২০২৬ সালে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলবে বাংলাদেশ। দেশের ফুটবলের এই ঐতিহাসিক টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি ঘিরে এখন চলছে পরিকল্পনা। আগামী মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টুর্নামেন্টটি সামনে রেখে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—প্রস্তুতির মান কেমন হবে?

এশিয়ান ফুটবলের পরাশক্তিদের সঙ্গে লড়াইটা যে মানসম্পন্ন প্রস্তুতি ছাড়া বেশ কঠিনই হবে, সেটা জানা কথাই। তবে প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশ নারী দলের সামনে বড় এক সুযোগই এসেছে। বাংলাদেশ চাইলে জাপান তাদের দেশে বাংলাদেশের মেয়েদের অনুশীলনের সুযোগ করে দেবে।

বিষয়টি জানিয়ে আজ বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বাফুফে ভবনে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘জাপান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (জেএফএ) সভাপতির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের মেয়েরা চাইলে জাপানে গিয়ে ক্যাম্প করতে পারে। তবে তাদের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা সম্ভব নয়, কারণ এক বছর আগেই ওদের পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়ে গেছে। তারা ইউরোপে ক্যাম্প করবে।’

বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রস ত ত

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গলে নবজাতকের মরদেহ, যুবকের বিরুদ্ধে মামলা

নেত্রকোনার পূর্বধলার সদর ইউনিয়নে জঙ্গল থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে রবিবার (৯ নভেম্বর) সকালে ওই নবজাতকের মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা করেন।

আরো পড়ুন:

মোহনগঞ্জে নাশকতা মামলায় সাবেক কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

ডোমারে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ কারাগারে ৩

মামলায় আসামি শাহ আলম (২৫) নবজাতকের মায়ের প্রতিবেশী বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১ বছর আগে অভিযুক্ত শাহ আলমের সঙ্গে মামলার বাদীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। সম্পর্কের সুবাদে শাহ আলম বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ওই নারীর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন। এতে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। গর্ভের কথা জানালে শাহ আলম বিয়ের আশ্বাস থেকে সরে এসে গর্ভপাতের জন্য চাপ দিতে থাকেন।

গত শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে শাহ আলম জোরপূর্বক গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়ানোর পর ওই নারীর প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়। পরে স্থানীয় এক ধাত্রীর সহযোগিতায় তিনি মৃত সন্তান প্রসব করেন। এরপর নবজাতকের মরদেহ পাশের জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়। পরদিন দুপুরে স্থানীয়রা মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহ আলমের মোবাইলে একাধিকবার কল দেওয়া হলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূরুল আলম বলেন, “নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।  অভিযুক্ত শাহ আলমকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”

ঢাকা/ইবাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ