বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) নতুন নিয়োগ পাওয়া সদস্য এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিককে শপথ পড়িয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। আজ বুধবার বেলা ১১টা ২০ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে শপথ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম, কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ফেরদৌস আরফিনা ওসমান, কমিশন সচিবালয়ের সচিব আবদুর রহমান তরফদার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন৫০০ টাকা, ৫%, ৭.

৫%, শেষে ১৫%—শিক্ষকেরা কত টাকা বেশি পাবেন১৬ ঘণ্টা আগে

এর আগে ১৩ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পৃথক প্রজ্ঞাপনে রাষ্ট্রপতির আদেশে তাঁর নিয়োগের বিষয়টি জানায়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ১৩৮(১) অনুচ্ছেদে বর্ণিত ক্ষমতা বলে রাষ্ট্রপতি এই কর্মকর্তাকে সদস্যপদে নিয়োগ করেছেন। সংবিধানের ১৩৯(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে তাঁর দায়িত্বভার গ্রহণের তারিখ থেকে পাঁচ বছর বা ৬৫ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার মধ্যে যা আগে ঘটে, সেই সময় পর্যন্ত তিনি সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য পদে বহাল থাকবেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে। এই নিয়োগের ফলে পিএসসির সদস্যসংখ্যা ১৯–এ দাঁড়াল।

আরও পড়ুনপ্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ, পরীক্ষা ১০০ নম্বরে২০ অক্টোবর ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

লাখো শরণার্থীর অনিশ্চিত যাত্রা

‘১৯ এপ্রিল ৮-১০ জনের কাফেলায় রওনা হই। ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে হাঁটছি তো হাঁটছি। বাচ্চারা খুব কষ্ট পাচ্ছে। রাত কত জানি না, চারদিক নিস্তব্ধ। কোন দিকে বর্ডার, তা-ও জানি না। কিছু দূর যাওয়ার পর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি নামে।’—বাংলা সিনেমার স্বনামধন্য অভিনেত্রী কবরীর লেখা।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে রুপালি পর্দার সে সময়ের জনপ্রিয় এই নায়িকা হয়ে যান শরণার্থী। প্রাণ বাঁচাতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে বহু পথ পাড়ি দিয়ে ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় পৌঁছান। এরপর পশ্চিমবঙ্গ হয়ে মুম্বাইয়ে কাটে ‘অনাহারক্লিষ্ট কর্মহীন, জীবন-মরণ লড়াইয়ে নামা’ শরণার্থীজীবন। সেই অনিশ্চিত যাত্রা, জীবনের কথা লিখেছেন আত্মজীবনী স্মৃতিটুকু থাক বইয়ে।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে শুরু হয় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ‘অপারেশন সার্চলাইট’। চলে নির্বিচার হত্যা-বর্বরতা। প্রাণ বাঁচাতে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন নিজের ঘরবাড়ি-বসতি ছাড়েন। দেশের নানা প্রান্তে তখন দেখা যায় মানুষের ছোট-বড় কাফেলা। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে তাঁরা অজানা-অচেনা পথে চলেছেন। সেখানে কবরীর মতো পরিচিত মুখ যেমন আছেন; আছেন কৃষক-শ্রমিক, নারী-শিশুসহ নানা এলাকার, নানা পেশার মানুষ।

চলতি পথে অনেকে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন, অনেককে গুলি করে হত্যা করা হয়, কেউ কেউ হামলার মুখে পড়ে স্বজনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন, কারও কারও সামনে প্রিয়জনকে হত্যা করা হয়, কেউ কেউ যাত্রার ধকল সইতে না পেরে পথে মারা যান। বাকিরা পথ চলতে থাকেন।

শরণার্থী হওয়ার যাত্রায় শিশুটি সঙ্গে নিয়েছিল দেশের পতাকা

সম্পর্কিত নিবন্ধ