রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দ্বাদশ সমাবর্তন ১৭ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে রাবিতে গণজমায়েত

রাবি ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ২০ নভেম্বর

জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মো.

আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বাদশ সমাবর্তন আগামী ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। তবে নতুন করে আর কেউ রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন না।”

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বিষয়ে তিনি বলেন, “আমাদের এখনো চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সমাবর্তনের অতিথিদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যাবলী আমরা পরে জানানো হবে।”

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দ্বাদশ সমাবর্তনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে নিবন্ধিত শিক্ষার্থীদের কর্মদিবসে সমাবর্তন না করার দাবিতে তারিখ পিছান হয়।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে রংপুরে অবস্থান কর্মসূচি

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে রংপুরে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। রংপুরের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে আজ বুধবার দুপুরে নগরের জিলা স্কুল মোড়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে বক্তারা নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরুর দাবি জানান।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শুরু হওয়া কর্মসূচিতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামী, গণ অধিকার পরিষদ, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং ‘তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ’–এর নেতা-কর্মী ও সাংবাদিকেরাও অংশ নেন। তাঁরা বলেন, উত্তরাঞ্চলের মানুষের বৈষম্য দূর করার অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য শিগগির প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দিতে হবে।

‘তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ’–এর সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান বলেন, ২০১৫ সাল থেকে তিস্তাপারের মানুষের দুর্দশা, নদীভাঙন ও হাহাকার থেকে মুক্তির জন্য তাঁরা আন্দোলন করে আসছেন। বিভিন্ন দাবিতে গত কয়েক বছর ধরে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দেওয়াসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। কিন্তু ভারতের বাধাসহ ভূরাজনৈতিক কারণে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি।

জামায়াতে ইসলামীর রংপুর জেলা কমিটির সহকারী সেক্রেটারি রায়হান সিরাজী বলেন, ‘আমরা আর টালবাহানা দেখতে চাই না। তিস্তাপারের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে যে দাবি জানিয়ে আসছে, অন্তর্বর্তী সরকারকে এই দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।’

এনসিপির জেলা আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী আলমগীর কবির বলেন, পরিবেশ উপদেষ্টা গত ৫ ফেব্রুয়ারি কাউনিয়ার তিস্তা সেতুর কাছে সমাবেশ করে কথা দিয়েছেন। তিস্তাপারের মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে, তিস্তা মহাপরিকল্পনাকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র চলছে।

অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন জেলা এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়ক আলমগীর নয়ন, জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ, রংপুর জিলা স্কুলের শিক্ষার্থী মুদাব্বির মারুফ প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ