জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে স্মৃতিতে স্থায়ীভাবে ধারণ করার আহ্বান জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা  আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, “আমাদের প্রধান দায়িত্ব হলো—যারা জুলাই আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন, যাদের অঙ্গহানি হয়েছে, তাদের যেন আমরা কখনো ভুলে না যাই।”

বুধবার (৬ আগস্ট) বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের কারাবন্দিদের নিয়ে আয়োজিত এক স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আসিফ নজরুল বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে একটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা সকলে একসঙ্গে দাঁড়িয়েছিলাম। মানুষের ধর্ম, বর্ণ, গোত্র কিংবা রাজনৈতিক আদর্শ সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। আমরা মানুষ হিসেবে একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে সফল হয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, এই অভ্যুত্থানের পর আমাদের মধ্যে বিভাজনের চেষ্টা চলছে। অথচ অভ্যুত্থানের আগে শক্তিগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ছিল।”

তিনি আরও বলেন, “জুলাই কারাবন্দিদের যেসব দুঃখ-কষ্ট, নির্যাতনের গল্প আমরা আজ শুনলাম—সেগুলো হয়তো এই অনুষ্ঠানে না এলে জানতেই পারতাম না।”

অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “শেখ হাসিনা সম্পূর্ণ দেশকেই কারাগারে পরিণত করেছিলেন। আর কারাগারগুলো রূপ নিয়েছিলো আয়নাঘরে।”

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মহাসচিব অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যসচিব আকতার হোসেন, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু এবং গণ অধিকার পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হক নুর।

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণঅভ য ত থ ন অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

যারা জুলাই আন্দোলনের বিরুদ্ধে তারা আর কখনো ফিরে আসবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যারা জুলাই আন্দোলন ও গ্রাফিতির বিরুদ্ধে তারা আর কখনো ফিরে আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এমনকি জুলাই আন্দোলনে যারা আত্মত্যাগ করেছেন তাদের এই আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে অঙ্কিত গ্রাফিতি ‌‘জুলাই বীরত্ব’ ও ‘জুলাই আত্মত্যাগ’ এর উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আপনাদের মনে কখনো সন্দেহ রাখবেন না যে, এই গ্রাফিতি থাকবে না। সামনে নির্বাচিত সরকার এলেও এই গ্রাফিতি না রাখার কারণ নেই।’’

তিনি বলেন, ‘‘আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আত্মদানকারী শহীদদের। তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং তাদের পরিবার-পরিজনের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। একই সঙ্গে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’’

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে পদ্মা সেতুর উভয় প্রান্তের ম্যুরালে ইতিহাসভিত্তিক এই গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়েছে। এটি কেবল একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নয়, বরং ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার এক অনন্য প্রয়াস। জুলাই বীরত্ব ও জুলাই আত্মত্যাগ নামের এই গ্রাফিতি আমাদের মনে করিয়ে দেবে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য তরুণ সমাজের আত্মত্যাগের কথা।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘এ প্রজন্মকে আগামী প্রজন্মকে জানাতে হবে— জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান কেবল একটি আন্দোলন ছিল না, বরং অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। এই আন্দোলন জাতিকে নতুন দিশা দিয়েছিল। আমি বিশ্বাস করি, এ ধরনের উদ্যোগ মানুষকে সত্য, ন্যায়, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের চেতনায় উজ্জীবিত করবে।’’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহামিদুল ইসলাম, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার, শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক তাহসিনা বেগম প্রমুখ।

ঢাকা/রতন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যারা জুলাই আন্দোলনের বিরুদ্ধে তারা আর কখনো ফিরে আসবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা