টোবর  বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ঘোষিত পল্টন পার্টি অফিসের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপি ও  ইউনিয়ন যুবদলের সাথে ঢাকায় গিয়েছিলেন । 

সমাবেশ চলাকালে ফতুল্লা ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রুহুল আমিন টিপু  ও নিহত ইব্রাহিম এবং তিনি সহ আরো নেতা-কর্মীরা পল্টন পার্টি অফিস সংলগ্ন  চায়না টাওয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।  হঠাৎ পুলিশ তাদের উপর চড়াও হয়। এতে করে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে  পরে।

অতর্কিত হামলায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়ার  পর  প্রায় চার দিন পর  পত্রিকার নিউজে দেখতে পায় ইব্রাহিম নামে একজন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সেই সংবাদের পর  তার পরিবারের লোকজন  এবং ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রওশন আলী ঢাকা মেডিকেলে খোঁজ নেওয়ার পরে তারা নিশ্চিত হন যে ঢাকা মেডিকেল কলেজে থাকা চিকিৎসারতি হচ্ছে তাদের নিখোঁজ  ইব্রাহিম।

ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসা শেষ করে তাকে বাসায় আনা হয়। বাসায় আনার পরে উনি আবার অসুস্থ হয়ে পরে। ফলে ৮ নং ওয়ার্ডের সকল নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় পুনরায় তাকে মদনপুর আল বারাকা হসপিটালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রায় তিন মাস চিকিৎসা  শেষে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পরেন। 

এমতাবস্থায় নাসিক ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক রিপন তাকে দেখতে আসলে স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশ পায়। প্রকাশিত সংবাদের পর বিএনপি নেতা শিল্পপতি  প্রাইম বাবুল ভাই তার চিকিৎসার দ্ধায়িত্ব নেন। 

বাবুল ভাই নিজে এসে তার দাত্ব নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য পিজি হাসপাতালে ভর্তি করান। দীর্ঘদিন চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমান ১১ টা ৪০ মিনিটের সময় তিনি ইন্তেকাল করেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ