দিনাজপুরের হিলি বন্দর বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা করে। দেশের মোকামে পেঁয়াজের মজুত কমের দিকে। যে কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়তি। যদি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয় তাহলে বাজার স্বাভাবিক হবে, বলছেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা। এদিকে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়ায় হতাশ সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতারা। 

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে হিলি বন্দর বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহ আগে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম ছিল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা কেজি। খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছিলো ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজিতে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সেই দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা কেজি দরে। খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। 

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আব্দুল রাজ্জাক বলেন, “পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক ছিলো। হঠাৎ আজ পেঁয়াজ কিনতে এসে দেখি বাজার উল্টাপাল্টা। এর আগে ৫০ টাকা কেজি কিনলাম, আজ তা ৭০ টাকা কেজি। এভাবে দাম বাড়লে আমরা চলব কী করে?”

ফরিদুল ইসলাম নামে অপর একজন বলেন, “গত সপ্তাহের চেয়ে আজ পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ টাকা করে বেড়েছে। যদি এভাবে দাম বাড়তি হয়, তাহলে তো সমস্যা। আমরা চাই সরকার যেন বিষয়টি দেখেন।”

হিলি বাজারে সবজি ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ বলেন, “পেঁয়াজের বাজার ঊর্ধ্বগতি। গত সপ্তাহ আগে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা কেজি দরে পাইকারি কিনে তা খুচরা ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি করেছিলাম। বর্তমান প্রকার ভেদে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা কেজি দরে পাইকারি কিনে তা ৭০ টাকা দরে খুচরা বিক্রি করছি।”

হিলি বাজারে পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ও আমদানিকারক শাহাবুল ইসলাম বলেন, “দেশে যেসব পেঁয়াজের মোকাম রয়েছে, সেখানে পেঁয়াজের মজুত কমে এসেছে। যার কারণে বাজার বেড়ে যাচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “সরকার যদি আবারও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়, তাহলে পেঁয়াজের দাম কমে যাবে।”

ঢাকা/মোসলেম/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

গ্রেপ্তার দেখানো হলো মেজর সাদিকুলের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে

ভাটারা থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে মেজর সাদিকুল হকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে। গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করবেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকা‌লে ডিবি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম এ তথ্য জানান। 

পুলিশ জানায়, সুমাইয়া জাফ‌রিনকে মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থে‌কে গ্রেপ্তার করা হয়। এই রাষ্ট্রবি‌রোধী ষড়যন্ত্রের ঘটনায় জাফরিনের কী ভূ‌মিকা ছি‌লো তা খতিয়ে দেখা হ‌চ্ছে ব‌লেও জানান তি‌নি। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮ জন‌কে গ্রেপ্তার করা হ‌য়ে‌ছে। তা‌দের জিজ্ঞাসাবো‌দে নতুন নতুন তথ্য সাম‌নে আস‌ছে ব‌লেও জানান এ পু‌লিশ কর্মকর্তা। 
ঢাকার বসুন্ধরায় একটি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে গোপন বৈঠক করার অভিযোগে বুধবার সন্ধ্যায় সুমাইয়া জাফরিনকে হেফাজতে নেয় ডিবি পুলিশ।

গত ১০ জুলাই রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৮ জুলাই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার কেবি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ একটি গোপন বৈঠকের আয়োজন করে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা এ বৈঠকে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মিলে প্রায় ৩০০-৪০০ জন অংশ নেন।

গত ১ আগস্ট আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, ১৭ জুলাই অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাকে উত্তরা এলাকা থেকে আটক করে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। পূর্ণ তদন্ত শেষ হওয়া সাপেক্ষে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ওই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হচ্ছে।

ঢাকা/এমআর/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ